এবার লক্ষ্য ধবলধোলাই

বাংলাদেশ দল যেন সুখী পরিবার। ছবি: শামসুল হক
বাংলাদেশ দল যেন সুখী পরিবার। ছবি: শামসুল হক

ম্যাচ হারলে প্রতিক্রিয়া জানাতে সবার আগে আসতে হয় অধিনায়ককে। জিতলেও তা-ই। তবে দুটি মুহূর্তের বিস্তর পার্থক্য। হারলে অধিনায়ককে আসতে হয় বিরস বদনে, নতশিরে। জিতলে ঠিক তার বিপরীতে। মুখে আকর্ণ হাসি। কথা বলেন উন্নত শিরে! শেষ বিকেলের আলোয় মুশফিকের চোখেমুখে খেলা করে যাওয়া তৃপ্তিটা স্পষ্ট দেখাই যাচ্ছিল। ম্যাচ–পরবর্তী অনুষ্ঠানে মুশফিক বেশ প্রত্যয় নিয়ে তাই বলতে পারলেন, ম্যাচ জিতেই সন্তুষ্ট নন, এবার জিম্বাবুয়েকে ধবলধোলাই করতে চান।
টেস্ট সিরিজ জয়ের স্বাদ পাওয়া বাংলাদেশের তৃতীয় অধিনায়ক মুশফিক বললেন, ‘এ জয়ে আমরা অতিরিক্ত উচ্ছ্বাস করছি না। এতে আমাদের আত্মবিশ্বাস আরও বাড়ল। এখন আমরা সিরিজটা ৩-০ করতে চাই। দলের খেলোয়াড়েরা এর জন্য মুখিয়ে আছে।’ মুশফিক জানালেন, দারুণ এ জয় দলীয় প্রচেষ্টার ফল, ‘প্রথম ইনিংসে সাকিব আল হাসান-তামিম ইকবালের জোড়া সেঞ্চুরি, উভয় ইনিংসে মাহমুদউল্লাহর ফিফটি। বল হাতে সাকিব ও তাইজুলের দারুণ পারফরম্যান্স—সব মিলিয়ে দলের সবারই সম্মিলিত প্রচেষ্টায় এ জয়।’ অবশ্য সাকিবকে বিশেষ ধন্যবাদ দিতে ভুললেন না।
ব্যাটিং-বোলিং ভালো হলেও ফিল্ডিংটা বলার মতো হলো না এ টেস্টেও। বেশ কিছু ক্যাচ পড়েছে বাংলাদেশ দলের। মুশফিক বললেন, ‘দুই দলই ক্যাচ হাতছাড়া করেছে। তবে ম্যাচে যারা কম ক্যাচ ছাড়ে, তারাই জেতে। আমরা ভবিষ্যতে এ বিভাগে আরও ভালো করার চেষ্টা করব।’ খুলনার দর্শকদের ধন্যবাদ জানাতে ভুললেন না বাংলাদেশ অধিনায়ক। আশা করলেন চট্টগ্রামে বাংলাদেশের ‘লাকি গ্রাউন্ডে’ আরও বেশি সমর্থন পাবেন।
ইতিহাসের পাতায় ঠাঁই নেওয়া সাকিব বেশ বিনয়ের সঙ্গেই বললেন, ‘এ উইকেটে রান করা সহজ ছিল। ভুল না করলে আউট হওয়া মুশকিল। এ জয় দলীয় প্রচেষ্টারই ফল। তামিম, মাহমুদউল্লাহ, তাইজুল সবাই ভালো করেছে। আমি হয়তো নিজের মতো অবদান রাখার চেষ্টা করেছি।’
ইয়ান বোথাম ও ইমরান খানের পর ম্যাচে ১০ উইকেট ও সেঞ্চুরির রেকর্ড প্রসঙ্গে বললেন, ‘আমি আসলে এ বিষয়ে আগ থেকে জানতাম না। একজন সাংবাদিক (প্রথম আলো ক্রীড়া সম্পাদক) আমাকে জানানোর পর জেনেছি। আমার কাছে সিরিজ জেতাই ছিল গুরুত্বপূর্ণ। টেস্টে সিরিজ জেতা সব সময়ই আলাদা কিছু। আমরা তো এ ধরনের জয় সহজে পাই না।’