কামাল প্রশ্নে সতর্ক বিসিবি

বিশ্বকাপের দুই মাস বিসিবি কার্যালয়ের করিডরে সাংবাদিকদের পদচারণ ছিল না বললেই চলে। এখন বিশ্বকাপ শেষ, আবার একটু একটু করে সেটা বাড়ছে। তাই বলে ফাইনালের পরদিনই মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে কৌতূহলী প্রশ্নের ওড়াউড়ি একটু অপ্রত্যাশিতই।
বিসিবি কার্যালয়ে কাল একটা প্রশ্নই ঘুরে বেড়িয়েছে—দেশে ফিরে কী চমক দিতে যাচ্ছেন আইসিসির সভাপতি আ হ ম মুস্তফা কামাল? বিশ্বকাপের ট্রফি প্রদান বিতর্কে মুস্তফা কামাল বনাম নারায়ণস্বামী শ্রীনিবাসন ‘লড়াই’য়ে বিসিবির অবস্থানই বা কী? তবে কোনো প্রশ্নেরই উত্তর মেলেনি।
অস্ট্রেলিয়া থেকে সিঙ্গাপুর হয়ে মুস্তফা কামালের ঢাকায় পৌঁছানোর কথা আগামীকাল দুপুরে। দেশে ফিরে বিমানবন্দরেই তিনি কথা বলবেন সাংবাদিকদের সঙ্গে। তুলে ধরবেন আইসিসির বিরুদ্ধে তাঁর অভিযোগের ফিরিস্তি। এর আগে গত পরশু মুস্তফা কামাল বলেছেন, আইসিসির সভাপতি হিসেবে বিশ্বকাপের ট্রফি দেওয়ার অধিকার ছিল তাঁরই। আইসিসির চেয়ারম্যান শ্রীনিবাসন তাঁকে সে অধিকার থেকে বঞ্চিত করে গঠনতন্ত্র লঙ্ঘন করেছেন।
মুস্তফা কামাল যেহেতু বিসিবির মনোনয়নে আইসিসির সভাপতি পদে নির্বাচিত হয়েছেন, সুতরাং বিসিবিরও অবস্থান পরিষ্কার করার দায় থাকে। তার ওপর মুস্তফা কামাল বাংলাদেশ সরকারের একজন মন্ত্রী, বিসিবির সাবেক সভাপতি। তবে বাস্তবতা হলো, বিসিবিতে এখন পর্যন্ত ‘পানিতে নেমে কুমিরের সঙ্গে লড়াই’ করার সাহস দেখানোর মতো কাউকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। মুস্তফা কামালের পক্ষে অবস্থান নিয়ে ক্রিকেট কূটনীতিতে আবার ভারতের রোষানলে না পড়তে হয়, এই শঙ্কা সবার। দু-একজন পরিচালক যা বললেন তার সারমর্ম—ভারতই যেহেতু আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের দণ্ডমুণ্ডের অলিখিত কর্তা, শ্রীনিবাসনের সঙ্গে যুদ্ধে না জড়ানোই ভালো। তাঁদের দৃষ্টিতে বিষয়টা বিসিবির জন্য ‘অস্বস্তিকর’। যদিও ট্রফি বিতর্ক উসকে দিয়ে নিজের দেশের সংবাদমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যথেষ্টই সমালোচিত হচ্ছেন শ্রীনিবাসন।
বিসিবির মিডিয়া কমিটির প্রধান জালাল ইউনুস যা একটু আনুষ্ঠানিক বক্তব্য দিলেন, তাও সতর্ক ‘স্টান্স’ নিয়ে, ‘ব্যাপারটা দুঃখজনক। আমাদের প্রত্যাশা ছিল, আইসিসি সভাপতিই বিশ্বকাপের ট্রফি দেবেন। বোর্ড সভাপতি দেশে ফিরলে এ ব্যাপারে আমরা আমাদের বক্তব্য জানাব।’ অস্ট্রেলিয়া থেকে বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসানের দেশে ফেরার কথা আগামীকাল রাতে।