আচ্ছন্ন হয়ে আছে অস্ট্রেলিয়া

মেলবোর্নের ফেডারেশন স্কয়ারে যখন এলেন, তখনো যেন মাইকেল ক্লার্কের ঘোর কাটেনি। হাজারো ভক্ত বিশ্বকাপের ট্রফিটাকে একঝলক দেখার জন্য হুমড়ি খেয়ে পড়েছে। ক্লার্ক স্বীকার করলেন, ‘এখনো আচ্ছন্ন হয়ে আছি। আমার মনে হয় সবার অবস্থাও তাই।’ আসলেই তো, দেশের মাটিতে প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপ জয়ের স্মৃতিটা কি এত সহজে পুরোনো হয়? অস্ট্রেলিয়ান প্রচারমাধ্যমও ক্লার্কদের ভাসিয়ে দিয়েছে স্তুতিতে।
সিডনি মর্নিং হেরাল্ড-এর প্রথম পাতায় জ্বলজ্বল করছে শিরোনাম, ‘নিউজিল্যান্ডকে উড়িয়ে দিল অস্ট্রেলিয়া’। দ্য অস্ট্রেলিয়ান-এ বড় হরফে ছাপা হয়েছে, ‘নিখুঁত অস্ট্রেলিয়া পঞ্চম শিরোপা পেল।’ এই পত্রিকার ক্রিকেট লেখক পিটার টেলর মনে করিয়ে দিয়েছেন, ‘কারও কপালে এক ফোঁটা ঘাম জমে ওঠার বা স্নায়ুতে এতটুকু চাপ লাগার আগেই জিতে নিল অস্ট্রেলিয়া।’
ডেইলি টেলিগ্রাফ-এর প্রচ্ছদে বিশ্বকাপ জয়ের সঙ্গে উঠে এসেছে ক্লার্কের অবসর-প্রসঙ্গও, ‘অস্ট্রেলিয়ার বিশ্বজয়ে পাপের (ক্লার্কের ডাকনাম) বিদায়টা হয়ে রইল রূপকথার মতো।’ পরে লিখেছে, ‘গত নভেম্বরে হ্যামস্ট্রিং ওর সঙ্গে যখন টানা বিশ্বাসঘাতকতা শুরু করল, অধিনায়ক হয়ে বিশ্বকাপ ট্রফি হাতে নেওয়ার সম্ভাবনাটা সুদূরপরাহত মনে হচ্ছিল। রূপকথার মতোই তো!’
কেউ কেউ মনে করিয়ে দিয়েছেন প্রয়াত ক্রিকেটার ফিলিপ হিউজের কথা। ‘অবশ্যই, কোনো শিরোপাই হিউজের মর্মান্তিক মৃত্যুকে মুছে দিতে পারে না। শোকের মধ্য দিয়ে যে গ্রীষ্মের শুরু হয়েছিল, ধৈর্য ও স্থৈর্যের কল্যাণে সেটিই পরিপূর্ণতা পেল’—লিখেছেন টেলিগ্রাফ-এর ক্রিকেট লেথক রিচার্ড হাইন্ডস।
ক্লার্কের বিদায়ের পর আরেক শীর্ষ পত্রিকা দ্য এজ তাকাচ্ছে সামনে, স্টিভ স্মিথকেই তারা মনে করছে ক্লার্কের উত্তরসূরি। এএফপি।