বৃথা গেল রুমানার লড়াই

সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে হেরে গেছেন সালমারা। ছবি: এএফপি
সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে হেরে গেছেন সালমারা। ছবি: এএফপি

একাই চেষ্টা করেছিলেন রুমানা আহমেদ। কিন্তু ব্যক্তিগত ৭০ রানে দলের অষ্টম ব্যাটার হিসেবে রুমানা ফিরে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই হার নিশ্চিত হয়ে যায় বাংলাদেশের। শেষ পর্যন্ত সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে পাকিস্তানের কাছে ২০ রানে হেরেছে বাংলাদেশ নারী দল।
২১৫ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে দারুণ শুরু এনে দিয়েছিলেন শামিমা সুলতানা। মাত্র ২৪ রান করেন তিনি। কিন্তু অপর প্রান্তে খুব ধীর গতির ব্যাটিং চাপে ফেলে দেয় দলকে। দলীয় ৩৬ রানে শামিমা আউট হওয়ার পর আরও বিপদে পড়ে বাংলাদেশ। তিন উইকেটের পতনের পর উইকেটে আসেন রুমানা।
এক প্রান্তে দাঁড়িয়ে বাংলাদেশের রানের চাকা সচল রেখেছিলেন তিনিই। কিন্তু অপর প্রান্তে অন্য ব্যাটারদের আসা যাওয়ায় কোনো বড় জুটি গড়তে পারেননি। ৪৯তম ওভারের তৃতীয় বলে যখন আউট হয়ে ফিরে যান রুমানা, হার নিশ্চিত হয়ে যায় বাংলাদেশের। ওই সময় বাংলাদেশের দরকার ছিল ১০ বলে ২৫ রান। শেষ পর্যন্ত পুরো ৫০ ওভার খেলে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৯ উইকেটে ১৯৪। পাকিস্তান ২১৪ রান করে অলআউট হয়েছিল।
পাকিস্তানের স্কোরটাও প্রায় একজনের ইনিংসের ওপরে​ ভর করে তৈরি। বিসমাহ মারুফ মাত্র আট রানের জন্য সেঞ্চুরি পাননি। তাঁর ৯২ রানের অনবদ্য ইনিংসের ওপর ভর করে তাঁর দল ঠিকই ২১৫ রানের চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছিল বাংলাদেশের নারীদের সামনে। বাংলাদেশের বোলাররা কিন্তু শুরুটা ভালো করেছিলেন। ১৯ রানে প্রথম উইকেট হারানো পাকিস্তান একপর্যায়ে পরিণত হয় ৯৯/৪-এ। দারুণ বল করেছেন বাংলাদেশের অধিনায়ক সালমা খাতুন। ১০ ওভার বল করে ৩১ রান দিয়ে তুলে নিয়েছেন ৩ উইকেট। সালমাকে দারুণ সহযোগিতা করেছেন অন্যান্য বোলাররাও। খাদিজাতুল-কোবরা, লতা মণ্ডল, নাহিদা আকতার আর ফাহিমা খাতুন প্রত্যেকেই তুলে নিয়েছেন একটি করে উইকেট।
বাংলাদেশের মেয়েদের বোলিং সফরের প্রথম দুটো টি-টোয়েন্টি ম্যাচেও ভালো হয়েছিল। কিন্তু সমস্যা হয়ে দেখা দিয়েছিল বাংলাদেশের ব্যাটিং। ব্যাটিং দুর্বলতার কারণেই দুই টি-টোয়েন্টিতেই হার সঙ্গী হয়েছে বাংলাদেশের। আজ সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে পাকিস্তানের ছুড়ে দেওয়া ২১৫ রানের চ্যালেঞ্জ উতরে যেতে ব্যাটসম্যানদের ফর্মে ফেরাটি জরুরি হয়ে উঠেছিল। কিন্তু এক রুমানা ছাড়া আর সবাই হতাশা উপহার দিলেন।
মেয়েদের আন্তর্জাতিক ওয়ানডেতে এটি রুমানার দ্বিতীয় ফিফটি।