দেশের হয়েও মাইলফলকটা ছুঁলেন মাশরাফি

কে কাকে অভিনন্দন জানাচ্ছেন? দুজনেরই তো প্রাপ্য! ছবি: শামসুল হক
কে কাকে অভিনন্দন জানাচ্ছেন? দুজনেরই তো প্রাপ্য! ছবি: শামসুল হক

২১ ওভার হয়ে গেল। তবু বল হাতে নিলেন না! অবশেষে ২২তম ওভারে আক্রমণে এলেন। নিজের তৃতীয় ওভারেই এল সেই মুহূর্ত। দুর্দান্ত ফর্মে থাকা সিকান্দার​ রাজাকে ঝুলিতে পুরেই উইকেটের ডাবল সেঞ্চুরি হয়ে গেল মাশরাফি বিন মুর্তজার। সেটি অবশ্য এক অর্থে আগেই হয়েছিল। কিন্তু একটি উইকেট এশিয়া একাদশের হয়ে পেয়েছিলেন। এবার বাংলাদেশের পক্ষে তৃতীয় বোলার হিসেবে এই কীর্তি গড়লেন।
কিছুদিন আগেই ডেঙ্গুজ্বরে কাবু হয়ে পড়েছিলেন তিনি। জ্বর সেরে যাওয়ার পর দুর্বল হয়ে পড়েছিলেন প্রচণ্ড। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজে দলে থাকাটাই একটা সময়ে অনিশ্চিত ছিল। কিন্তু সব জল্পনা-কল্পনা আর শঙ্কা পেছনে ফেলে সিরিজটি খেলছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। মাঠে নেমেই দুর্দান্ত এক মাইলফলকে পা তাঁর। এর আগে আবদুর রাজ্জাক আর সাকিব আল হাসান এই কীর্তি গড়েছেন।
মুস্তাফিজুর রহমান আর আরাফাত সানিকে দিয়ে বোলিং আক্রমণ শুরু হয়েছিল বাংলাদেশের। একে একে আক্রমণে এলেন সাকিব আল হাসান, আল আমিন হোসেন। দর্শকেরা নিশ্চয়ই উৎকণ্ঠায় ছিল তাঁকে নিয়ে। ইনিংসের ২২তম ওভারে তিনি বল করতে এলেন, এসেই তুলে নিলেন সিকান্দার রাজার উইকেট। এরপর নাসিরের ক্যাচে ফেরালেন ম্যালকম ওয়ালারকে। শুধু দুই উইকেট নিয়েছেন বলেই নয়, ৬ ওভারে মাত্র ১৩ দিয়ে দলের সবচেয়ে মিতব্যয়ী বোলারও মাশরাফিই।
২০০৭ সালে এশিয়া একাদশের হয়ে আফ্রিকার বিপক্ষে একটি উইকেট পেয়েছিলেন। কিন্তু দেশের​ পতাকা হৃদয়ে ধারণ করা মাশরাফি দেশের হয়েই এই কীর্তি ছুঁতে উন্মুখ ছিলেন নিশ্চয়ই। আজ দিনটাও দারুণ কেটেছে অধিনায়কের। তাঁর ৮ বলে ১৪ বেশ ভূমিকা রেখেছে ২৭৩-এর পুঁজি পেতে।
দেশের হয়ে উইকেট শিকারে মাশরাফি আছেন তৃতীয় স্থানে। যথাক্রমে ২০৭ ও ২০৬টি উইকেট নিয়ে এই তালিকার প্রথম ও দ্বিতীয় স্থানটি রাজ্জাক ও সাকিবের।