'অস্ট্রেলিয়া খুবই, খুবই ভালো দল'

চন্ডিকা হাথুরুসিংহে
চন্ডিকা হাথুরুসিংহে

তখনো তাসকিন আহমেদ ও আরাফাত সানির বোলিং নিষিদ্ধ হওয়ার খবর চাউর হয়নি চারদিকে। বেঙ্গালুরু চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে পূর্বনির্ধারিত অনুশীলন শেষে সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বললেন কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে। স্বাভাবিকভাবেই তাসকিন-সানি প্রসঙ্গে তাঁকে কথা বলতে হয়নি। ঘুরেফিরে তাঁকে বলতে হয়েছে মুস্তাফিজুর রহমানের ফিটনেস, মুশফিকুর রহিম-সৌম্য সরকারের ব্যাটে রানখরা, বেঙ্গালুরুর উইকেট প্রসঙ্গে।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে এখনো জ্বলে ওঠেনি সৌম্যর ব্যাট। ৪ ইনিংসে তাঁর রান ০, ১২, ২০ ও ১৫। বাংলাদেশ দলের এই ওপেনারের ব্যাটিং ফর্ম নিয়ে অবশ্য চিন্তিত নন হাথুরু। তিনি আগলেই রাখছেন সৌম্যকে, ‘আপনারা সবকিছু দ্রুত ভুলে যান। পাকিস্তানের বিপক্ষে (এশিয়া কাপে) সে ম্যাচ জেতাল (৪৮ রান করে)। তাতে আমরা ফাইনালে চলে গেলাম। কটা ম্যাচ আগে? মাত্র চারটি। যদি চার ইনিংস দিয়ে কাউকে বিচার করেন, যে কিনা গত দেড় বছরে দুর্দান্ত খেলেছে, তাহলে বলব আপনার মূল্যায়নে সমস্যা আছে।’
ছন্দে নেই দলের অন্যতম ব্যাটিং-ভরসা মুশফিকুর রহিমও। এশিয়া কাপে রান পাননি। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও ব্যাটিংয়ে অনুজ্জ্বল মুশফিক। টি-টোয়েন্টিতে একটু নিচের দিকে নামতে হচ্ছে বলেই কি তিনি রান পাচ্ছেন না? চন্ডিকার যুক্তি, ‘সে আমাদের শীর্ষ ব্যাটসম্যান, তবে অন্য সংস্করণে। আপনাকে বুঝতে হবে এটা টি-টোয়েন্টি। ওপরের চার ব্যাটসম্যানকেই রান করতে হয়। কারণ, তারাই বেশির ভাগ ওভার খেলার সুযোগ পায়। একই সঙ্গে অন্য ব্যাটসম্যানদেরও অবদান রাখতে হয়।’
পরশু পেস বোলিং কোচ হিথ স্ট্রিক জানিয়েছিলেন, অনেকটাই সেরে উঠেছেন মুস্তাফিজুর রহমান। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে কি তাহলে খেলছেন বাংলাদেশ দলের এই বাঁহাতি পেসার? স্ট্রিকের মতো নিশ্চিত করতে পারেননি প্রধান কোচও, ‘সে প্রায় ফিট। তাকে কাল (আজ) দেখেই সিদ্ধান্ত নেব। আজ বোলিং করেছে। কাল সে কতটা সেরে উঠেছে, সেটা দেখা হবে। ফিজিও সবুজসংকেত দেওয়ার পরই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’
যদি মুস্তাফিজ শেষ পর্যন্ত এই ম্যাচের আগেও সেরে না ওঠেন, তাঁকে কি চিকিৎসার জন্য ফেরত পাঠানো হবে দেশে? হাথুরু মোটেও তা চান না, ‘কিসের চিকিৎসা? তাকে ফেরত পাঠালে টুর্নামেন্টে আর পাওয়া যাবে না। এটাই নিয়ম। এ কারণে তাকে আমাদের সঙ্গে রাখতে হবে।’
প্রতিপক্ষ নিয়ে বাংলাদেশ দলের কোচ শুধু এতটুকুই বললেন, ‘অস্ট্রেলিয়া খুবই, খুবই ভালো দল’। প্রতিপক্ষ হিসেবে অস্ট্রেলিয়া কত শক্তিধর, সেটি কারও অজানা নয়। কিন্তু সানি-তাসকিনের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ এভাবে শেষ হবে, সেটি কি জানা ছিল? সব ছাপিয়ে দুই বোলারের নিষিদ্ধ হওয়ার ঘটনাটা তাই বড় ধাক্কা হয়ে এসেছে দলের কাছে। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ভালো কিছু করতে হলে মাশরাফিদের এই ধাক্কাটাও কাটিয়ে উঠতে হবে।