প্রথম রাউন্ডেই পুচের বিদায়

ইতিহাস রচনা করেছেন, দেশকে এনে দিয়েছেন অলিম্পিকের প্রথম সোনা। কিন্তু বছরের শেষ গ্র্যান্ড স্লাম ইউএস ওপেনের প্রথম রাউন্ডেই স্বপ্নযাত্রা থেমে গেল মনিকা পুচের। অলিম্পিক সোনাজয়ী এই পুয়ের্তোরিকানকে হারিয়েছেন চীনের ঝ্যাং সাইসাই (৬-৪, ৬-২)।

পুচের বিদায়ের দিনে প্রত্যাশিত জয় পেয়েছেন বড় তারকারা। চতুর্থ বাছাই রাফায়েল নাদাল ফর্মে ফেরার ইঙ্গিত দিলেন উজবেকিস্তানের ডেনিস ইস্তোমিনকে ৬-১, ৬-৪, ৬-২ গেমে হারিয়ে। মেয়েদের দ্বিতীয় বাছাই অ্যাঞ্জেলিক কারবার তো মাত্র ৩৩ মিনিটেই দ্বিতীয় রাউন্ডে উঠে গেলেন। ৬-০, ১-০ গেমে এগিয়ে থাকা অবস্থায় সরে দাঁড়ান প্রতিপক্ষ পোলোনা হেরকগ। পরশু নিউইয়র্কের তাপমাত্রা ছিল ৩৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এই প্রচণ্ড গরমই হেরকগের কোর্ট ছেড়ে যাওয়ার প্রধান কারণ।

শুধু হেরকগ নন, প্রচণ্ড গরম সব প্রতিযোগীকেই অস্বস্তিতে ফেলেছে প্রথম দিনে। ফ্রেঞ্চ ওপেন বিজয়ী গারবিনিয়ে মুগুরুজা অসুস্থ হয়ে ১৩৭ নম্বর খেলোয়াড় এলিস মের্টেন্সের বিপক্ষে প্রথম সেটে হেরে গিয়েছিলেন। পরে শুশ্রূষা নিয়ে ফিরেছেন, পরের দুই সেট জিতে উঠে গেছেন পরের রাউন্ডে।

তবে ছেলেদের শীর্ষ বাছাই নোভাক জোকোভিচের জন্য উষ্ণতা নয়, ফিটনেসই বড় অস্বস্তির নাম। প্রতিযোগিতা শুরুর আগেই বলেছিলেন তিনি শতভাগ সুস্থ নন। প্রথম রাউন্ডে জের্জি ইয়ানোভিৎসের বিপক্ষে সেটি বোঝা গেল বেশ কবার। দ্বিতীয় সেট হেরেছেন, ফোরহ্যান্ড করার সময় অস্বস্তি ফুটে উঠছিল জোকোভিচের চোখে-মুখে। ম্যাচ শেষে তাই স্বস্তি প্রকাশ পেল তাঁর কণ্ঠে, ‘গত কিছুদিন যে সময় পার করেছি, ম্যাচটি জিততে পেরেই খুশি।’

পরশু চমক দেখিয়েছেন ষোলো বছর বয়সী কায়লা ডে। ৩৭৪ নম্বর র‍্যাঙ্কিংধারী এই আমেরিকান হারিয়ে দিয়েছেন স্বদেশি ম্যাডিসন ব্রেঙ্গলকে। এএফপি, রয়টার্স।