ব্যালন ডি'অর আর ফিফার কাছে থাকছে না

ফিফা ব্যালন ডিঅরের মঞ্চে মেসি-রোনালদো-নেইমার। ছবি: এএফপি
ফিফা ব্যালন ডিঅরের মঞ্চে মেসি-রোনালদো-নেইমার। ছবি: এএফপি

মাত্র ছয় বছর এক হয়ে থাকতে পারল ফিফা ওয়ার্ল্ড প্লেয়ার অব দ্য ইয়ার ও ব্যালন ডি’অর।

২০১০ সালের আগে দুটি পুরস্কার ছিল আলাদা। গত ছয় বছরে ফিফা ও ফ্রেঞ্চ ফুটবল ম্যাগাজিনের যৌথ উদ্যোগে একসঙ্গে দেওয়া হতো “ফিফা ব্যালন ডি’অর”। কিন্তু পুরস্কার দুটির পথ আবার বেঁকে যাচ্ছে দুদিকে। ফিফা ও ফ্রেঞ্চ ফুটবল ম্যাগাজিনের চুক্তি শেষ হয়ে যাওয়ায় এখন থেকে ব্যালন ডি’অর আর ফিফার কাছে থাকছে না। আবার ফ্রেঞ্চ ফুটবল ম্যাগাজিন এককভাবে দেবে ব্যালন ডিঅর পুরস্কার।
ফিফা ও ফ্রেঞ্চ ফুটবলের মধ্যে চুক্তি শেষ হয়ে যাওয়ায় এখন থেকে দুটি পুরস্কার আবার আলাদা হয়ে যাচ্ছে। গতকাল ফ্রেঞ্চ মিডিয়া গ্রুপ ‘গ্রুপে আমাউরি’ই একটি স্লোগানের মাধ্যমে জানিয়েছে এই খবর, ‘ব্যালন ডিঅর আবার ঘরে ফিরে আসছে!’
১৯৫৬ সালে শুরু হওয়ার পর টানা ৫৪ বছর পুরস্কারটি ছিল ফ্রান্স ফুটবল ম্যাগাজিনের একক সম্পত্তি। সাংবাদিকদের ভোটে দেওয়া হতো ইউরোপের বর্ষসেরা খেলোয়াড়ের এই পুরস্কার। ওদিকে ১৯৯১ থেকে ফিফা আলাদাভাবে দিয়ে আসছিল ফিফা ওয়ার্ল্ড প্লেয়ার অব দ্য ইয়ারের পুরস্কার। কিন্তু ২০১০ সালে ফিফার সঙ্গে ফ্রেঞ্চ ফুটবলের চুক্তির পর দুটি পুরস্কার এক হয়ে যায়।
সে সময়ের ফিফা সভাপতি সেপ ব্ল্যাটারের সঙ্গে ফ্রেঞ্চ ফুটবলের সম্পর্কটাও নাকি ভালো ছিল। দুর্নীতির দায়ে নিষিদ্ধ হয়ে ব্ল্যাটার আর ফিফায় নেই, তাঁর জায়গায় এসেছেন নতুন ফিফা সভাপতি জিয়ান্নি ইনফান্তিনো। কিন্তু ৪৬ বছর বয়সী এই সুইসের সঙ্গে নাকি শুরু থেকেই সম্পর্কটা ঠিক উষ্ণ ছিল না ফ্রেঞ্চ ফুটবলের। চুক্তিটা তাই নবায়ন ছাড়াই শেষ হয়ে গেছে। ব্যালন ডি’অরও তাই হয়ে গেছে আলাদা।
ফিফা অবশ্য এখন চাইলে আবার আগের মতো ‘ফিফা ওয়ার্ল্ড প্লেয়ার অব দ্য ইয়ার’ পুরস্কার চালু করতে পারে। তবে এ ব্যাপারে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত আসেনি। সূত্র: এএস।