অশ্বিন এগিয়ে রাখলেন ভারতকে

মাঠে বেন স্টোকস একটু বেশিই আক্রমণাত্মক। আইসিসি তাই একটু ‘বকুনি’ও দিয়েছে ইংলিশ অলরাউন্ডারকে। বিরাট কোহলিকে আউট করেই তাই মুখ বন্ধ রাখার ভান করলেন স্টোকস। কিছুক্ষণের জন্য চুপ হয়ে গিয়েছিল পুরো মাঠও। তবে শেষ পর্যন্ত রবিচন্দ্রন অশ্বিন ও রবীন্দ্র জাদেজার দারুণ ব্যাটিংয়ে ৬ উইকেটে ২৭১ রান নিয়ে স্বস্তিতেই মাঠ ছেড়েছে ভারত।

নিউজিল্যান্ড সিরিজটাই ব্যতিক্রম ছিল! ৩ ইনিংসে মাত্র ৭১ রান, অশ্বিনের সঙ্গে একদমই যায় না। বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার বলে কথা! ওয়েস্ট ইন্ডিজে ৪ ইনিংসে ২ সেঞ্চুরি, অথচ দেশের মাটিতে কিউইদের বিপক্ষে রান পাননি অশ্বিন। তবে ইংল্যান্ডের বিপক্ষেই ফিরে এলেন ‘ব্যাটসম্যান’ অশ্বিন। রাজকোট, বিশাখাপত্তনমের পর মোহালিতেও হাসল তাঁর ব্যাট। সিরিজে ভারতীয় অলরাউন্ডারের তৃতীয় ফিফটিতে তাঁর দল এখন মাত্র ১২ রানে পিছিয়ে ইংল্যান্ডের চেয়ে।

অথচ দিনের খেলা শেষ হওয়ার আগের পানিবিরতিতেও লিড নেওয়ার স্বপ্ন দেখেছে সফরকারীরা। কোহলি যখন ফেরেন, ২০৪ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে ভারত মহাবিপদে। কিন্তু দারুণ সব শটে ক্যারিয়ারের নবম ফিফটি করে সব শঙ্কা ভুলিয়েছেন অশ্বিন। তাঁকে যোগ্য সঙ্গ দিয়েছেন ৩১ রানে অপরাজিত থাকা জাদেজা। অশ্বিন-জাদেজার অবিচ্ছিন্ন সপ্তম উইকেট জুটিতে এসেছে ৬৭ রান।

দিনের শুরুতে মাত্র ৪ ওভারের মধ্যে শেষ ২ উইকেট তুলে নেন মোহাম্মদ শামি, ইংল্যান্ড অলআউট হয়ে যায় ২৮৩ রানে। চা-বিরতির সময়ও পরিষ্কার এগিয়ে ছিল স্বাগতিকেরা। দুই ওপেনারকে হারিয়ে ১৪৮ রান তুলে ফেলেছিল ভারত। কিন্তু বিরতির পর দ্বিতীয় বলেই ক্রিস ওকসের দুর্দান্ত এক ক্যাচে আউট চেতেশ্বর পূজারা। পরের ১৮ বলে মাত্র ৮ রানে আরও ২ উইকেট হারিয়ে হঠাৎই ছন্নছাড়া ভারতের ইনিংস। অশ্বিনকে নিয়ে ধাক্কাটা তখন সামলালেও শেষটা করে যেতে পারেননি কোহলি। দলকে টেনে নেওয়ার দায়িত্ব তাই এখন ওই অশ্বিনের কাঁধেই। ক্রিকইনফো।