অস্ট্রেলিয়া বলেই তেতে উঠেছিলেন সাকিব
কথাটা ২০১৭ সালেও উঠেছিল। এক যুগ ধরেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অন্যতম সেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। অথচ অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টেস্ট খেলতে তাঁকে অপেক্ষা করতে হলো ২০১৭ সাল পর্যন্ত। কী দুর্ভাগ্য!
এরপর যে পরিস্থিতি বদলেছে, তা কিন্তু নয়। ২০১৭ সালে অস্ট্রেলিয়াকে টেস্টে হারানোর পরও কোনো সংস্করণেই বাংলাদেশের বিপক্ষে দ্বিপক্ষীয় সিরিজ খেলেনি অস্ট্রেলিয়া।
এবার বিশ্বকাপের প্রস্তুতির কথা মাথায় রেখে বাংলাদেশে পাঁচটি টি-টোয়েন্টি খেলতে এসেছে অস্ট্রেলিয়া। সাকিব সিরিজটি দেখছিলেন অস্ট্রেলিয়াকে হারানোর আরেকটি সুযোগ হিসেবে। সুযোগটা যে সাকিব কাজে লাগিয়েছেন, সেটি তো ফলেই স্পষ্ট। পাঁচ ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজ ৪-১ ব্যবধানে জিতেছে বাংলাদেশ। সাকিব ১১৪ রান ও ৭ উইকেট নিয়ে হয়েছেন সিরিজের সেরা খেলোয়াড়।
দলটা অস্ট্রেলিয়া বলেই যে সাকিবের বাড়তি অনুপ্রেরণা ছিল, আজ ম্যাচ শেষে এমন এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি নিজেই বললেন, ‘বাড়তি অনুপ্রেরণা থাকে যখন বড় বড় দলের সঙ্গে খেলা হয়, যারা সাধারণত আমাদের দেশে সফরে আসে না নিয়মিত, তাদের সঙ্গে খেলা হলে একটু বাড়তি অনুপ্রেরণা তো থাকেই। যেহেতু আমাদের জিম্বাবুয়েতে একটা ভালো সিরিজ গিয়েছে এবং সবাই খুব অনুপ্রাণিত ছিল যে এই সিরিজটাও আমাদের ভালো করতে হবে, যেহেতু আমরা অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে কখনো সিরিজ জিতিনি এবং এটা একটা সুযোগ ছিল, তাই আমরা সবাই চেয়েছিলাম যেন দলগতভাবে ভালো করতে পারি। সেটাই হয়েছে।’
বাংলাদেশের সিরিজ জয়ও এসেছে বেশ কয়েকজন মূল ক্রিকেটারের অনুপস্থিতিতে। দারুণ ফর্মে থাকা মুশফিকুর রহিম, লিটন দাসকে বাংলাদেশ পায়নি অস্ট্রেলিয়ার কড়া কোয়ারেন্টিন নীতির কারণে। তামিম ইকবাল আগেই সিরিজ থেকে নাম সরিয়ে নিয়েছেন। অভিজ্ঞ বলতে ছিলেন শুধু সাকিব ও মাহমুদউল্লাহ।
পূর্ণ শক্তির দল না হয়েও অস্ট্রেলিয়াকে হারানোর বিষয়টি সাকিব দেখছেন এই সিরিজের বড় অর্জন হিসেবে, ‘অবশ্যই এটা আমাদের বড় ইতিহাচক দিক। বেশ কজন নিয়মিত ক্রিকেটার ছাড়াও আমরা সিরিজটি জিততে পেরেছি। এটা আমাদের আরও বেশি অনুপ্রাণিত করবে এবং তারা যখন ফিরে আসবে দলে, তখন এই দলের শক্তি আরও অনেক বেড়ে যাবে। স্বাভাবিকভাবেই এটা আমাদেরকে অনেক বেশি প্রতিযোগিতাপূর্ণ করে তুলবে দলের ভেতরে এবং যে সুস্থ প্রতিযোগিতা দরকার একটা বড় দল হয়ে ওঠার জন্য, সেটা আমার মনে হয় এখন থেকে শুরু হবে।’