আইপিএলে তাঁর দল চেন্নাইকেই সাফল্যের ভাগ দিলেন মঈন আলী

ওকসের করা তৃতীয় ওভারে মিড অফে দারুণ ক্যাচে উইন্ডিজের উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান এভিন লুইসকে ফেরান মঈন। সে-ই শুরু! এরপর মঈন নিজেই তুলে নেন উইকেট তুলে নেওয়ার দায়িত্ব। তৃতীয় ওভারে ওয়েস্ট ইন্ডিজের আরেক উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান লেন্ডল সিমন্সকে আউট করেন মঈন, নিজের করা পরের ওভারে ফেরান শিমরান হেটমায়ারকে।

মঈনের স্পিনের জবাব ছিল না ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছেছবি: এএফপি

বল হাতে ৪ ওভারে ১৭ রান দিয়ে ২ উইকেট, একটা মেডেনও নিয়েছেন। ব্যাট হাতে ৪ বলে ৩ রান। পূর্বাপর বিবেচনা না করে শুধু রান আর উইকেটের সংখ্যাগুলো দেখুন, তেমন বিশেষ কিছু কি মনে হবে? এত কিছু হয়তো না! পাশাপাশি এটাও বিবেচনা করে নিন, দলেরই আরেক বোলার মাত্র ২ রানে ৪ উইকেট নিয়েছেন!

কিন্তু ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে আজ ইংল্যান্ডের জার্সিতে মঈন আলীর ১৭ রানে ২ উইকেট নেওয়া পারফরম্যান্সই তাঁকে এনে দিয়েছে ম্যাচসেরার স্বীকৃতি। অবশ্য একটু ভুল বলা হলো, দুই উইকেটের আগে ফিল্ডিংয়ে যে চোখধাঁধানো একটা ক্যাচ নিয়েছেন মঈন আলী, সেটিই তো ম্যাচের গল্পের শুরু করে দিয়েছে।

যে গল্পে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ৫৫ রানে অলআউট করে দিয়ে শেষ পর্যন্ত ৬ উইকেটে জিতে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে শুভসূচনা করেছে ইংল্যান্ড।

ওকসের করা তৃতীয় ওভারে মিড অফে দারুণ ক্যাচে উইন্ডিজের উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান এভিন লুইসকে ফেরান মঈন। সে-ই শুরু! এরপর মঈন নিজেই তুলে নেন উইকেট তুলে নেওয়ার দায়িত্ব।

তৃতীয় ওভারে ওয়েস্ট ইন্ডিজের আরেক উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান লেন্ডল সিমন্সকে আউট করেন মঈন, নিজের করা পরের ওভারে ফেরান শিমরন হেটমায়ারকে। ততক্ষণেই ২৭ রানে ৩ উইকেট নেই ওয়েস্ট ইন্ডিজের। সেই যে নড়ে গেল উইন্ডিজের আত্মবিশ্বাস, আর ফেরাই হলো না তাদের।

ইংল্যান্ডেরই আদিল রশিদ মাত্র ১৪ বল করে ২ রানে ৪ উইকেট নিয়েছেন। তাঁর চারটি উইকেট ওয়েস্ট ইন্ডিজের শেষ চার ব্যাটসম্যানের। অবশ্য রশিদ দাবি করতে পারেন, এই চারজনের দুজন ছিলেন আন্দ্রে রাসেল ও কাইরন পোলার্ড। কিন্তু মঈন আলীই প্রথম ধাক্কা দিয়েছেন বলেই হয়তো, তিনিই হয়ে গেলেন ম্যাচসেরা।

এই সাফল্যের কৃতিত্বে অবশ্য কদিন আগে সংযুক্ত আরব আমিরাতেই হওয়া আইপিএলে তাঁর দল চেন্নাইয়ের হয়ে খেলাকেই টেনে আনলেন মঈন।

ম্যাচসেরার পুরস্কার নিতে এসে ইংলিশ অলরাউন্ডার বলেছেন, ‘ওদের (ওয়েস্ট ইন্ডিজ) ব্যাটিংয়ের ওপরের দিকে অনেক বাঁহাতি আছে, সে কারণে আমি জানতাম আমি ইনিংসের শুরুর দিকে বল করতে আসব। সিএসকে-তে (চেন্নাই সুপার কিংস) আমার ভূমিকাটা আমার প্রস্তুতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে, সেখানে সব সময় নিজেকে ব্যাটিং-বোলিংয়ে তৎপর মনে হয়। ফিল্ডিংয়েও। বিশ্বকাপের আদর্শ প্রস্তুতি ছিল সেটা।’

ওয়েস্ট ইন্ডিজ ইনিংসের শুরুতে লুইসের ক্যাচটাই মঈনের আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে দিয়েছে বলে দাবি করেছেন ইংলিশ অলরাউন্ডার, ‘ও রকম একটা ক্যাচ আপনাকে আত্মবিশ্বাস দেবেই। আমার মনে হচ্ছে, সেটাই আমার স্নায়ুকে শান্ত করেছে।’