আইপিএলে ধোনিই সবচেয়ে ‘বুদ্ধিমান’
মহেন্দ্র সিং ধোনির ক্রিকেট-মস্তিষ্ক নিয়ে কোনো প্রশ্ন চলে না। অধিনায়ক হিসেবে আন্তর্জাতিক কিংবা ফ্র্যাঞ্চাইজি—সব জায়গাতেই তিনি সফল।
কাল আইপিএলেও ধোনির নেতৃত্বগুণ দেখা গেল ভালোই। তাঁর একসময়ের জাতীয় দল সতীর্থ বীরেন্দর শেবাগ তো রীতিমতো মুগ্ধ। আইপিএলে যদি কারও ক্ষুরধার মস্তিষ্ক থাকে, সেটি এম এস ধোনির বলেই মনে করেন ভারতের সাবেক এ ওপেনার।
দুবাইয়ে আগে ব্যাট করতে নামা চেন্নাই সুপার কিংস ২৪ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়েছিল। ধোনি নিজেও ব্যাট হাতে ভালো করতে পারেননি। ৫ বলে করেন ৩ রান। ওপেনার রুতুরাজ গায়কোয়াড়ের ৫৮ বলে ৮৮ রানে ৬ উইকেটে ১৫৬ রান তুলেছিল চেন্নাই।
মুম্বাই ইন্ডিয়ানস মাঠে নেমেছিল নিয়মিত অধিনায়ক রোহিত শর্মাকে ছাড়াই। তাদের বিপক্ষে চেন্নাই অধিনায়ক ধোনি তাঁর বোলারদের ঘুরিয়ে–ফিরিয়ে এমনভাবে ব্যবহার করেন যে ২০ রানে হারতে হয় মুম্বাইকে।
মাঠে ধোনির উপস্থিত বুদ্ধি এবং সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার দক্ষতায় শেবাগ বরাবরই মুগ্ধ। ক্রিকবাজের সঙ্গে আলাপচারিতায় শেবাগ বলেন, ‘কোনো সন্দেহ নেই, দারুণ অধিনায়কত্ব করেছেন ধোনি। ম্যাচের আগে তার কোনো পরিকল্পনা থাকে না। মাঠের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে সে সিদ্ধান্ত নেয়। প্রতিপক্ষ ব্যাটসম্যানদের দেখে বোলারদের সেভাবে তৈরি করে। এমনভাবে খেয়াল করে, কোনো ব্যাটসম্যান যদি পেসারদের বিপক্ষে ভালো হন, স্পিনার নিয়ে আসে আক্রমণে কিংবা তার উল্টোটা।’
শেবাগ উদাহরণও দেন, ‘ডোয়াইন ব্রাভোর বিপক্ষে সে যখন ফিল্ডিং সাজাল, (ছোট) বৃত্তের ভেতর চার ফিল্ডার ছিল এক-দুই রান ঠেকাতে। এতে উইকেট নেওয়ার সম্ভাবনা বাড়ে এবং ঈশান কিষাণকে তুলে নেওয়ায় সেটাই ঘটে। সে অবশ্যই ভালো অধিনায়ক, বোলাররাও তার কথা মেনে বল করেছে। এই লিগে কারও যদি ক্ষুরধার মস্তিষ্ক থাকে, সেটা ধোনির।’
১৪ বলে ১৫ রান করা মুম্বাই তারকা কাইরন পোলার্ডের আউটকে কাল ম্যাচের ‘টার্নিং পয়েন্ট’ বলে মনে করেন শেবাগ। এখানেও ধোনির কৃতিত্ব দিলেন তিনি, ‘কাইরন পোলার্ডের বিপক্ষে জশ হ্যাজলউডকে নিয়ে আসার সিদ্ধান্তটা ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেয়। কারণ, সে (ধোনি) জানত, স্পিনার নিয়ে এলে পোলার্ড দ্রুত রান তোলার সুযোগ ছাড়বে না। এটাই ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেয়।’