আজ কী হবে ভেবে রাতে ঘুমোতে পারেননি মুমিনুল

দল জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন মুমিনুল হকছবি: টুইটার

ড্রয়ের পথে এগোতে থাকা টেস্ট কাল চতুর্থ দিন শেষেই জমজমাট। ইবাদত হোসেনের এক স্পেলে বাংলাদেশের সামনে ইতিহাস গড়ার হাতছানি। এমন রোমাঞ্চ নিয়ে কি রাতে ঘুমানো যায়!

অধিনায়ক হলে তো কথাই নেই। পরের দিন ম্যাচের নিয়ে অঙ্ক কষতেই তো রাত কাবার! মুমিনুল হককেও এমন পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে। মাউন্ট মঙ্গানুই টেস্টে নির্ঘুম রাত কাটিয়ে শেষ দিনে খেলতে নেমেছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক।

আজ নিউজিল্যান্ডকে ৮ উইকেটে হারানোর পর অনলাইন সংবাদ সম্মেলনে মুমিনুল বলেন, 'আমি ভাষায় প্রকাশ করতে পারব না, কী অনুভব করছি। এটা এক কথায় অবিশ্বাস্য। সত্যি কথা বলতে, আমি গতকাল রাতে ঘুমোতে পারিনি, আজ কী হবে সেটা ভেবে। যখনই ৫ উইকেট পড়ে গেল, মনে হয়েছে ওরা কম রানেই অলআউট হয়ে যেতে পারে।'

টেস্টের প্রথম চারদিন জয়, পরাজয়, ড্র – কোনো ফলই দলের ভাবনায় ছিল না। ব্যাটিং-বোলিংয়ের মৌলিক বিষয়গুলো ঠিকঠাক করাই ছিল দলের মূল ভাবনা।

মুমিনুলের ভাষায়, ‘আমরা ফল নিয়ে কিন্তু চিন্তা করিনি। আমি এখন বললে হয়তো অনেকে বলবে লোকটা পাগল হয়ে গিয়েছে। আমাদের ভেতরে ছিল, প্রক্রিয়া অনুযায়ী যেন খেলতে পারি। যেমন ব্যাটিংয়ের সময় লক্ষ্য ছিল লম্বা সময় ধরে খেলার। বোলিংয়ে একটা জায়গায় বল করা।’

ইবাদতের স্পেলের পরও নিজেদের রোমাঞ্চ লাগামছাড়া হতে দেয়নি বাংলাদেশ দল। মুমিনলের ব্যাখ্যা, ‘কাল শেষ বেলায় ইবাদত যখন হঠাৎ করেই উইকেট নিল, তখন মনে হলো, এ টেস্ট জেতার জন্য যাচ্ছি। আজ অল-আউট হওয়ার পর নিশ্চিত হয়েছি। তবে বাড়তি উত্তেজনা কাজ করছিল না। টিভিতে দেখতে থাকলে দেখবেন, আমরা সবাই শান্ত থাকার চেষ্টা করেছি। বল ধরে ধরে খেলার চেষ্টা করেছি—ব্যাটিং, বোলিং। ব্যাটিংয়ে শুরুতে চাপে ছিলাম। মুশফিক ভাই ওই দুইটা রান নেওয়ার পরই মনে হয়েছে জিতেছি।’

পঞ্চম দিন প্রথম সেশনে ৫ উইকেটে ১৪৭ রানে দিন শুরু করা নিউজিল্যান্ড দল ২২ রান যোগ করতেই বাকি ৫ উইকেট হারায়। তাতে বাংলাদেশের জয়ের লক্ষ্য দাঁড়ায় মাত্র ৪০ রান।

সে জন্য বোলারদের ধারবাহিক পারফরম্যান্সকে কৃতিত্ব দিলেন মুমিনুল, 'বোলারদের প্রতি বার্তা ছিল, আমরা শেষ চারদিন যে বল করেছি, সেভাবেই যেন করি। উইকেটের জন্য যাব না। বলতে পারেন, উইকেটের জন্য না গেলে পাব কীভাবে। পরিকল্পনা ছিল, উইকেটের জন্য করতে গিয়ে যেন রান না দিই। শেষ চারদিন যে প্রক্রিয়া ছিল, সেটাই অনুসরণ করা, চাপ তৈরি করা। ফল আসলে আসবে, না আসলে নেই।'