আফগানিস্তান প্রশ্নে বিশ্বকাপ বয়কট করতে পারে দলগুলো

আফগানিস্তান ক্রিকেট দলছবি: এএফপি

রাজনৈতিক দিক থেকে আফগানিস্তানের অবস্থা টালমাটাল। দেশটির ক্ষমতা এখন তালেবানের হাতে। এরই মধ্যে সরকার গঠন করছে তারা। তালেবান সরকার গঠন করছে আর বিভিন্ন সিদ্ধান্ত নিচ্ছে। এরই মধ্যে মেয়েদের খেলাধুলা বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছে তালেবান সরকার। আর এ ঘটনা নিয়ে ক্রিকেট বিশ্বে শুরু হয়ে গেছে নানান ধরনের প্রতিক্রিয়া। মেয়েদের ক্রিকেট বন্ধ করার বিষয়টি শোনার পর অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট বোর্ড জানিয়ে দিয়েছে, আফগানিস্তানের বিপক্ষে অ্যাশেজের আগে তাদের একটি টেস্ট খেলার কথা ছিল হোবার্টে, সেটি তারা খেলবে না।

সতীর্থদের সঙ্গে রশিদ খান
ফাইল ছবি: প্রথম আলো

ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া টেস্ট ম্যাচটি খেলতে না চাওয়ার ব্যাখ্যা দিয়েছে এ রকম—আইসিসি মেয়েদের ক্রিকেটের বিশ্বায়ন করতে চায়। আইসিসির একটি নিয়ম আছে, সব টেস্টখেলুড়ে সদস্য দেশের কার্যকর একটি মেয়েদের দল থাকতে হবে। আফগানিস্তান যদি মেয়েদের ক্রিকেটই বন্ধ করে দেয়, তাদের ছেলেদের দলের সঙ্গে টেস্ট তাহলে কেন খেলবে কেউ!

এবার তো আরও বড় প্রশ্ন তুলে দিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার টেস্ট অধিনায়ক টিম পেইন। এসইএন স্পোর্টস রেডিওর এক অনুষ্ঠানে বলেছেন, আফগানিস্তানে মেয়েদের ক্রিকেট বন্ধ হওয়ার কারণে বিশ্বের অন্য দলগুলো টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ থেকে নিজেদের সরিয়ে নিতে পারে অথবা আফগানিস্তানের বিপক্ষে খেলা বয়কট করতে পারে!

অস্ট্রেলিয়ার টেস্ট অধিনায়ক টিম পেইন
ছবি: টুইটার

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আর আফগানিস্তানের মেয়েদের ক্রিকেট প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে এসইএন স্পোর্টস রেডিওতে পেইন বলেছেন, ‘আমি মনে করি, প্রতিটি দলই এ বিষয় নিয়ে আলোচনা করবে। বিশ্বকাপের আগে দলগুলো এ বিষয় নিয়ে নিশ্চয়ই ভাববে। তারা হয়তো টুর্নামেন্ট থেকে নিজেদের সরিয়ে নেওয়া এবং আফগানিস্তানের বিপক্ষে খেলা বয়কটের কথাও ভাবতে পারে।’

আফগানিস্তান বিশ্বকাপ খেলতে পারবে কি না, সে প্রশ্নও রেখেছেন পেইন, ‘দলটা কি বিশ্বকাপ থেকে বাদ পড়তে পারে? আমার মনে হচ্ছে, দলগুলো যদি তাদের সঙ্গে খেলতে রাজি না হয় এবং সরকার যদি তাদের আমাদের দেশে খেলতে দিতে রাজি না হয়, তাহলে এমন একটি দল আইসিসির ইভেন্টে কীভাবে খেলবে? এটা আমার কাছে বেশ কঠিন, অনেকটা অসম্ভব মনে হচ্ছে।’

আফগানিস্তানে মেয়েদের খেলা বন্ধ করে দেওয়ায় আইসিসির নিশ্চুপ থাকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন পেইন, ‘বিষয়টা শেষ পর্যন্ত কোথায় গিয়ে থামে, সেটা দেখার অপেক্ষায় আছি। কারণ, বিষয়টি নিয়ে এখনো আইসিসিকে কোনো মন্তব্য করতে শুনিনি।’

আইসিসি নাকি বিষয়টি নিয়ে পরবর্তী বোর্ড সভায় আলোচনা করবে। তবে আইসিসির পরবর্তী বোর্ড সভা হবে নভেম্বরে, বিশ্বকাপের পর। আইসিসি তাদের বিবৃতিতে লিখেছে, আফগানিস্তানের পরিস্থিতি আইসিসি পর্যবেক্ষণ করছে। আফগানিস্তানে মেয়েদের আর ক্রিকেট খেলতে দেওয়া হবে না, সংবাদমাধ্যমে এ খবর দেখে আইসিসি উদ্বেগ প্রকাশ করছে।