আফ্রিদিই আউট করলেন, তবে জিতলেন গেইল

গেইল ছক্কার ‘অনুশীলন’ করে রাখলেন এ ম্যাচে। ছবি: প্রথম আলো
গেইল ছক্কার ‘অনুশীলন’ করে রাখলেন এ ম্যাচে। ছবি: প্রথম আলো

ব্যক্তিগত লড়াইটায় জিতলেন শহীদ আফ্রিদি। তবে আসল যে জয়, সেটা ক্রিস গেইলেরই, জিতেছে যে গেইলেরই দল। আফ্রিদি বনাম গেইল—এই রোমাঞ্চ ছড়ানো ম্যাচের নায়ক অবশ্য তামিম ইকবাল।

বিপিএলে প্রথমবারের মতো নেমে ২৬ বলে ৪০ করলেন গেইল। মারলেন চারটি ছক্কাও। আফ্রিদিকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে শেষ পর্যন্ত ক্যাচ দিলেন। ৪৮ বলে ৬২ করে দলকে জিতিয়ে ফিরলেন অন্য ওপেনার তামিম। অবশ্য ততক্ষণে গ্যালারির একটা বড় অংশ ফাঁকা হয়ে গেল। এঁরা কি তবে গেইলের ব্যাটিং দেখতেই এসেছিলেন শুধু?
এমনিতে ছুটির দিন ছাড়া বিপিএলে গ্যালারি ফাঁকা থাকছে অনেকটাই। কিন্তু কাল মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে দর্শকসংখ্যা অন্য দিনের তুলনায় একটু বেশিই। আর তাঁদের আগ্রহের কেন্দ্রে যে গেইল, ক্যারিবীয় ওপেনার আউট হতেই গ্যালারি ফাঁকা হওয়ার ছবিতেই পরিষ্কার। রংপুর রাইডার্সের বিপক্ষে চিটাগং ভাইকিংসের ৯ উইকেটের জয়ের সাক্ষী তাই ছিল হাতে গোনা কিছু দর্শক। নাকি গেইল আউট হওয়ার আগে এই ম্যাচের ফল নির্ধারিত হয়েই গিয়েছিল! উত্তেজনাহীন ম্যাচ আর কে দেখতে চায়? ​চট্টগ্রাম ম্যাচটা জিতলও ২৪ বল হাতে রেখে।
অবশ্য প্রথমে বোঝা যায়নি, এত অল্প রানের লক্ষ্য দেবে রংপুর রাইডার্স। ১ উইকেটে ৬১ করেও শেষ পর্যন্ত রংপুর তুলতে পারল ১২৪। সৌম্য সরকারের ২৬ রানের ইনিংসটা অবশ্য আভা ছড়াচ্ছিল​। পরের ব্যাটসম্যানরা তো এর চেয়ে বেশি রানই দিতে পারলেন না দলকে। সৌম্যর রানটাই সর্বোচ্চ!
১২৪ রান করে কি আর তামিম-গেইলদের সঙ্গে লড়াই হয়? রংপুরের দেওয়া সহজ লক্ষ্যটা পেরোতে চিটাগং ভাইকিংসের দুই ওপেনার অবশ্য শুরু করেন খানিকটা ধীরে। পাওয়ার প্লেতে চিটাগং তোলে ৩০ রান। গেইলের রান তখন ১৩ বলে ৭ আর তামিমের ২৩ বলে ১৯।
চিটাগংয়ের দুই বিস্ফোরক ওপেনারকে খোলসবন্দী করে রাখার পেছনে অবশ্য বড় অবদান সোহাগ গাজীর। রংপুরের অফ স্পিনার নিজের প্রথম ৩ ওভারে দিয়েছেন মাত্র ৭ রান। সপ্তম ওভারে সোহাগ গাজীকে পর পর দুই ছক্কা মেরেই শুরু করেন গেইল। শহীদ আফ্রিদিকেও পর পর দুই বিশাল ছক্কা। আফ্রিদির বলে তামিম-গেইলের জুটি ভাঙল ৭০ রানে।
গেইলের ছায়ায় অবশ্য ঢাকা পড়েননি তামিম। চিটাগং অধিনায়ক বিপিএলে পেয়েছেন তাঁর তৃতীয় ফিফটি। বাঁহাতি ওপেনারের ইনিংসে ছিলে মুগ্ধতা ছড়ানো ৯টি চার আর একটি ছয়।

সংক্ষিপ্ত স্কোর
রংপুর রাইডার্স: ২০ ওভারে ১২৪/৬ (শেহজাদ ২১, সৌম্য ২৬, মিঠুন ১২, ডসন ১৪, নাঈম ৩*, আফ্রিদি ১৩, আনোয়ার ২০*, মুক্তার ৪, সোহাগ ১*; সাকলাইন ০/১৭, শুভাশিস ১/১৭, ইমরান ০/২৮, নবী ২/৩১, তাসকিন ২/২৫)।
চিটাগং ভাইকিংস: ১৬ ওভারে ১২৮/১ (তামিম ৬২*, গেইল ৪০, এনামুল ২২*; সোহাগ ০/২৩, আনোয়ার ০/১৭, রুবেল ০/১৭, আফ্রিদি ১/২৫, ডসন ০/২৫, সানি ০/১৫, মুক্তার ০/৫)।
ফল: চিটাগং ৯ উইকেটে জয়ী।
ম্যান অব দ্য ম্যাচ: তামিম ইকবাল।