আশা করি, এমন কিছু আর করব না: সাকিব

ক্ষমা চেয়েছেন সাকিব।ছবি: প্রথম আলো

নিজের আচরণের জন্য ক্ষমা চেয়েছেন মোহামেডানের অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। আজ ঢাকা প্রিমিয়ার টি-টোয়েন্টিতে মোহামেডান-আবাহনী ম্যাচে মেজাজ হারিয়ে লাথি মেরে স্টাম্প ভাঙেন মোহামেডান অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে ইনিংসের পঞ্চম ওভারে মুশফিকুর রহিমের বিপক্ষে এলবিডব্লুর আবেদনে সাড়া দেননি আম্পায়ার ইমরান পারভেজ। সঙ্গে সঙ্গেই লাথি মেরে স্টাম্প ভাঙেন সাকিব।

পরের ওভারেই শুভাগত হোমের বোলিংয়ের সময় বৃষ্টি নামলে আম্পায়ার খেলা বন্ধ করার ঘোষণা দিলে সাকিব নিজের হাতে স্টাম্প উপড়ে ফেলেন। বেশ কিছুক্ষণ উত্তপ্ত বাক্যবিনিময় হয় সাকিব ও আম্পায়ারের মধ্যে। এরপর ড্রেসিংরুমে ফেরার পথে আবাহনীর কোচ খালেদ মাহমুদের সঙ্গে তর্কে জড়িয়েছিলেন।

এসব ঘটনার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ক্ষমা চেয়েছেন সাকিব।

আরও পড়ুন
লাথি মেরে স্টাম্প ভাঙেন সাকিব।
ছবি: প্রথম আলো

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সাকিব লিখেছেন, ‘প্রিয় ভক্ত ও অনুসারীরা, মেজাজ হারিয়ে ম্যাচের মুহূর্ত নষ্ট করায় আমি খুবই দুঃখিত। বিশেষ করে যাঁরা বাসা থেকে খেলা দেখছেন। আমার মতো অভিজ্ঞ এক ক্রিকেটারের এভাবে প্রতিক্রিয়া দেখানো ঠিক না, কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে মাঝে মাঝে অবিশ্বাস্য কিছু ঘটে যায়। আমি আমার দল, ম্যানেজমেন্ট, টুর্নামেন্টের কর্মকর্তা ও আয়োজক কমিটির কাছে মানবিক এই ভুলের জন্য ক্ষমা চাইছি। আশা করি, ভবিষ্যতে এমন কিছু আর কখনো করব না। ধন্যবাদ, সবাইকে ভালোবাসি।’

আরও পড়ুন
ড্রেসিংরুমে ফেরার পথে আবাহনীর কোচ খালেদ মাহমুদের সঙ্গে তর্কে জড়িয়েছিলেন সাকিব।
ছবি: প্রথম আলো

এর আগে আবাহনীর ড্রেসিংরুমে এসে কোচ খালেদ মাহমুদের সঙ্গে কথা বলেছেন সাকিব। নিজের আচরণের জন্য মাহমুদের কাছে ক্ষমাও নাকি চেয়েছেন। বিষয়টি জানান আবাহনীর ম্যানেজার শেখ মাসুদ ইকবাল। মাসুদ ইকবাল বলেছেন, ‘সাকিব এসেছিলেন আমাদের ড্রেসিংরুম। তিনি আমাদের কাছে এ ঘটনার জন্য ক্ষমা চেয়েছেন। সেখানে খালেদ মাহমুদ সুজনও ছিলেন। বিষয়টির মীমাংসা হয়ে গেছে। পরে দুজন গলা মিলিয়েছেন। সাকিব নাকি ড্রেসিংরুমে ফেরার পথে দর্শকদের দিকে তাকিয়ে কথা বলছিলেন।’

আবাহনীর খেলোয়াড়দের সঙ্গে রসিকতায় মেতেছেন সাকিব।
ছবি: প্রথম আলো

এর আগে মোহামেডান ব্যাটিং করে ৬ উইকেটে করে ১৪৫ রান। সাকিবের ব্যাট থেকে আসে সর্বোচ্চ ২৭ বলে ৩৭ রান। মাহমুদুল হাসান শেষে ২২ বলে করেন ৩০ রান। সেই রান তাড়া করতে গিয়ে আবাহনী শুরুতেই দুই ওপেনার মোহাম্মদ নাঈম ও আফিফ হোসেনের উইকেট হারায়। তিনে নেমে দ্রুত আউট হন এ কে এস স্বাধীনও।

৯ রানে ৩ উইকেট হারানো আবাহনীকে বিপদ থেকে বাঁচাতে পারতেন আবাহনীর অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম। তাঁর ব্যাটিংয়ের সময়ই এলবিডব্লুর আবেদনে সাড়া না দেওয়ায় তেতে ওঠেন সাকিব। আর ৬ ওভার শেষ হওয়ার সুযোগ না দিয়েই খেলা থামানোয় স্টাম্প উপড়ে নেন। ৫.৫ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে ৩১ রান তুলে ড্রেসিংরুমে যান আবাহনীর দুই ব্যাটসম্যান।

যদিও টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে ৫ ওভার শেষ হলেই ম্যাচের ফল নির্ধারন করা যায়। এ ঘটনার পর বৃষ্টিবিরতি শেষে আবার খেলা শুরু হয়েছিল। ৯ ওভারে ৭৬ রানের নতুন লক্ষ্য পাওয়া আবাহনী ৬ উইকেট হারিয়ে মাত্র ৪৪ রান তুলেছে। ৩১ রানের জয়ে টানা তিন হারের দুঃখ ভুলল মোহামেডান।