কী হবে সাকিবের

উত্তেজনা শেষে প্রতিপক্ষ দলের ক্রিকেটারদের সঙ্গে খুনসুটি করতে দেখা যায় সাকিবকে।ছবি: প্রথম আলো

আবাহনীর বিপক্ষে ম্যাচে মোহামেডান অধিনায়ক সাকিব আল হাসানের স্টাম্পে লাথি দেওয়া ও স্টাম্প আছাড় দেওয়ার ঘটনাটি খতিয়ে দেখবে সিসিডিএম। ম্যাচের দুই আম্পায়ার ইমরান পারভেজ ও মাহফুজুর রহমান এবং ম্যাচ রেফারি মোরশেদুল আলমের প্রতিবেদনের জন্য অপেক্ষা করছে সিসিডিএম।

বিসিবির পরিচালক ও সিসিডিএম–প্রধান কাজী ইনাম আহমেদ আজ বিকেলে সাংবাদিকদের বলেন, ‘এখানে ম্যাচ রেফারি, আম্পায়াররা একটা প্রতিবেদন দেবে। এখানে নিয়মনীতি যা থাকার, সবই আছে। নিয়ম ভাঙলে কী হয়, সেটাও সবাই জানে। যে প্রতিবেদনই আসুক, আমরা সেই অনুযায়ী কাজ করব।’

এমন ঘটনা আর দেখতে চান না সিসিডিএম-প্রধান।
ছবি: টুইটার

সাকিব ম্যাচে যা দেখালেন, তা ক্রিকেট মাঠে দেখতে চান না সিসিডিএম–প্রধান, ‘ম্যাচের মধ্যে অনেক সময় ক্রিকেটাররা উত্তেজিত হয়। তবে আমরা অভিজ্ঞ ক্রিকেটারদের কাছে আবেগ নিয়ন্ত্রণে রাখার ব্যাপারটি প্রত্যাশা করি। আমি নিজেও ছোটবেলা থেকে আবাহনীর সমর্থক। আবাহনী-মোহামেডান খেলা মানেই উত্তেজনা। তবে আজ মাঠের মধ্যে যা দেখেছি, তা হতাশাজনক। এখানে যারা খেলছে, সবাই পেশাদার ক্রিকেটার, অনেকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার। আমরা এমন উদাহরণ দেখাতে চাই না।’

মুশফিকের আউট নিয়েই স্টাম্পে লাথি মেরেছিলেন সাকিব।
ছবি: প্রথম আলো

আজকের ঘটনাটি ঘটে মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে আবাহনী-মোহামেডান ম্যাচের দ্বিতীয় ইনিংসে। মোহামেডানের ১৪৫ রানের জবাবে ইনিংসের পঞ্চম ওভারে আবাহনী অধিনায়ক মুশফিকুর রহিমের বিপক্ষে এলবিডব্লুর আবেদনে আম্পায়ার ইমরান পারভেজ সাড়া না দিলে মেজাজ হারিয়ে সঙ্গে সঙ্গে স্টাম্পে লাথি মারেন সাকিব।
এখানেই শেষ নয়। আবাহনীর ইনিংসের ষষ্ঠ ওভারে বৃষ্টি নামলে আম্পায়ার মাহফুজুর রহমান খেলা বন্ধ ঘোষণা করেন। তিনি যখন মাঠকর্মীদের কাভার আনার ইশারা দিচ্ছেন, তখন সাকিব আম্পায়ারের দিকে এগিয়ে গিয়ে তিনটি স্টাম্পই তুলে উইকেটের ওপর ছুড়ে মারেন। তিনি এ সময় আম্পায়ারকে প্রচণ্ড ক্ষুব্ধ হয়ে কিছু একটা বলছিলেন।

যে আম্পায়ারের সঙ্গে একটু আগেই ঝামেলায় জড়ান, তাঁদের সঙ্গেই হেসে হেসে কথা বলছিলেন সাকিব।
ছবি: প্রথম আলো

খালেদ মাহমুদের দৃশ্যপটে প্রবেশ এর পরপরই। বৃষ্টিতে খেলা বন্ধ হলে খেলোয়াড়েরা তখন মাঠ ত্যাগ করছিলেন। তখনো নিজেকে সামলাতে বেশ কষ্ট হচ্ছিল সাকিবের। গ্যালারিতে থাকা আবাহনীর কিছু সমর্থকদের দিকে তাকিয়ে আঙুল তুলে কিছু বলছিলেন সাকিব। এমন সময় কী ভেবে যেন কোচ মাহমুদও তেড়ে যান। পরে দুই দলের ক্রিকেটাররা দুজনকে আলাদা করেছেন। পরে অবশ্য পুরো ব্যাপারই মিটে গেছে। সাকিব আবাহনীর ড্রেসিংরুমে গিয়ে ক্ষমা চান মাহমুদের কাছে। মাহমুদও তাঁকে জড়িয়ে ধরে ঘটনার পরিসমাপ্তি ঘটান।

বৃষ্টি শেষে অবশ্য ভিন্ন সাকিবকেই দেখা গেল। প্রতিপক্ষ দলের মুশফিক, মোসাদ্দেক ও অন্যান্য ক্রিকেটারের সঙ্গে খুনসুটি করতে দেখা যায় সাকিবকে। যে আম্পায়ারের সঙ্গে একটু আগেই ঝামেলায় জড়ান, তাঁদের সঙ্গেই হেসে হেসে কথা বলছিলেন তিনি। সেই হাসিটা খেলা শেষ হওয়া পর্যন্ত। বৃষ্টিতে আবাহনীকে ৯ ওভারে ৭৬ রানের নতুন লক্ষ্য দিলে ৪৪ রানে থামে আবাহনীর ইনিংস, ফলে মোহামেডান জেতে ৩১ রানে।