লোকেশ রাহুল শুধু যে মুম্বাইকে প্রতিপক্ষ হিসেবে পছন্দ করেন, এমন নয়। ভেন্যু হিসেবেও মুম্বাইকেই তাঁর পছন্দ সেটাও বোঝা যাচ্ছে। এ মৌসুমে দুটি শতক পেয়েছেন। দুটিই মুম্বাইতে। এক সপ্তাহ আগের শতকটি ছিল মুম্বাইয়ের ব্রাবোর্ন স্টেডিয়ামে। আর কালকে ম্যাচ জেতানো ইনিংসটি ছিল ওয়াংখেড়েতে। ৬২ বলে ১২ চার ও ৪ ছক্কায় সাজানো রাহুলের ইনিংসে গড়ে দেওয়া ভিতে দাঁড়িয়েই লক্ষ্ণৌ পেয়েছে ৩৬ রানের জয়।
আর সে পথে ব্যক্তিগতভাবে রাহুল ছুঁয়েছেন কোহলিকে। ২০১৬ মৌসুমে চার শতক পেয়েছিলেন কোহলি। এর মধ্যে দুটি ছিল গুজরাট লায়ন্সের বিপক্ষে। গ্রুপ পর্বে একটি দলের সঙ্গে মাত্র দুবার দেখা হওয়ার সুযোগ থাকে। ফলে চাইলেও এক মৌসুমে এক দলের বিপক্ষে এর চেয়ে বেশি শতক করা কঠিন। একই দলের বিপক্ষে একই মৌসুমে দুটি শতকের কোহলির সে রেকর্ডে ভাগ বসিয়েছেন রাহুল। মুম্বাইয়ের যে অবস্থা, তাতে তাদের প্লে-অফে যাওয়ার সম্ভাবনা শূন্য। ফলে কোহলিকে ছাড়িয়ে যাওয়ার কোনো সুযোগ পাচ্ছেন না রাহুল।
রাহুল অবশ্য আরেকটি রেকর্ডে ঠিকই সবাইকে ছাড়িয়ে গেছেন। গতকালের শতকটি রাহুলের চতুর্থ আইপিএল শতক। ভারতীয়দের মধ্যে শুধু কোহলিই তাঁর চেয়ে এগিয়ে আছেন (৫টি)। কিন্তু রাহুলের তিনটি শতক মুম্বাইয়ের বিপক্ষে। ২০১৯ সালে পাঞ্জাব কিংসের হয়েও মুম্বাইয়ের বিপক্ষে তিন অঙ্কের দেখা পেয়েছিলেন। আইপিএলে অন্য কোনো ব্যাটসম্যান একই দলের বিপক্ষে দুটির বেশি শতক পাননি।
মুম্বাইয়ের বিপক্ষে এখন পর্যন্ত ১৬ ম্যাচ খেলে ৮৬৭ রান করেছেন এবার লক্ষ্ণৌর অধিনায়ক রাহুল। এর অর্ধেক ইনিংসেই অন্তত ৫০ পেরিয়েছেন। অর্থাৎ তিনটি শতক ছাড়া আরও পাঁচটি অর্ধশতক আছে তাঁর। ৮৬.৭০ গড় আর ১৩৫.৮৯ স্ট্রাইকরেট বলছে, কতটা কার্যকর ব্যাটিং করেন রাহুল। এবার প্রথম ম্যাচেও তাঁর ১০৩ রানের ইনিংসটি ছিল মাত্র ৬০ বলের।