সে সময় ক্লার্ক বলেছিলেন, ‘অ্যান্ড্রু সাইমন্ডস টেলিভিশনে এসে আমার অধিনায়কত্বের সমালোচনা করেছে। আমি দুঃখিত, তবে আমি বলতে বাধ্য হচ্ছি, সাইমন্ডস যদি আমার অধিনায়কত্ব নিয়ে কথা বলে, সেটি আমি মেনে নেব না। কারও অধিনায়কত্ব নিয়ে কথা বলাই তার সাজে না। এই সাইমন্ডসই একবার মদ্যপ অবস্থায় নিজের দেশের হয়ে খেলতে নেমেছিল। কারও দিকে আঙুল তোলার মতো যোগ্যতা সাইমন্ডসের নেই।’
তবে সাত বছর পর ক্লার্কের সঙ্গে নিজের সম্পর্ক নিয়ে মুখ খুললেন সাইমন্ডস। ব্রেট লির সঙ্গে এক পডকাস্ট অনুষ্ঠানে তিনি জানিয়েছেন, ক্লার্কের সঙ্গে তাঁর সম্পর্কের অবনতির কারণ। সাবেক এ অলরাউন্ডার দাবি করেছেন, ২০০৮ সালে আইপিএলে দামি বিদেশি ক্রিকেটার হওয়ার পর থেকেই ক্লার্কের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক খারাপ হতে শুরু করে। প্রথম আইপিএলে সাইমন্ডসকে ৫ দশমিক ৪ কোটি রুপি দিয়ে কিনেছিল ডেকান চার্জার্স। তিনিই সে মৌসুমে আইপিএলে বিদেশি ক্রিকেটারদের মধ্যে সবচেয়ে দামি ক্রিকেটার ছিলেন।
সাইমন্ডস বলেন, ‘আমরা খুব ভালো বন্ধু ছিলাম। অস্ট্রেলিয়া দলে আমি ক্লার্কের সঙ্গে অনেকবার জুটি বেঁধে ব্যাটিং করেছি। দলের মধ্যে আমি তার দেখভাল করতাম। দুজনের মধ্যে খুব ভালো একটা সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল।’
ক্লার্ক যে আইপিএলে সাইমন্ডসের দল পাওয়া নিয়ে ঈর্ষাকাতর ছিলেন, সেটি ম্যাথু হেইডেন নাকি তাঁকে জানিয়েছিলেন, ‘ম্যাথু হেইডেন ব্যাপারটা আমাকে বলেছিল। আইপিএল যখন শুরু হয়, তখন আমি অনেক টাকা পেলাম, সেখানে খেলতে গেলাম। ক্লার্কের মধ্যে আমাকে নিয়ে কিছু ঈর্ষা লক্ষ করেছিল হেইডেন। এটাই আসলে পরে আমাদের দুজনের সম্পর্ক প্রভাব ফেলেছিল।’
সাইমন্ডস কিছুটা আক্ষেপ করেই বলেন, ‘অর্থ খুব ভালো জিনিস। কিন্তু এটা মাঝেমধ্যে বিষাক্তও হয়ে ওঠে। অর্থ অনর্থেরও সৃষ্টি করে। আমি মনে করি, আইপিএলের অর্থই ক্লার্কের সঙ্গে আমার সম্পর্কের অবনতি ঘটিয়েছিল। আরও অনেক কিছু আছে কিন্তু ক্লার্কের সম্মানে আমি সেসব বলতে চাই না।’
এখন আর দুজনের মধ্যে কোনো সম্পর্ক নেই বলেই জানিয়েছেন সাইমন্ডস, ‘আমাদের দুজনের কোনো সম্পর্ক এখন আর নেই। আমার কোনো সমস্যাও তাতে হচ্ছে না। আমি ভালোই আছি।’