গেইলের ‘বয়স’ ভাবাচ্ছে লারাকে
এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের শুরুটা মোটেও ভালো হয়নি ওয়েস্ট ইন্ডিজের। প্রথম ম্যাচে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে মাত্র ৫৫ রানে অলআউট হয়েছে তারা। দ্বিতীয় ম্যাচেও দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে হারতে হয়েছে। সে ম্যাচেও ব্যাটিংটা ভালো হয়নি গেইল। তাঁর মতো তারকা নিষ্প্রভ, কাইরন পোলার্ড, আন্দ্রে রাসেলরা কেউই ফর্মে নেই সেভাবে। এভিন লুইস, নিকোলাস পুরানরাও নিজেদের নামের প্রতি সুবিচার করতে পারেননি।
সাবেক ক্যারিবীয় অধিনায়ক, কিংবদন্তি ব্রায়ান লারা গেইলকে নিয়ে বেশি চিন্তিত। প্রথম ম্যাচে ১৩ বলে ১৩ রান করেছেন, দ্বিতীয় ম্যাচে করেছেন ১২ বলে ১২। যাঁর কাছে দলের আশা, তাঁর এমন পারফরম্যান্স মানতে পারছেন না লারা। যদিও এবারের টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপে নিজের পছন্দের ব্যাটিং পজিশন পাননি গেইল। ক্যারিয়ারের পুরোটা সময় ধরে ইনিংস উদ্বোধন করা এই ব্যাটসম্যান এবার নেমে গেছেন এক ধাপ নিচে, তিন নম্বরে। ইনিংস ওপেন করার দায়িত্ব পেয়েছেন লেন্ডল সিমন্স ও এভিন লুইস। কিন্তু এক ম্যাচেও তাঁরা ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ভালো শুরু এনে দিতে পারেননি।
কিংবদন্তি ব্যাটসম্যান ব্রায়ান লারা মনে করেন, ৪২ বছর বয়সী এ ব্যাটসম্যান তিন নম্বরে খেলার উপযোগী নন, ‘যখন শুরুতেই দলের উইকেট পড়ে যাবে, তখন এই পজিশনে (তিন নম্বরে) এমন কাউকে আসতে হবে, যে বিশেষ কিছু করতে পারবে। গেইল কি এখন ওই ধরনের ব্যাটসম্যান যে এই বিপর্যয় সামাল দিয়ে পাল্টা আক্রমণ করতে পারবে? ৪২ বছর বয়সে সে তা পারবে বলে আমার মনে হয় না।’
দলের অপেক্ষাকৃত তরুণ ব্যাটসম্যানরা এই পজিশনে ভালো করবে বলে মনে করেন লারা, ‘আমি মনে করি, শিমরন হেটমায়ার বা নিকোলাস পুরান এই পজিশনে ভালো করতে পারবে। ওদের বয়স এখনো কম এবং ক্ষিপ্রতা অনেক বেশি। ওদের বল দেখার ক্ষমতাও বেশ ভালো।’
পাওয়ারপ্লে ঠিকমতো ব্যবহার করার জন্যই গেইলকে ওপেনিংয়ে দরকার বলে মনে করেন ক্যারিবীয় গ্রেট, ‘ব্যক্তিগতভাবে আমি মনে করি, ক্রিস গেইলকে ইনিংসের শুরুতেই পাঠিয়ে বলে দেওয়া উচিত যে তোমার সাধ্যমতো চেষ্টা করো। পাওয়ারপ্লে ব্যবহার করো, বলকে বাউন্ডারির বাইরে পাঠাও এবং দলকে একটা ভালো শুরু এনে দাও।’
ওয়েস্ট ইন্ডিজের পরের খেলা বাংলাদেশের বিপক্ষে। সুপার টুয়েলভের প্রথম দুই ম্যাচ হেরে ধুঁকছে বাংলাদেশও। ঘুরে দাঁড়ানোর জন্য ওয়েস্ট ইন্ডিজের জন্য বড় সুযোগই হতে পারে ম্যাচটি। এ ম্যাচে গেইলকে ওপেনিংয়ে পাঠানো হবে কি না, সেটি অবশ্য সময়ই বলে দেবে।