ঘরোয়া ক্রিকেটে নতুন পদ্ধতি আসছে, জানালেন মিনহাজুল

মিনহাজুল আবেদীন
মিনহাজুল আবেদীন
>দেশের ঘরোয়া ক্রিকেটে নতুন পরিকল্পনা আসছে, বললেন প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন।

মিনহাজুল আবেদীন বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের প্রধান নির্বাচক। আবার কুমিল্লা ওয়ারিয়র্সের টেকনিক্যাল অ্যাডভাইজরও। জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে কুমিল্লার অনুশীলনের মাঝেই ঘরোয়া ক্রিকেট নিয়ে সংবাদমাধ্যমকে নতুন তথ্য দিলেন মিনহাজুল, ‘সামনের বিসিএল থেকেই দেখতে পাবেন আমরা কি পরিকল্পনা করছি দীর্ঘ পরিসরের (লঙ্গার ভার্সন) ক্রিকেটের জন্য। আগামী এনসিএলেও দেখবেন নতুন পরিকল্পনা আমরা শুরু করছি।’

দেশের ঘরোয়া ক্রিকেটে এখন পাঁচটি টুর্নামেন্ট চলছে—ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ (ওয়ানডে), বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগ-বিসিএল (চার দিনের), জাতীয় ক্রিকেট লিগ-এনসিএল (চার দিনের) ও বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ-বিপিএল (টি-টোয়েন্টি)। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পুরোনো ফর্মুলায় ফিরে যাওয়ার পরিকল্পনা করা হচ্ছে। এর আগে দেশের ঘরোয়া ক্রিকেটে জাতীয় লিগে চার দিনের ম্যাচ শেষে পঞ্চম দিনে ওয়ানডে খেলা হতো। সংস্করণটি ফিরিয়ে আনার কথা ভাবা হচ্ছে।

মিনহাজুল অবশ্য পুরোনো ব্যবস্থায় ফেরার কথা সরাসরি বলেননি। লঙ্গার ভার্সনে পরিবর্তন আনা হবে কি না, প্রশ্নের জবাবে তিনি নতুন পরিকল্পনার কথা বলেন। জাতীয় দলের প্রধান এ নির্বাচক গুরুত্ব দিলেন ক্রিকেটারদের ফিটনেস বাড়ানোর ক্ষেত্রেও, ‘খেলোয়াড়দের পারফরম্যান্সের মূল্যায়ন প্রত্যেক ক্ষেত্রেই করা হবে।ফিটনেসও বাড়াতে হবে। অন্যান্য টেস্ট খেলুড়ে দেশের চেয়ে ফিটনেসে আমরা পিছিয়ে আছি এখনো। এই ফিটনেস লেভেল আরও ওপরে নিতে পারলে এমনিতেই পারফরম্যান্সের মান বেড়ে যাবে।’

পাকিস্তান সিরিজ নিয়েও কথা বললেন মিনহাজুল। জানুয়ারিতে পাকিস্তানে সিরিজ আছে বাংলাদেশ দলের। সে সফরে যাওয়া হবে কিনা, সেটি এখনো নিশ্চিত নয় তবে সফরে গেলে দল তো তৈরি করতে হবে। এ ব্যাপারে নির্বাচকেরা ভেবেছেন কিনা, তা-ই জানতে চাওয়া হলো মিনহাজুলের কাছে। তবে তাঁর কথা এ নিয়ে তারা এখনো ভাবেননি, ‘দল নিয়ে এখনই সেভাবে চিন্তা করতে পারছি না। বিপিএল অর্ধেক শেষ না হলে, সেভাবে চিন্তা করা যাচ্ছে না। অর্ধেক টুর্নামেন্ট শেষ হোক, এরপরে আমরা চিন্তা করব।’

মিনহাজুল জানালেন, ‘বিপিএলে যেসব তরুণ খেলোয়াড় পারফর্ম করছেন তারা অবশ্যই নজরে আছে। দেখা যাক অর্ধেক টুর্নামেন্ট গেলে বলতে পারব খেলোয়াড়দের স্থিতি কতটুকু।’
তবে জাতীয় দলের সাবেক এ ক্রিকেটার এ কথাও মনে করিয়ে দিলেন, ‘একটা দেশকে প্রতিনিধিত্ব করা এবং অন্য দেশের সঙ্গে খেলা অন্য ব্যাপার। আপনি দেখবেন যে ঘরোয়া ক্রিকেটে অনেকের পারফরম্যান্স অনেক উঁচুতে, কিন্তু আন্তর্জাতিক অঙ্গনে আসলে সে আর পারফরম করতে পারে না। তাই অনেক কিছু বিবেচনা করে দল গঠন করতে হয়।

প্রধান নির্বাচক আরও জানালেন, এখন আর শুধু এনসিএল, বিসিএল, বিপিএলের পারফরম্যান্স দেখা হবে না, ‘সব পারফরম্যান্স দেখা হবে। ক্রিকেটারদের সবদিক দিয়ে দেখা হচ্ছে। ফিটনেসের গুরুত্ব সবার আগে।’