ছয় ছক্কা মেরে যুবরাজের ফোনের অপেক্ষায় যুক্তরাষ্ট্রের মালহোত্রা

ঐতিহাসিক ইনিংসের পর মালহোত্রাছবি: টুইটার

এ কাজটা আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে খুব কম লোকই করেছেন। খুব কম বলতে আঙুলে গুনে দেখিয়ে দেখানো যায়—হার্শেল গিবস, যুবরাজ সিং, কাইরন পোলার্ড এবং...?

এবং যশকরণ মালহোত্রা। প্রথম তিনটি নাম বলার পর আর পরিচয় করিয়ে দিতে হয় না। কিন্তু আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে চতুর্থ ক্রিকেটার হিসেবে এক ওভারে ছয় ছক্কা মারা ব্যাটসম্যানকে হয়তো অনেকেই চিনবেন না। যুক্তরাষ্ট্র ক্রিকেট দলের উইকেটকিপার অনন্য এই কীর্তিটা গড়েছেন ৯ সেপ্টেম্বর। ওমানে আল আমেরাতে পাপুয়া নিউগিনির বিপক্ষে অপরাজিত ১৭৩ রানের ইনিংস খেলার পথে ছয় ছক্কা মেরেছেন মালহোত্রা।

এমন কীর্তি গড়ার পর সবার প্রশংসা শুনছেন, শুভেচ্ছাবার্তা পাচ্ছেন, তবু আশ মিটছে না মালহোত্রার। কারণ, তাঁর মনের আশা পূরণ করতে পারেন যিনি, সেই যুবরাজ সিংয়ের বার্তা এখনো পৌঁছায়নি তাঁর কাছে।

সেদিন দলকে ২৭১ রানে পৌঁছে দেওয়ার পথে পাপুয়া নিউগিনি ইনিংসের ৫০তম ওভারে মিডিয়াম পেসার গডি টোকার সব বলেই ছয় মেরেছেন মালহোত্রা। সব মিলিয়ে ইনিংসে ১৬টি ছক্কা মেরেছেন। সঙ্গে চারটি চার ছিল। ১২৪ বলের সে ইনিংসের পর ১৩৪ রানের জয় পেয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।

প্রথম আমেরিকান হিসেবে ওয়ানডেতে সেঞ্চুরি করা মালহোত্রা ওয়ানডেতে দ্বিতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে এক ওভারে ছয় ছক্কা মারলেন। প্রথম কীর্তিটা হার্শেল গিবসের। ২০০৭ বিশ্বকাপে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে সে কীর্তি ছিল গিবসের। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সর্বশেষ এ কাজটা করা পোলার্ডের অভিনন্দন বার্তা অবশ্য পেয়ে গেছেন। ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগে সেন্ট লুসিয়া স্টারসের হয়ে পোলার্ডের অধীনে খেলেন মালহোত্রা।

কিন্তু গিবস বা পোলার্ড নয়, মালহোত্রার আগ্রহ টি-টোয়েন্টিতে প্রথম সে কীর্তি গড়া যুবরাজকে নিয়েই। ক্রিকইনফোকে বলেছেন, ‘আমি জানি যুবি ভাই (যুবরাজ) আমাকে খুব দ্রুতই ফোন দেবেন। আমি খুব আগ্রহে সেটার অপেক্ষায় আছি।’

অপেক্ষায় থাকারই কথা, যুক্তরাষ্ট্রের হয়ে খেললেও মালহোত্রার জন্ম, বেড়ে ওঠা সব ভারতের পাঞ্জাবে। হিমাচল প্রদেশের হয়ে অনূর্ধ্ব-১৫ ও অনূর্ধ্ব-১৭ দলে খেলেছেন। অধিনায়কও ছিলেন। ভারত অনূর্ধ্ব-১৯ দলে ডাক পাওয়ার খুব কাছাকাছি চলে গিয়েছিলেন। কিন্তু সে দলে আর ডাক পাননি। বিরাট কোহলির মতো এক তারকার সঙ্গে তাই বিশ্বকাপ জেতার ভাগ্য তাঁর হয়নি।

ক্যারিয়ারে এরপর শুধু পিছিয়ে যাচ্ছিলেন ভারতে। তাই ২০১৪ সালে যুক্তরাষ্ট্রে থিতু হওয়ার সিদ্ধান্ত নেন, ‘আমি ভারতের হয়ে সর্বোচ্চ পর্যায়ে খেলার স্বপ্ন দেখতাম। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের হয়ে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে খেলাটাও তৃপ্তিদায়ক।’