জমাট সিরিজের ঠান্ডা ফাইনাল

জিম্বাবুয়ে-শ্রীলঙ্কা ফাইনালটা জমল না! ছবি: এএফপি
জিম্বাবুয়ে-শ্রীলঙ্কা ফাইনালটা জমল না! ছবি: এএফপি

এক ম্যাচ ‘টাই’ হয়ে গেল। পরের ম্যাচে শ্রীলঙ্কা জিতল মাত্র ১ রানে। তার পরের ম্যাচে জিম্বাবুয়ের জয় এল ৫ রানে। সেই জয়ে ডাকওয়ার্থ-লুইস ভূমিকা রাখল, তবে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে দর্শক বানিয়ে শ্রীলঙ্কার সঙ্গে জিম্বাবুয়ের ফাইনালে ওঠাও তো চমকের।

কিন্তু নিজেদের মাঠে প্রথম কোনো ত্রিদেশীয় সিরিজের ট্রফি জেতার স্বপ্ন পূরণ হলো না জিম্বাবুয়ের। ফাইনালটাও জমল না একেবারে। জিম্বাবুয়ে তুলতে পারল ১৬০। ৬ উইকেট হাতে রেখে ৩৮তম ওভারে ম্যাচ জিতে নিল শ্রীলঙ্কা। কুশল মেন্ডিস আর উপুল থারাঙ্গা দুজনই করলেন ৫৭।
জিম্বাবুয়ে শুরু থেকেই ম্যাচে ধুঁকেছে ষষ্ঠ ওভারের প্রথম বলে ঝমঝমিয়ে নামল বৃষ্টি। জিম্বাবুয়ে তখন ২ উইকেটে ২০। স্বাগতিকেরা আসল সমস্যায় পড়ল খেলা শুরু হওয়ার পর। থেমে থেমে যে উইকেট বৃষ্টি চলল!
মুসাকান্দার ৩৬, আরভিনের ২৫ কিংবা শন উইলিয়ামসের ৩৫ রানের ইনিংস তিনটার কোনোটাই কেউ টেনে নিয়ে যেতে পারলেন না। জিম্বাবুয়ের ইনিংসে ৬ ব্যাটসম্যান দুই অঙ্ক ছুঁয়েও তাই শেষ পর্যন্ত ৩৬.৩ ওভারে অলআউট ক্রেমারের দল।
৫০ ওভারে ১৬১ রানের লক্ষ্য এ যুগের ক্রিকেটে কিছুই না। যদি না শুরুতেই অবিশ্বাস্য কোনো ধাক্কা দেওয়া যায়। ওপেনার ধনঞ্জয় ডি সিলভাকে প্রথম বলে শূন্য রানে ফিরিয়ে একটা ক্ষীণ আশাও জাগিয়ে তুললেন ব্রায়ান ভিটোরি। নিজের তৃতীয় আর চতুর্থ ওভারে নিলেন আরও দুই উইকেট। শ্রীলঙ্কা যেন খেলার মাঝবিরতিতেই ম্যাচ শেষ করার তাড়ায় নেমেছিল।
৪২ রানে ৩ উইকেট পড়ে গিয়েছিল বলেই হয়তো থারাঙ্গা আরও বেশি ‘থারাঙ্গা’ হয়ে গেলেন। ৫৭ করলেন ৯৮ বলে। কোনো টুর্নামেন্ট ফাইনালে সর্বশেষ কোনো ব্যাটসম্যানের ৬০-এর নিচের স্ট্রাইক রেটে ফিফটি এসেছিল থারাঙ্গার ব্যাটেই, ২০১২ সালে।
জিম্বাবুয়ে দিয়েছিলই এমন লক্ষ্য, থারাঙ্গার এমনও ব্যাটিংয়েও শ্রীলঙ্কা জিতল ৭৫ বল হাতে রেখে!