টস
শেষ ম্যাচে টসে জিতেছেন নিউজিল্যান্ড অধিনায়ক টম ল্যাথাম। আগে ব্যাটিং করবেন তাঁরা।
বাংলাদেশ একাদশ
বাংলাদেশ একাদশে আছে চারটি পরিবর্তন। দলে এসেছেন সৌম্য সরকার, শামীম হোসেন, শরীফুল ইসলাম ও তাসকিন আহমেদ। আগে থেকেই জানা গিয়েছিল এ ম্যাচে খেলবেন না সাকিব আল হাসান। তাঁর সঙ্গে আজকের ম্যাচে নেই মেহেদী হাসান, মোস্তাফিজুর রহমান ও মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন।
একাদশ
মাহমুদউল্লাহ (অধিনায়ক), মোহাম্মদ নাঈম, লিটন দাস, সৌম্য সরকার, মুশফিকুর রহিম, আফিফ হোসেন, নুরুল হাসান, শামীম হোসেন, নাসুম আহমেদ, শরীফুল ইসলাম, তাসকিন আহমেদ
নিউজিল্যান্ড একাদশ
আগের ম্যাচে ব্যাটিংয়ের সময় চোট পাওয়া টম ব্লান্ডেল ছিটকে গেছেন এ ম্যাচ থেকে। কিউইদের একাদশে আছে আরও দুটি পরিবর্তন- ব্লেয়ার টিকনার ও হামিশ বেনেটের জায়গায় এসেছেন স্কট কুগেলেইন ও বেন সিয়ার্স। খেলছেন জ্যাকব ডাফিও।
একাদশ
ফিন অ্যালেন, রাচিন রবীন্দ্র, উইল ইয়াং, কলিন ডি গ্র্যান্ডহোম, টম ল্যাথাম (অধিনায়ক), হেনরি নিকোলস, কোল ম্যাকনকি, স্কট কুগেলেইন, এজাজ প্যাটেল, জ্যাকব ডাফি, বেন সিয়ার্স
স্মরণে নাদির শাহ
৫৭ বছর বয়সে চলে গেছেন আইসিসি ইন্টারন্যাশনাল প্যানেলের সাবেক আম্পায়ার নাদির শাহ। তাঁর স্মরণে শেষ টি-টোয়েন্টির আগে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়েছে আজ। দুই দলের ক্রিকেটাররা নেমেছেন কালো আর্মব্যান্ড পরে।
শুরু করলেন তাসকিন
থানা প্রান্ত থেকে ইনিংস ওপেন করেছেন তাসকিন আহমেদ। মুভমেন্টের দেখা পেয়েছেন, ছিল পেসও। ফিন অ্যালেন ও রাচিন রবীন্দ্র নিয়েছেন একটি করে সিঙ্গেল। সিরিজে তাসকিন খেলছেন প্রথমবারের মতো।
ক্যাচ মিস, চার, ছয়
‘একটা দলের ফিল্ডিংটাই মূল।’
গতকাল টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে জায়গা পাওয়ার পর ফিল্ডিং নিয়ে বলেছিলেন শামীম হোসেন। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আবির্ভাবের পূর্বেই শামীমের পরিচিতি দারুণ ফিল্ডার হিসেবে।
সেই শামীমই ফেললেন বেশ সহজ একটা ক্যাচ। নাসুমের শর্টলেংথের বলটা টেনে মেরেছিলেন রাচিন রবীন্দ্র, ডিপ মিডউইকেটে একটু নীচু হয়ে হাতে নিতে পারলেও রাখতে পারেননি শামীম।
ফিন অ্যালেন অবশ্য ঠিক পরের বলেই মেরেছেন চার, এরপরের বলে ছয়। দুবারই নাসুমকে টেনে শট খেলেছেন তিনি। দ্বিতীয় ওভারে নিউজিল্যান্ড তুলেছে ১২ রান।
১৯ রানের ওভার
প্রথমে শর্ট বলে পুল করে ফাইন লেগ দিয়ে চার, এরপর ফুললেংথ থেকে টেনে মিডউইকেট দিয়ে ছয়- ফিন অ্যালেন সেখানেই থামেননি। শরীফুল ইসলাম আবার শর্ট লেংথে গিয়েছিলেন, আবারও ফাইন লেগ দিয়ে চার মেরেছেন অ্যালেন। ওভারের শেষ বলে শর্ট বলে চার মেরেছেন রাচিন রবীন্দ্রও। শরীফুলের সিরিজের প্রথম ওভারে উঠেছে ১৯ রান, ৪ ওভার শেষে নিউজিল্যান্ডের স্কোর ৩৮। নিজের দ্বিতীয় ওভারে একটা বাউন্ডারির পরও তাসকিন দিয়েছিলেন ৫ রান।
ব্রেকথ্রু দিলেন শরীফুলই
প্রথম ৯ বলে ৩০ রান, শরীফুল এরপর পেলেন উইকেটের দেখা। আগের বলেই অন দ্য আপে চার মেরেছিলেন রাচিন রবীন্দ্র, শরীফুল এরপর গেছেন শর্ট লেংথে। সেটাতেও তুলে মারতে গিয়ে ক্যাচ তুলেছেন রবীন্দ্র, মিড-অফে মুশফিক নিয়েছেন ক্যাচ। নিউজিল্যান্ড প্রথম উইকেট হারাল ৫৮ রানের মাথায়।
জীবন পেয়েও কাজে লাগাতে পারলেন না অ্যালেন
রিভিউ নিয়ে বাঁচলেন, ঠিক পরের বলেই বোল্ড! শরীফুলের বলে একদফা নাটকই হয়ে গেল ফিন অ্যালেনের! প্রথমে ফুললেংথের বলে ঘুরিয়ে খেলতে গিয়ে মিস করেছেন অ্যালেন, বাংলাদেশের আবেদনে সাড়া দিতে সময় নেননি আম্পায়ার তানভীর আহমেদ। অ্যালেন রিভিউ নিয়েছেন, আল্ট্রা-এজে কিছু না দেখালেও বল পড়েছে লেগস্টাম্পের বাইরে। ঠিক পরের বলটা ছিল লেগস্টাম্পের ওপর, তবে অদ্ভুতভাবে ঘুরিয়ে খেলতে গিয়ে মিস করে বোল্ড হয়েছেন অ্যালেন। ২৪ বলে ৪১ রান করেই থামলেন তিনি। পাওয়ার প্লে-র ৬ ওভারে নিউজিল্যান্ড তুলেছে ৫৮ রান, হারিয়েছে ২ উইকেট।
মাহমুদউল্লাহর প্রথম বলেই চার
এই সিরিজে মাহমুদউল্লাহকে নিয়মিত বল করতে দেখা গেছে। আজ অবশ্য উইকেটে খুব একটা স্পিন ধরছে না। প্রথম বলেই মাত্র নামা টম ল্যাথাম চার মেরেছেন। লেংথ বল পেয়ে আর ভুল করেননি নিউজিল্যান্ড অধিনায়ক। ওভারের বাকি সময়ে অবশ্য রান আটকে রেখেছেন মাহমুদউল্লাহ। সপ্তম ওভার থেকে এসেছে মাত্র ৫ রান।
বোলিংয়ে সৌম্য সরকার
বহুদিন পর দলে ফিরে ভালোই করলেন সৌম্য। প্রথম ওভারে মাত্র ৪ রান দিয়েছেন। ৮ ওভার শেষে ২ উইকেটে ৬৭ রান নিউজিল্যান্ডের। পাওয়ার প্লের পর ২ ওভারে মাত্র ৯ রান পেয়েছে সফরকারীরা।
চার!
আফিফের ধাক্কা
আফিফকে বোলিংয়ে এনে সঙ্গে সঙ্গে কাজে লেগেছে। আফিফের চতুর্থ বলে বিদায় নিলেন উইল ইয়াং। আফিফের দ্বিতীয় বলেই চার মারা ইয়াং ৮ বলে ৬ রান করে ফিরেছেন।
৯ ওভারে ৩ উইকেটে ৭১ রান নিউজিল্যান্ডের
ছক্কা!
সৌম্যের বলে ছক্কা মারলেন কলিন ডি গ্র্যান্ডহোম। হাফ পিচ বল পেয়েই মিড উইকেট দিয়ে মেরেছেন গ্র্যান্ডহোম।
১০ ওভার শেষে ৩ উইকেটে ৮১ রান নিউজিল্যান্ডের
এ সিরিজে পাওয়ার প্লেতে সর্বোচ্চ রান তোলার পর ১০ ওভারের সর্বোচ্চ রানও তুলে ফেলল নিউজিল্যান্ড।
৯ রান করে ফিরলেন গ্র্যান্ডহোম
সৌম্যকে আগের ওভারেই ছক্কা মেরেছেন গ্র্যান্ডহোম। নাসুমের বলেও সে চেষ্টা নিয়েছিলেন। কিন্তু এবার ঠিকভাবে মারতে পারলেন না। বল শুধু উপরেই উঠেছে। মিড অফের কাছে ধরা পড়েছেন শামীমের হাতে। ভয়ংকর এক সিরিজ কাটল গ্র্যান্ডহোমের। আগের চার ম্যাচে ৯ রান করা গ্র্যান্ডহোম আজ করেছেন ৯ রান। ৮৩ রানে ৪ উইকেট হারাল নিউজিল্যান্ড।
১১ ওভার শেষে নিউজিল্যান্ড ৮৫/৪
১২তম ওভারেই ৭ম বোলার
মাহমুদউল্লাহ নিজে এসেছিলেন। এরপর আফিফ হোসেন, সৌম্য সরকারের পর শামীম হোসেনকেও বোলিংয়ে এনেছেন মাহমুদউল্লাহ। সিরিজ জয় আগেই নিশ্চিত হওয়ার পর এ ম্যাচে চার পরিবর্তন নিয়ে নেমেছে বাংলাদেশ। বোলিংয়েও পার্ট-টাইমারদের ওপর ভরসা করছেন মাহমুদউল্লাহ। এমনিতেও সাকিব-মেহেদী নেই বলে অবশ্য স্বীকৃতি তিনজন বিশেষজ্ঞ বোলার নিয়েই খেলছে বাংলাদেশ।
বৈপরীত্য
৮ বল, ৪ উইকেট
এ সিরিজে এ নিয়ে চতুর্থবার নাসুম আহমেদের শিকার কলিন ডি গ্র্যান্ডহোম।
কতদূর যাবে নিউজিল্যান্ড?
পাওয়ার প্লে-তে ৫৮ রান তুলেছিল নিউজিল্যান্ড। এরপর দ্রুত উইকেট হারিয়ে চাপে পড়া কিউইদের পুনর্গঠনের কাজটা করছেন টম ল্যাথাম ও হেনরি নিকোলস। দুজনের জুটিতে এখন পর্যন্ত উঠেছে ৩২ রান। ৪ ওভার বাকি থাকতে নিউজিল্যান্ডের স্কোর ৪ উইকেটে ১১৬ রান।
সুযোগ হাতছাড়া, এরপর দারুণ ক্যাচ
নিকোলসের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝিতে ক্রিজের মাঝপথে এসে দাঁড়িয়ে পড়েছিলেন টম ল্যাথাম। তবে পয়েন্ট থেকে এক স্টাম্পের লক্ষ্য ভেদ করতে পারেননি লিটন দাস। অবশ্য পরের বলেই দারুণ এক ক্যাচে ফিরেছেন নিকোলস। অফস্টাম্পের বাইরের বলে ব্যাট চালিয়েছিলেন নিকোলস, বাঁদিকে ঝাঁপিয়ে ভালো ক্যাচ নিয়েছেন নুরুল। ১১৮ রানে ৫ম উইকেট হারিয়েছে নিউজিল্যান্ড।
হেলমেটে আঘাত পেলেন ল্যাথাম
তাসকিনের ব্যাক অফ দ্য হ্যান্ড স্লোয়ার ডেলিভারি মিস করে হেলমেটে আঘাত পেয়েছেন নিউজিল্যান্ড অধিনায়ক টম ল্যাথাম। আইসিসির নিয়ম অনুযায়ী, হেলমেটে লাগলে এখন ফিজিওর দ্বারস্থ হওয়া বাধ্যতামূলক। ল্যাথাম আপাতত ঠিকঠাকই আছেন, তবে পরিবর্তন আসছে তাঁর হেলমেটে।
বুম, বুম!
হেলমেটে আঘাত লাগার আগে-পরের দুই বলে তাসকিনকে দুই ছয় মেরেছেন ল্যাথাম। দুটিই স্লটে পেয়েছেন, দুটিই ছয় হয়েছে স্কয়ার লেগ দিয়ে। ১ ওভার বাকি থাকতে ১৫০ রান পেরিয়েছে নিউজিল্যান্ড। শেষ ওভারে ১৮ রান গুণেছেন তাসকিন, ৪ ওভারে ৩৪ রান দিয়ে বোলিং শেষ করলেন তিনি। আজ নিয়েছেন ১ উইকেট।
অ্যালেনের পর ল্যাথামে ভর করে নিউজিল্যান্ডের ১৬১
শুরুতে ফিন অ্যালেন, শেষে টম ল্যাথাম।
অ্যালেনের ২৪ বলে ৪১ রানের পর অধিনায়ক ল্যাথামের অপরাজিত ফিফটিতে সিরিজের সর্বোচ্চ ১৬১ রান তুলল নিউজিল্যান্ড।
রাচিন রবীন্দ্রকে নিয়ে শুরুটা দারুণ করেছিলেন অ্যালেন, টসে জিতে নিউজিল্যান্ড ব্যাটিং নেওয়ার পর। ৫.৩ ওভারে উঠেছিল ৫৮ রান, এরপর অবশ্য শরীফুল ইসলামের জোড়া আঘাতে ছন্দপতন হয় কিউইদের। দুই ওপেনারের পর উইল ইয়াং ও কলিন ডি গ্র্যান্ডহোম ফিরেছেন দ্রুতই, বাংলাদেশ বোলাররা চড়াও হয়েছিলেন নিউজিল্যান্ডের ওপর। তবে হেনরি নিকোলসকে নিয়ে পুনর্গঠনের কাজটা শুরু করেন ল্যাথাম। দুজনের ৩৫ রানের জুটি ভাঙে তাসকিনের বলে। এরপর কোল ম্যাকনকিকে নিয়ে নিউজিল্যান্ডের গিয়ার বদলানোর কাজটা করেছেন ল্যাথাম।
শেষ ৫ ওভারে নিউজিল্যান্ড তুলেছে ৫৪ রান, ম্যাকনকির সঙ্গে ল্যাথামের জুটিতে মাত্র ২১ বলেই উঠেছে ৪৩ রান। নিশ্চিতভাবেই সিরিজের অন্য ম্যাচগুলোর তুলনায় ব্যাটিংয়ের জন্য বেশ ভালো উইকেট আজ, নিউজিল্যান্ড সেটা কাজেও লাগাল। আগের ৪ ম্যাচে নিউজিল্যান্ড মোট ছয় মেরেছিল ৪টি, আজ এক ইনিংসেই হয়েছে ৬টি ছয়!
নিউজিল্যান্ড: ২০ ওভারে ১৬১/৫ (অ্যালেন ৪১, ল্যাথাম ৫০*, নিকোলস ২০, ম্যাকনকি ১৭*, শরীফুল ২/৪৮, তাসকিন ১/৩৪, নাসুম ১/২৫, আফিফ ১/১৮)
১ম ওভারে ৮
হামিশ বেনেটের প্রথম বলেই চার মেরে শুরু করেছেন মোহাম্মদ নাঈম। ১৬১ রান তাড়ায় প্রথম ওভারে উঠেছে ৮ রান।
৪ ওভারে ২৪/০
৪ ওভার, চার জন বোলার। দুই পেসারের সঙ্গে দুই স্পিনারকে এনেছেন টম ল্যাথাম। এখন পর্যন্ত হয়েছে তিনটা বাউন্ডারি। বাংলাদেশ ২৪ রান তুলেছে কোনো উইকেট না হারিয়ে।
ফিরলেন লিটন
একটু যেন অস্থিরই হয়ে পড়লেন লিটন দাস। এজাজ প্যাটেলের প্রথম বলেই কাট করতে গিয়ে ঠিকঠাক টাইমিং হয়নি। এবার ক্রিজ ছেড়ে বেড়িয়ে এসে খেলতে গিয়ে তুললেন ক্যাচ। পয়েন্টে ভালো ক্যাচ নিয়েছেন স্কট কুগেলেইন, ২৬ রানে ১ম উইকেট হারিয়েছে বাংলাদেশ।
এবার পারবে বাংলাদেশ?
বাংলাদেশের লক্ষ্য ১৬২। এর আগে এতো রান তাড়া করে টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশ জিতেছে চারবার। সর্বশেষটি এ বছরই, জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে বাংলাদেশ জিতেছিল ১৯৪ রান তাড়া করে। টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রান তাড়ার রেকর্ডটা এসেছিল ২০১৮ সালে। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সেবার কলম্বোতে বাংলাদেশের লক্ষ্য ছিল ২১৫।
শেষ পাওয়ার প্লে
পাওয়ার প্লে-তে নিউজিল্যান্ড তুলেছিল ৫৮ রান, অবশ্য শেষ ৩ বলের ব্যবধানে ২ উইকেট হারিয়েছিল তারা। প্রথম ৬ ওভারে লিটন দাসের উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশ তুলেছে ৩৫ রান। প্রয়োজনীয় রান রেট এখন ৯.০৭।
ফেরাটা সুখকর হল না সৌম্যর
পয়েন্টে আরেকটা ভালো ক্যাচ, আরেকটা উইকেট। এবার কোল ম্যাকনকিকে জোরের ওপর কাট করতে রাচিন রবীন্দ্রর হাতে ধরা পড়েছেন সৌম্য সরকার, টাইমিং হয়নি ঠিকঠাক। সামনে ডাইভ দিয়ে বেশ ভালো একটা ক্যাচ নিয়েছেন রবীন্দ্র। লিটন দাসের পর সৌম্যও ফিরলেন প্রায় একই জায়গায় ক্যাচ দিয়ে। একাদশে ফেরার ম্যাচে ৯ বলে ৪ রান সৌম্যর, ৩৮ রানে বাংলাদেশ হারাল দ্বিতীয় উইকেট।
বেন সিয়ার্সের গতির কাছে হার মানলেন নাঈম
সিরিজ শুরুর আগে থেকে সিয়ার্সের গতি নিয়ে ছিল আলোচনা। তবে এ উইকেটে সেভাবে আর ছাপ এর আগে কই রাখতে পারলেন নিউজিল্যান্ড পেসার। আজ অবশ্য প্রথম দুই বলেই দেখালেন ঝলক।
প্রথম বলটা পুরোপুরি মিস করে গেলেও পরের বলে আবারও ব্যাট চালিয়ে কট-বিহাইন্ড হয়েছেন মোহাম্মদ নাঈম। ঘন্টায় ১৪৭ কিলোমিটার গতির বলে আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের প্রথম উইকেট পেয়েছেন সিয়ার্স, নাঈম ফিরেছেন ২১ বলে ২৩ রান করে। ১৩ রানের ব্যবধানে ৩ উইকেট হারিয়ে ধুঁকছে বাংলাদেশ।
আকাশের রঙ হাওয়াই মিঠাইয়ের মতো
ফেরার মিছিলে যোগ দিলেন মুশফিক
টাইমিং-ই করতে পারছেন না বাংলাদেশ ব্যাটসম্যানরা। সর্বশেষ জোরের ওপর শট খেলে ক্যাচ তুলে ফিরলেন মুশফিকুর রহিম। রাচিন রবীন্দ্রর বলে লং-অফে কলিন ডি গ্র্যান্ডহোমের হাতে ধরা পড়েছেন তিনি, ৮ বলে ৩ রান করেই। সিরিজে এ নিয়ে তিনবার দুই অঙ্কের নিচেই থামলেন মুশফিক (এর মাঝে দুটি শূন্য)। ৪৬ রান তুলতেই চতুর্থ উইকেট হারিয়ে ফেলল বাংলাদেশ।
১০ ওভারে ৪৮/৪
মাঝপথে স্কোরকার্ডটার চেহারা খুব একটা সুবিধার নয় বাংলাদেশের। ৪৮ রান তুলতে ৪ উইকেট হারিয়ে ফেলেছে স্বাগতিকরা। শেষ ১০ ওভারে প্রয়োজন ১১৪ রান, প্রতি ওভারে তুলতে হবে ১১ রানেরও বেশি।
১১ ওভার শেষে ৫৬/৪
১১তম ওভার থেকে এল ৮ রান।
ছক্কা!
সিয়ার্সের বলে একদম নিখুঁত টাইমিং হলো আফিফ হোসেনের। পায়ের ওপর করা বলটা স্কয়ার লেগ দিয়ে উড়িয়ে মেরেছেন আফিফ। সসীমানায় থাকা ফিল্ডার বলে হাত লাগালেও সেটা উড়েই বাইরে পড়েছে। ১২ ওভার শেষে বাংলাদেশ ৭০/৪।
১৩তম ওভারের প্রথম বলেও চার
আফিফের ছক্কার স্মৃতি তাজা। পরের বলেই চার মাহমুদউল্লাহর। রচিন রবীন্দ্রের বলে চার মারা শুরু ওভারে এল ৯ রান। ১৩ ওভার শেষে ৪ উইকেটে ৭৯ রান বাংলাদেশের।
বেঁচে গেলেন মাহমুদউল্লাহ
ম্যাককনকির বলে ক্যাচ তুলে দিয়েছিলেন ১৩ রানে থাকা মাহমুদউল্লাহ। কিন্তু সে ক্যাচ ধরতে গিয়ে ভুল করে বসেন ম্যাককনকি।
এবার বাঁচলেন আফিফ
দ্বিতীয় বলে রান আউট হতে হতে বেঁচে গেলেন আফিফ।
ছক্কা!
ঘটনাবহুল ওভার। প্রথম দুই বলে দুই ব্যাটসম্যান বেঁচে গেছেন। তৃতীয় বলেই ছক্কা মাহমুদউল্লাহর। বল একদম ব্যাটের সামনে পেয়ে ভুল করনেওনি। মিড উইকেট দিয়ে বিশাল এক ছক্কা। চতুর্থ ম্যাচে ঠিক এমন এক ছক্কায় ম্যাচ বাংলাদেশের দিকে নিয়ে গিয়েছিলেন মাহমুদউল্লাহ।
ওভারের দ্বিতীয় ছক্কা
এবার আফিফ মারলেন ছক্কা। মিডউইকেট দিয়ে মারা ছয়ে ১৪তম ওভার থেকে এল ১৫ রান। বাংলাদেশ ৯৪/৪। ৬ ওভারে দরকার ৬৮ রান।
দ্রুত রান তুলছেন আফিফ ও মাহমুদউল্লাহ
শেষ ৪ ওভারে ৪৬ রান তুলেছেন দুজন।
আফিফের আরেকটি চার
এজাজ প্যাটেলের বলে লং অন দিয়ে চার আফিফের।
চারের পর ছক্কা আফিফের
পরের বলটাও গেল একই জায়গা দিয়ে। তবে এবার সীমান পাড় হওয়ার পর মাটির স্পর্শ পেল বল।
১৫তম ওভার থেকে এল ১২ রান
৩০ বলে ৫৬ রান দরকার। আফিফ ২২ বলে ৪০ রান তুলেছেন। ওদিকে মাহমুদউল্লাহ ১৮ বলে করেছেন ২২ রান। মাত্র ৩৭ বলে ৬০ রানের জুটি গড়েছেন দুজন।
বোলিংয়ে কুগালাইন
কুগালাইনের প্রথম চার বল থেকে এসেছে ২ রান। তাঁর শর্ট বলে টাইমিং হচ্ছে না ব্যাটসম্যানদের।
শেষ বলে ফিরে গেলেন মাহমুদউল্লাহ
ভালো কাজের পুরষ্কার পেলেন কুগালাইন। প্রথম ৫ বলে মাত্র ৩ রান দিয়েছেন। শেষ বলে মাহমুদউল্লাহ ছক্কা মারতে গিয়ে ধরা পড়লেন একস্ট্রা কাভারে। ৫ উইকেটে ১০৯ রান বাংলাদেশের। ৪ ওভারে ৫৩ রান দরকার বাংলাদেশের। ম্যাচ বদলে দেওয়া ওভার কি এখনই করে ফেললেন কুগালাইন?
চার
এজাজ প্যাটেলের প্রথম দুই বলে কোনো রান আসেনি। তৃতীয় বলে চার মারলেন নুরুল।
নুরুলও আউট হয়ে গেলেন
পরের বলেই আউট নুরুল। রিভিউ নিয়েছিলেন। তবে সেটা কয়েক মুহূর্তের সান্ত্বনা। ২০ বলে ৪৯ রান দরকার বাংলাদেশের।
৩ ওভারে ৪৮ রান দরকার বাংলাদেশের
২ ওভারে মাত্র ৮ রান তুলতে ২ উইকেট হারাল বাংলাদেশ। এখন ভরসা আফিফ ও শামীম।
ডাফির প্রথম ৩ বল থেকে এল ১ রান
নিউজিল্যান্ডের বোলাররা অসাধারণ বল করছেন। ১৬ ও ১৭ ওভারে এসেছে মাত্র ৩ ও ৫ রান। ডাফির ওভারেও এসেছে ২ রান।
ডাফির বলে বোল্ড শামীম
প্রথম ৫ বলে মাত্র ২ রান এসেছে। পঞ্চম বলে চখ বন্ধ করে মেরে ব্যাট লাগাতে পারেননি শামীম। পরের বলেও সে চেষ্টা। স্লোয়ারটি এবার স্টাম্পে থাকায়, এবার আর বাঁচলেন না শামীম।
১২ বলে দরকার ৪৬ রান
শেষ ৩ ওভারে ১০ রান তুলতে ৩ উইকেট হারাল বাংলাদেশ
তাসকিন মারলেন চার
এবার বাকি ১০ বলেও চার মারলে ম্যাচটা টাই করা সম্ভব।
৩০ বলে ৪৫ রান আফিফের। এই ম্যাচ থেকে এখন আফিফের ফিফটিই হতে পারে বাংলাদেশের একমাত্র প্রাপ্তি।
তাসকিনের দ্বিতীয় চার
পরের বলেই আউট তাসকিন
১২৮ রানে ৮ উইকেটের পতন। ৪ বলে ৯ রান করে ফিরলেন তাসকিন।
শেষ ওভারের খেলা শুরু
প্রথম বলেই সিঙ্গেল নিয়ে অন্য প্রান্তে চলে গেছেন আফিফ। ৩১ বলে ৪৬ রান করা আফিফ ২টি চার ও ৩ ছক্কা মেরেছেন।
শেষ বলের অপেক্ষা
ফিফটি হচ্ছে না আফিফের। স্ট্রাইকে নাসুম।
৮ উইকেটে ১৩৪ রানে থামল বাংলাদেশ
শেষ বলে এলো ১ রান। অন্য প্রান্তে ৩৩ বলে ৪৯ রান করে অপরাজিত আফিফ।
৩-২ ব্যবধানে সিরিজ জিতল বাংলাদেশ
সিরিজে প্রথমবারের মতো ব্যাটিং উইকেট পেয়েও বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা হতাশ করেছেন। প্রথম ওভারে ৮ রান তুললেও ধীরে ধীরে রানের গতি কমে এসেছে। পঞ্চম ওভারে প্রথম উইকেটের পতনের পর উইকেটের স্রোতও শুরু হয়েছে। এর মধ্যে টি-টোয়েন্টিতে একাধিক ম্যাচের সিরিজে নিজের সর্বনিম্ন স্ট্রাইকরেটের রেকর্ড গড়েছেন মুশফিক।
শেষ ১০ ওভারে তাই ১১৪ রানের পাহাড় দাঁড়িয়েছিল বাংলাদেশের সামনে। কিন্তু আফিফ হোসেন ও মাহমুদউল্লাহ একটু সাহস দেখিয়েছিলেন। ১১ থেকে ১৫ ওভারের মধ্যে এসেছে ৫৮ রান। বাকি সময়টায় এই গতিতে রান তুললেই জয় পেত বাংলাদেশ।
কিন্তু ম্যাচ বদলে যায় পরের ওভারেই। স্কট কুগালাইন প্রথম ৫ বলে দিলেন ৩ রান। শেষ বলে আউট হলেন মাহমুদউল্লাহ। এজাজ প্যাটেলের পরের ওভারে এসেছে ৫ রান, ফিরেছেন নুরুল। জ্যাকব ডাফির পরের ওভার ম্যাচে বাংলাদেশের সব আশা শেষ করে দিয়েছে। ১৮তম ওভারে মাত্র ২ রান তুলে বাংলাদেশ হারিয়েছে শামীমকে।
৩ ওভারে মাত্র ১০ রান তুলতে ৩ উইকেট হারিয়ে ফেলা বাংলাদেশের পক্ষে আর ম্যাচে ফেরা সম্ভব হয়নি। শেষ দুই ওভারে খুব বেশি স্ট্রাইকও পাননি আফিফ। তাই ১২ বলে ৪৬ রানের কঠিন লক্ষ্য থেকে ২৮ রান দূরে থেমেছে বাংলাদেশ।
সংক্ষিপ্ত স্কোর: বাংলাদেশ ১৩৪/৮ (আফিফ ৪৯*, নাঈম ২৩, মাহমুদউল্লাহ ২৩, লিটন ১০, তাসকিন ৯, সৌম্য ৪, নুরুল ৪, মুশফিক ৩, নাসুম ৩*, শামীম ২; প্যাটেল ২/২১, কুগালাইন ২/২৩, রবীন্দ্র ১/১৯, সিয়ার্স ১/২১, ডাফি ১/২৫, ম্যাককনকি ১/২৫)