মুশফিকের পর ফিরে গেলেন মাহমুদউল্লাহও

মুশফিকুর রহিমের ব্যাটে ভালো কিছুর আশা দেখছিল বাংলাদেশছবি: প্রথম আলো

যেভাবে খেলছিলেন, মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে আজ সেঞ্চুরি পাওয়াটাই ছিল স্বাভাবিক মুশফিকুর রহিমের জন্য। কিন্তু ব্যক্তিগত ৮৪ রানে শ্রীলঙ্কার বাঁহাতি স্পিনার সান্দাকানকে রিভার্স সুইপ করতে গিয়ে ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে তিনি ক্যাচ দিয়েছেন উদানার হাতে।

দলের রান ১০০ হতে না হতেই ৪ উইকেট হারিয়ে ফেলা বাংলাদেশকে সামনে এগিয়ে নেওয়ার দায়িত্বটা ছিল মুশফিকুর রহিম ও মাহমুদউল্লাহর কাঁধেই। পঞ্চম উইকেট জুটিতে ১০৯ রান যোগ করেছেন তারা।

মুশফিকের পর শেষের ঝড় তোলার দায়িত্ব ছিল মাহমুদউল্লাহর। কিন্তু ৪৮তম ওভারে ৫৪ রানে ফিরে গেছেন মাহমুদউল্লাহ। এ প্রতিবেদন লেখার সময় বাংলাদেশের সংগ্রহ ৪৮ ওভারে ৬ উইকেটে ২৩৩ রান।

তামিম–সাকিব ফিরে যাওয়ার পর মুশফিক–মাহমুদউল্লাহর দিকেই তাকিয়ে ছিল বাংলাদেশ। ব্যাট হাতে দায়িত্বটা ভালোভাবেই পালন করছিলেন তারা। পরপর দুই বলে তামিম, মিঠুন ফিরে যাওয়ার পর মাহমুদউল্লাহকে সঙ্গে নিয়েই লড়াইটা চালিয়ে যাচ্ছেন মুশফিক। ৪৮ বলে ৪১ রান নিয়ে খেলছেন মাহমুদউল্লাহ

শুরু থেকেই দলের ব্যাটিংয়ের নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন তামিম ইকবাল। লিটন দাসের বিদায়ের পর দেখে–শুনে ঠান্ডা মাথায় ব্যাটিং করছিলেন তিনি। সাকিব আল হাসানকে সঙ্গে নিয়ে যোগ করেন ৩৮ রান। মাঝে মধ্যেই আলগা বলগুলোকে সীমানা ছাড়া করে রানের চাকাটা সচল রাখছিলেন। সেই তামিমই ফেরেন ৭০ বলে ৫২ রান করে।

বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি সাকিব।
ছবি: শামসুল হক

তামিমের বিদায়ের পরের বলেই বিদায় নেন মোহাম্মদ মিঠুনও। দুজনই ফিরেছেন ধনঞ্জয়া ডি সিলভার বলে এলবিডব্লু হয়ে। রিভিউ নিয়েছিলেন দুজনই।

সাকিবের পর আরও ২ উইকেট হারিয়েছে বাংলাদেশ।
ছবি: শামসুল হক

এর আগে ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারের তৃতীয় বলে দুশমন্ত চামিরার বলে খোঁচা দিয়ে স্লিপে ক্যাচ দেন লিটন। তাঁর ক্যাচটি প্রথম স্লিপে দাঁড়িয়ে ধরেন ধনঞ্জয়া ডি সিলভা।

দ্বিতীয় উইকেটে তামিম–সাকিব জুটি শুরুর ধাক্কা কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করেছিলেন। ভালোই খেলছিলেন দুজন। কিন্তু জুটিটা খুব বেশি বড় হয়নি। জুটিতে ৩৮ রান হওয়ার পর গুনাতিলকার বলে মাথার ওপর দিয়ে মারতে গিয়ে লং অনে সহজ ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান সাকিব। আউট হওয়ার আগে তাঁর ব্যাট থেকে আসে ৩৪ বলে ১৫ রান।