টস জেতার আশায় ডান হাতে টস করবেন পন্ত

টসই জিততে পারছেন না পন্তছবি: এএফপি

সিরিজে উত্তেজনা নিয়ে এল ভারত। প্রথম দুই টি-টোয়েন্টি হেরে সিরিজ হারের দ্বারপ্রান্তে থাকা ভারত ঘরের মাটিতে পরের দুই টি-টোয়েন্টি জিতে সিরিজের শেষ ম্যাচের গুরুত্ব বাড়িয়ে দিয়েছে বহুগুণ। গতকাল আবেশ খানের দুর্দান্ত বোলিংয়ে রাজকোটে মাথা তুলে দাঁড়াতেই পারেনি প্রোটিয়ারা। ৮২ রানে হেরেছে সফরকারীরা।

প্রথম দুই ম্যাচ হারের পরেও দল ফর্ম ফিরে পেয়েছে, দুর্দান্ত খেলছে। অধিনায়ক ঋষভ পন্তের খুশিই থাকার কথা। দলের পারফরম্যান্সে তিনি খুশিও বটে। কিন্তু দল ফর্মে ফিরলেও, পন্তের নিজের ব্যাট যে হাসছে না! আর সেটাই চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে ভারতের জন্য। প্রথম ম্যাচে পন্তের ব্যাটে ঝড়ের আভাস পাওয়া গেলেও পরের তিন ম্যাচে একদম যাচ্ছেতাই খেলেছেন। শুধু ব্যাট না, আরেকটা জিনিসও হাসছে না পন্তের। অধিনায়ক পন্তের টসভাগ্য যে বড্ড বেরসিক আচরণ করছে!

পন্তের ব্যাটেও রানখরা চলছে
ছবি: এএফপি

দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে গত ম্যাচে আবারও টস হেরেছেন এই উইকেটকিপার-ব্যাটসম্যান। এ নিয়ে সিরিজের প্রতিটা ম্যাচে টস হারলেন তিনি। টস হারার কারণে প্রতি ম্যাচেই দক্ষিণ আফ্রিকার ইচ্ছা অনুযায়ী ব্যাট করতে নামতে হচ্ছে ভারতকে।

প্রতি ম্যাচেই ভারতকে আগে ব্যাটিংয়ে পাঠিয়েছেন টেম্বা বাভুমা। ভারতের পরে ব্যাট করার ইচ্ছা থাকলেও সে ইচ্ছা পূরণ হচ্ছে না। ম্যাচ শেষে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানেও পন্তের বিরূপ টসভাগ্যের ব্যাপারটা উঠে এসেছিল

নিজের টসভাগ্য নিয়ে পন্ত যদি মনে মনে বিরক্তও থাকেন, সেটা বোঝা যায়নি তাঁর কথায়। রসিকতাই করেছেন ভাগ্য নিয়ে। আগের চারটা ম্যাচে বাঁ হাতে টস করা পন্ত এবার ডান হাতে টস করতে চাইছেন, তাতে যদি লাভ হয় কোনো!

২-০ ব্যবধানে পিছিয়ে পড়ার পরও সিরিজে সমতা ফিরিয়েছে ভারত। চার ম্যাচ শেষে এখন ২-২
ছবি: এএফপি

পন্তের বক্তব্য, ‘আমরা ভালো ক্রিকেট খেলার পরিকল্পনা করেছিলাম, সে পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে পেরেছি বলেই আজ সেটার ফলাফল পাচ্ছি। হয়তো সামনের ম্যাচে ডান হাতে টস করলে ভাগ্য ফিরবে আমার! আমাদের ইতিবাচক থাকতে হবে। হার্দিক যেভাবে খেলল, তা দেখে অনেক খুশি আমি। ডিকে (দিনেশ কার্তিক) শুরু থেকেই ধুন্ধুমার ব্যাট চালানো শুরু করল আর সেটাই আমাদের ইতিবাচকভাবে ভাবতে সাহায্য করেছে।’

টানা দুই হার দিয়ে শুরু হওয়া সিরিজ এখন জেতার স্বপ্ন দেখছে ভারত। বেঙ্গালুরুতে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া ম্যাচ নিয়ে পন্তের ভাবনা, ‘নিজের ব্যাপারে আলাদাভাবে বলতে গেলে, কিছু কিছু জায়গায় আমাকে উন্নতি করতে হবে। ইতিবাচক বিষয়গুলো গ্রহণ করতে হবে। তবে আমি ব্যাপারগুলো নিয়ে ভাবছি না। দেখা যাক বেঙ্গালুরুতে কী হয়। শতভাগ দেওয়ার জন্য মুখিয়ে আছি আমরা সবাই।’

রাজকোটে ৪০ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে ফেলেছিল ভারত। পন্ত (২৩ বলে ১৭) ও হার্দিক পান্ডিয়ার কল্যাণে ৮১ রান পর্যন্ত পৌঁছে যায় ভারত। তবে রান তুলতে যে ভারতীয় ব্যাটসম্যানদের সংগ্রাম করতে হচ্ছিল, সেটা বোঝা যাচ্ছিল। দিনেশ কার্তিক নেমেই বদলে দেন সব হিসাব-নিকাশ। ১৫ বছরের আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে প্রথম পঞ্চাশ করার পথে ২৭ বলে ৫৫ রান করেছেন, মেরেছেন ৯ চার ও ২ ছক্কা। পরে আবেশ খান ও যুজবেন্দ্র চাহালের ‘দৌরাত্ম্যে’ ৮২ রানের বড় ব্যবধানে ম্যাচ জেতে ভারত।