টেস্ট ম্যাচের বোলিং করে ম্যাচসেরা হ্যাজলউড

দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংসে তৃতীয় ওভারে নতুন বল হাতে পান হ্যাজলউড। তিনে নামা রেসি ফন ডার ডুসেনকে তুলে নেন প্রথম ডেলিভারিতেই। একেবারে টেস্ট ম্যাচ লেংথের বোলিং। কল্পিত চতুর্থ স্টাম্প বরাবর লেংথ থেকে বল তুলেছিলেন।

দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে দারণ বল করেন হ্যাজলউডছবি: এএফপি

জশ হ্যাজলউড নাকি টেস্টের বোলার। ভালো লেংথ থেকে গ্লেন ম্যাকগ্রার মতো অনবরত বল তুলতে পারেন তাই। টি–টোয়েন্টিতে প্রথানুযায়ী বোলারদের যে বৈচিত্র্য থাকে, সেসব নাকি হ্যাজলউডের নেই।

তাই বলে টি–টোয়েন্টিতে হ্যাজলউড কার্যকর হবেন না, তা ভাবাটা ভুল। ব্যাটসম্যানকে আটকে রাখার যে মূলমন্ত্র—‘ফোর্থ স্টাম্প’ বরাবর ভালো লেংথ থেকে বল তোলা—তা মাঠে ফলিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ম্যাচসেরা হলেন অস্ট্রেলিয়ান এ পেসার।

দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংসে তৃতীয় ওভারে নতুন বল হাতে পান হ্যাজলউড। তিনে নামা রেসি ফন ডার ডুসেনকে তুলে নেন প্রথম ডেলিভারিতেই। একেবারে টেস্ট ম্যাচ লেংথের বোলিং।

কল্পিত চতুর্থ স্টাম্প বরাবর লেংথ থেকে বল তুলেছিলেন। ফাঁদটা হলো ডুসেন ব্যাকফুট ড্রাইভ খেলতে গিয়ে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেবেন। ঘটলও তাই—পেছনের পায়ে ড্রাইভ খেলতে গিয়ে উইকেটকিপার ম্যাথু ওয়েডকে ক্যাচ দেন ডুসেন।
নিজের পরের ওভারে প্রথম ডেলিভারিতে আবারও উইকেটের দেখা পান হ্যাজলউড।

ভালো লাইন–লেংথে বল করে উইকেট তুলে নেন হ্যাজলউড
ছবি: এএফপি

এবারে শিকার কুইন্টন ডি কক। হ্যাজলউড যথারীতি ভালো লেংথ থেকে বল তুলেছিলেন। ডি কিক কী মনে করে তা স্কুপ করতে গেলেন, কে জানে!

বল ব্যাটে না লেগে থাই–প্যাডে লেগে উঠে গেলেও তিনি খেয়াল করেননি। রান নেওয়ার জন্য ক্রিজ থেকে বেরিয়ে এসেছিলেন ডি কক। বাতাসে ভেসে থাকা বল স্টাম্পের ওপর পড়ে বেলস ফেলে দেয়। বেশ অদ্ভুত আউট। কিন্তু হ্যাজলউডের ভালো লেংথে বল করার প্রশংসা করতেই হয়। ওই ওভারটা উইকেট–মেডেন নেন এ পেসার।

সব মিলিয়ে হ্যাজলউডের বোলিং ফিগার ৪ ওভার, ১ মেডেন, ১৯ রানে ২ উইকেট। দক্ষিণ আফ্রিকার ৯ উইকেটে ১১৮ রানে আটকে যাওয়ার মূল হোতা তো হ্যাজলউড। অস্ট্রেলিয়া পরে ৫ উইকেটের জয়ে শুভসূচনা করেছে টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপে।