তামিম-গেইলে উড়ল চিটাগং

ঝড়টা মাত্র শুরু হয়েছিল, শহীদ আফ্রিদির বলে টানা দুই ছক্কা মেরে চেনা রূপে দেখা দিয়েছিলেন ক্রিস গেইল। টানা তৃতীয় ছক্কা হাঁকাতে গিয়েই আউট বিধ্বংসী এই ব্যাটসম্যান। তবে ততক্ষণে ম্যাচের ভাগ্য প্রায় লিখে দিয়েছেন গেইল, তাই তাঁকে অভিবাদন জানাতে এগিয়ে এলেন আফ্রিদিও l শামসুল হক
ঝড়টা মাত্র শুরু হয়েছিল, শহীদ আফ্রিদির বলে টানা দুই ছক্কা মেরে চেনা রূপে দেখা দিয়েছিলেন ক্রিস গেইল। টানা তৃতীয় ছক্কা হাঁকাতে গিয়েই আউট বিধ্বংসী এই ব্যাটসম্যান। তবে ততক্ষণে ম্যাচের ভাগ্য প্রায় লিখে দিয়েছেন গেইল, তাই তাঁকে অভিবাদন জানাতে এগিয়ে এলেন আফ্রিদিও l শামসুল হক

ক্রিস গেইল আউট হতেই ফাঁকা হতে শুরু করল গ্যালারি। কিন্তু ম্যাচ শেষ হতে তো তখনো অনেক বাকি!

এমনিতে ছুটির দিন ছাড়া বিপিএলে গ্যালারি ফাঁকা থাকছে অনেকটাই। কিন্তু কাল মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে দর্শকসংখ্যা অন্য দিনের তুলনায় একটু বেশি। আর তাঁদের আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দু যে গেইল, সেটা বোঝা গেল ক্যারিবীয় ওপেনার আউট হতেই দর্শকদের গ্যালারি ছাড়ার মিছিল দেখে। রংপুর রাইডার্সের বিপক্ষে চিটাগং ভাইকিংসের ৯ উইকেটের জয়ের সাক্ষী তাই হাতে গোনা কিছু দর্শক।

রংপুরের দেওয়া ১২৫ রানের লক্ষ্যে চিটাগং ভাইকিংসের দুই ওপেনার অবশ্য শুরু করেন বেশ ধীরে। পাওয়ার প্লেতে চিটাগং তোলে ৩০ রান। গেইলের রান তখন ১৩ বলে ৭ আর তামিমের ২৩ বলে ১৯।

চিটাগংয়ের দুই বিস্ফোরক ওপেনারকে খোলসবন্দী করে রাখার পেছনে বড় অবদান সোহাগ গাজীর। রংপুরের অফ স্পিনার নিজের প্রথম ৩ ওভারে দিয়েছেন মাত্র ৭ রান। সপ্তম ওভারে সোহাগ গাজীকে পরপর দুই ছক্কা মেরেই জড়তা কাটান গেইল। শহীদ আফ্রিদিকেও পরপর দুটি বিশাল ছক্কা। ঢাকায় এসেই বলেছিলেন, এবার বিপিএলে ৪ ইনিংসেই ৫৫ ছক্কা মারতে চান। তবে কাল গেইলের ইনিংসে ছক্কা এই চারটিই। ২৬ বলে ৪০ রানের ছোট্ট ঝড়টা থেমেছে আফ্রিদির বলেই। তামিম-গেইলের জুটি ভেঙেছে ৭০ রানে।

গেইলের ছায়ায় অবশ্য ঢাকা পড়েননি তামিম। সাবলীল ব্যাটিংয়ে ম্যাচ জিতিয়েই ফিরেছেন চিটাগং অধিনায়ক। বিপিএলে পেয়েছেন তাঁর তৃতীয় হাফ সেঞ্চুরি। ৪৮ বলে তামিম অপরাজিত ৬২ রানে। বাঁহাতি ওপেনারের ইনিংসে মুগ্ধতা ছড়ানো ৯টি চার আর ১টি ছক্কা।

এর আগে রংপুরের দুই ওপেনার সৌম্য সরকার-মোহাম্মদ শেহজাদে যেভাবে ব্যাট করছিলেন, বড় স্কোর হতেই পারত। কিন্তু শুরুটা দারুণ হলেও ইনিংসটা লম্বা করতে পারেননি সৌম্য, থেমে গেছেন ২১ বলে ২৬ রান করেই। তবে তাঁর পরের ব্যাটসম্যানরা এতটাই অনুজ্জ্বল, সৌম্যর রানটাই হয়ে থাকল রংপুরের সর্বোচ্চ।

১২৪ রান করে কি আর তামিম-গেইলদের সঙ্গে লড়াই হয়?

সংক্ষিপ্ত স্কোর

রংপুর রাইডার্স: ২০ ওভারে ১২৪/৬ (শেহজাদ ২১, সৌম্য ২৬, মিঠুন ১২, ডসন ১৪, নাঈম ৩*, আফ্রিদি ১৩, আনোয়ার ২০*, মুক্তার ৪, সোহাগ ১*; সাকলাইন ০/১৭, শুভাশিস ১/১৭, ইমরান ০/২৮, নবী ২/৩১, তাসকিন ২/২৫)।

চিটাগং ভাইকিংস: ১৬ ওভারে ১২৮/১ (তামিম ৬২*, গেইল ৪০, এনামুল ২২*; সোহাগ ০/২৩, আনোয়ার ০/১৭, রুবেল ০/১৭, আফ্রিদি ১/২৫, ডসন ০/২৫, সানি ০/১৫, মুক্তার ০/৫)।

ফল: চিটাগং ভাইকিংস ৯ উইকেটে জয়ী।

ম্যান অব দ্য ম্যাচ: তামিম ইকবাল।