তিনটা ম্যাচে জয়ের সম্ভাবনা বেশি দেখছি

গাজী আশরাফ হোসেনফাইল ছবি

সুপার টুয়েলভে ওঠার সুবিধা হলো, পরের পর্বে যাওয়ার চাপটা প্রাথমিক পর্বের মতো নেই। বিশ্বকাপ শুরুর আগে সেমিফাইনালে যাওয়ার প্রত্যাশার কথা শোনা গেলেও এখন সুপার টুয়েলভ আমরা তেমন বড় প্রত্যাশা নিয়ে শুরু করছি না। সব ঠিকঠাক হলে প্রত্যাশা বেড়ে যেত। এখন সুপার টুয়েলভ বড় চ্যালেঞ্জ হলেও প্রত্যাশার চাপ নেই। ফলে খেলোয়াড়েরা ভারমুক্ত থাকতে পারে। মান-অভিমানের যে ব্যাপারটা দাঁড়িয়েছিল, মাহমুদউল্লাহর আবেগঘন শেষ সংবাদ সম্মেলনে সে অনেক কিছুই বলে হালকা হতে পেরেছে বলে আশা করি।

আইসিসির নিয়ম পরিবর্তন করার কারণে বাংলাদেশের গ্রুপ বদলে যাওয়ার কারণে সবচেয়ে ব্যস্ত সময় কাটছে হয়তো বাংলাদেশ দলের বিশ্লেষকের। অন্য গ্রুপে পড়লে ভারত-পাকিস্তানের বোলিং আক্রমণের সামনে পড়তে হতো, আবার আফগানিস্তানের বিপক্ষে জয়ের বাড়তি চাপ ছিল। তবে এ গ্রুপে সব কটি টেস্ট খেলুড়ে দেশ বলেও একটা বাড়তি চাপ থাকতে পারে। ইংল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়াকে এমন কন্ডিশনে পেয়ে তেমন বাড়তি সুবিধা পাওয়া যাবে বলে মনে হয় না।

ব্যাটিং বিভাগে বেশ কয়েকটা ঘাটতি নিয়েই এ পর্ব শুরু করছি। দলগত শক্তির দিক দিয়ে হয়তো শ্রীলঙ্কার খুব কাছে আছি, সঙ্গে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গে। এ তিনটা ম্যাচে জয়ের সম্ভাবনা বেশি দেখছি। সে তুলনায় ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়া অনেক বেশি কঠিন প্রতিপক্ষ হতে যাচ্ছে।

টি-টোয়েন্টির অঘটন বা উইকেটের চরিত্র মাথায় রেখে কমপক্ষে দুটি জয় আশা করা উচিত। এরপর যদি পারফরম্যান্সে বেশ একটা লাফ দেওয়া যায়, সেটা হয়তো সেমিফাইনালের কাছাকাছি নিয়ে যেতে পারে। আমাদের খেলোয়াড়দের সামর্থ্য আছে। প্রথম ম্যাচে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে জয় ভালো একটা মোমেন্টাম এনে দিতে পারে। অন্যদিকে এ ম্যাচে হারলে টুর্নামেন্টে ভালো করাটা আরও কঠিন হয়ে উঠতে পারে।

তবে সব কটি ম্যাচই দিনে হওয়ার কারণে চোটের সম্ভাবনা বেড়ে গেল। বিশেষ করে বোলারদের। ফলে বাংলাদেশ এখন পর্যন্ত যে কৌশলে খেলছিল, তিন পেসার ও দুই স্পিনার—সেটা রাখবে কি না। চোট, টান লেগে যাওয়ার শঙ্কা, স্বস্তি-অস্বস্তির ব্যাপার আছে।

ম্যাচগুলোর মাঝে বিরতি সেরে ওঠার সুযোগ দিলেও চোট যেকোনো দিন বিপদে ফেলে দিতে পারে। যদি উইনিং কম্বিনেশন নিয়েই শুরু করি, তাহলে নাসুম-শামীম বা শরীফুলকে খেলতে হলে মূল পর্বে তেমন কোনো অভিজ্ঞতা ছাড়াই। তাদের এমন পরিস্থিতিতে কীভাবে তৈরি করে রাখা হয়েছে, সেটা দেখাও গুরুত্বপূর্ণ।

আশা করি, ওপেনিং যাতে ক্লিক করে যায়। প্রতিপক্ষ নিয়ে ভাবনা পরে, নিজেদেরই অনেক ইস্যু আছে। তিনটি ভেন্যুর মধ্যে শারজায় বাড়তি একটু সুবিধা পেতে পারি, যদিও সে উইকেটে পেসাররা খুব একটা খুশি হবে না। সবশেষে মাহমুদউল্লাহর প্রতি শুভকামনা। বেশ আবেগঘন সংবাদ সম্মেলন দেখলাম। তাদের সবারই মাঠের পারফরম্যান্সে মনোযোগ দেওয়া উচিত এখন।