দেশে ফিরে টেস্ট নিয়েও আশার কথা শোনালেন সাকিব

আজ দেশে ফিরেছেন সাকিব আল হাসানছবি: সংগৃহীত

পারিবারিক কারণে ওয়ানডে সিরিজ খেলেই দেশে ফিরতে হলো সাকিব আল হাসানকে। দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে তাদের বিপক্ষে ঐতিহাসিক সিরিজ জয়ের স্মৃতি সঙ্গী করে আজ রাতে দেশে ফিরেছেন এ অলরাউন্ডার। ডারবানে প্রথম টেস্টে সাকিবকে পাওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম। পোর্ট এলিজাবেথে দ্বিতীয় টেস্টে তাঁকে পাওয়া যাবে কি না, সেটি এখনোই নিশ্চিত করতে পারেননি। তবে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ নিয়ে নিজের আশার কথাই শোনালেন সাকিব।

এর আগে দ্বিপক্ষীয় সিরিজে দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে কোনো সংস্করণেই জয় ছিল না বাংলাদেশের। সেখানে এবার জেতা হয়ে গেছে ওয়ানডে সিরিজই। তবে সাকিব বলছেন, মূল চ্যালেঞ্জটা টেস্ট সিরিজেই, ‘টেস্ট বেশি চ্যালেঞ্জিং হবে। এমনিতে গত ৫-৭ বছর ধরেই ওয়ানডেতে ভালো দল আমরা, সবাই জানি। ওয়ানডেতে ট্রু উইকেটও থাকে। তবে (টেস্টে) যারা ভাল করবে (পুরো ম্যাচ ধরে), তাদেরই সম্ভাবনা বেশি। আর টেস্টে কন্ডিশনের সুবিধাও বেশি পায় হোম দল।’

পেসাররা আস্থার প্রতিদান দিচ্ছেন, বলছেন সাকিব
ছবি: এএফপি

তবে সাকিবকে আশা জোগাচ্ছে দক্ষিণ আফ্রিকার বেশ কয়েকজন শীর্ষ সারির ক্রিকেটার না থাকা। আইপিএলের কারণে কাগিসো রাবাদা, লুঙ্গি এনগিডিসহ মূল পেস আক্রমণের কাউকেই বলতে গেলে পাচ্ছে না স্বাগতিকেরা। সাকিব সেটি মনে করিয়ে দিয়ে বলেছেন, ‘তবে ওদের কয়েকজন মূল খেলোয়াড় যেহেতু খেলছে না, আমরা আশাবাদী হতেই পারি।’

পেসারদের পারফরম্যান্স নিয়েও বেশ খুশি সাকিব। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজের শেষ ম্যাচে ম্যাচসেরার পাশাপাশি সিরিজসেরাও হয়েছেন ফাস্ট বোলার তাসকিন আহমেদ। সাকিব পেস বোলারদের প্রসঙ্গে বললেন, ‘দেখুন আমাদের পেস বোলাররা গত কিছুদিন ধরে বেশ ভালো বোলিং করছে। যে কারণে আমরা নিউজিল্যান্ডেও টেস্টটা জিততে পেরেছিলাম। পেস বোলারদের প্রতি এখন অনেক বেশি আস্থা আছে সতীর্থদের, টিম ম্যানেজমেন্টেরও। পেস বোলাররা সেটির প্রতিদানও দিচ্ছে।’

সাকিব দেশে ফিরেছেন ঐতিহাসিক সিরিজ জয়ের স্মৃতি সঙ্গে করেই
ছবি: এএফপি

এ সফরে বাংলাদেশের কোচিং স্টাফের একাধিক সদস্য দক্ষিণ আফ্রিকান। প্রধান কোচ রাসেল ডমিঙ্গোর সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন পেস বোলিং কোচ অ্যালান ডোনাল্ড। ওয়ানডে সিরিজের আগে পাওয়ার হিটিং নিয়ে কাজ করেছেন অ্যালবি মরকেলও। তাদের ‘জ্ঞান’ বাড়তি কাজে এসেছে বলেই মনে করেন সাকিব, ‘অবশ্যই যেহেতু ওরা ওই দেশেরই, ওই জায়গা সম্পর্কে ওদের ভালো ধারণা আছে। স্বাভাবিকভাবে ওরা সেসব আমাদের সঙ্গে শেয়ার করেছে। এটা আমাদের কাজে লেগেছে। এর আগেও আরও নিল ম্যাকেঞ্জি, অ্যাশওয়েল প্রিন্সের মতো দক্ষিণ আফ্রিকান কোচ ছিল আমাদের। এগুলো আমাদের অনেক সহায়তা করেছে ওদের সঙ্গে ভালো খেলার জন্য।’

আগামী ৩১ মার্চ থেকে শুরু হবে প্রথম টেস্ট।