ধাওয়ান-পন্তকে আটকাতে পারলেন না রশিদ খান
দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে কাল (১৮৬ রানের লক্ষ্যে) শেষ ওভারে ৪ তুলতে না পেরে হারে পাঞ্জাব কিংস। একই মাঠে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ আজ আগে ব্যাট করে তুলেছে ৯ উইকেটে ১৩৪। টি-টোয়েন্টিসুলভ ব্যাটিংটা হয়নি।
তবু আইপিএলের রোমান্টিক সমর্থকদের অন্য কিছু ভাবার সুযোগ ছিল; মাত্র ২০ রানেই যখন দিল্লি ক্যাপিটালস পৃথ্বী শ-র উইকেট হারায়। কে জানে, শেষে আবারও নাটক জমতেও পারে!
শিখর ধাওয়ান (৩৭ বলে ৪২) ও শ্রেয়াস আইয়ারের (৪১ বলে ৪৭*) ইনিংস ভুলটা হতে দেয়নি। পরে শ্রেয়াসের সঙ্গে ঋষভ পন্তের ৪২ বলে অপরাজিত ৬৭ রানের জুটি ১৩ বল হাতে রেখে দিল্লির ৮ উইকেটের জয় নিশ্চিত করে।
হায়দরাবাদের তারকা স্পিনার রশিদ খান ৪ ওভারে ২৬ রানে ১ উইকেট নেন। ধাওয়ান ও শ্রেয়াসের ৪৮ বলে ৫২ রানের জুটিটা তিনি ভাঙলেও দিল্লির জয় আটকায়নি। ২১ বলে ৩৫ রানে অপরাজিত ছিলেন পন্ত।
সাদামাটা লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে দিল্লিকে ভালো শুরু এনে দিতে পারেননি পৃথ্বী। ৮ বলে ১১ রান করে ধৈর্য হারিয়ে বাজে শট খেলে আউট হন। দিল্লি তখন ২.৫ ওভারে ১ উইকেটে ২০। এখান থেকে বিপদ হতে পারত।
দিল্লির বিপদ বাড়াতে পাওয়ার প্লে-র শেষ ওভারে আফগান স্পিনার রশিদ খানকে আক্রমণে আনেন সানরাইজার্স অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন।
রশিদকে দারুণভাবে খেলেন ধাওয়ান-শ্রেয়াস জুটি। বিশেষ করে ধাওয়ান, প্রথম ওভারেই তাঁকে ছক্কা মেরে লাইন-লেংথ এলোমেলো করেন। নিজের প্রথম ওভারে ১০ রান দেওয়া রশিদ তাঁর পরের ওভারেও ছক্বা হজম করেন। এবার শ্রেয়াসের ব্যাটে।
সে ওভারে ৯ রান নিয়ে উইলিয়ামসনের দ্রুত উইকেট নেওয়ার পরিকল্পনা ভেস্তে দেন ধাওয়ান-শ্রেয়াস জুটি।
উইলিয়ামসন তবু হাল ছাড়েননি। সানরাইজার্সের হয়ে ইনিংসের মাঝে উইকেট নেওয়ার মতো বোলার শুধু রশিদ-ই।
তাঁকে ১১তম ওভারে ফিরিয়ে এনে ফল পান এই কিউই। ওই ওভারে ছক্কা মারতে গিয়ে রশিদকে উইকেট দেন ধাওয়ান। দিল্লি ততক্ষণে ম্যাচের অর্ধেক পথ পেরিয়ে গেছে।
দিল্লি ৩৬ বলে ৩৯ রানের দূরত্বে থাকতে রশিদের শেষ ওভারটি করান উইলিয়ামসন। সেই ১৫তম ওভারটি দেখেশুনে খেলেন পন্ত-শ্রেয়াস জুটি। লক্ষ্য দাঁড়ায় ৩০ বলে ৩৬। পরের দুই ওভার থেকে ২৭ রান তুলে নেন দুজন।
জেসন হোল্ডারের করা ১৮তম ওভার থেকে ১৩ রান তুলে জয় নিশ্চিত করেন পন্ত ও শ্রেয়াস। ২ ছক্কা ও ৩ চারে ইনিংসটি সাজান পন্ত। শ্রেয়াস ২ ছক্কা ও ২টি চার মারেন। সানরাইজার্সের হয়ে খলিল আহমেদ ৩৩ রানে ১ উইকেট নেন।
সানরাইজার্সের হয়ে কেউ ফিফটি দূরে থাক ৩০ রানও করতে পারেননি। ছয়ে নামা আবদুল সামাদের ব্যাট থেকে এসেছে সর্বোচ্চ ২১ বলে ২৮। ২৬ বলে ১৮ রান করে আউট হন উইলিয়ামসন। ১৯ বলে ২২ রান করেন রশিদ খান।
দিল্লির হয়ে দারুণ বল করেন দুই প্রোটিয়া পেসার আনরিখ নরকিয়ে ও কাগিসো রাবাদা। ৩৭ রানে ৩ উইকেট নেন রাবাদা।
১২ রানে ২ উইকেট নিয়ে তাঁকে এক অর্থে ছাপিয়ে যান নরকিয়ে। ২১ রানে ২ উইকেট নেন অক্ষর প্যাটেল। এই জয়ে ৯ ম্যাচে ১৪ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের শীর্ষে উঠল দিল্লি। ৮ ম্যাচে ২ পয়েন্ট নিয়ে তলানিতে সানরাইজার্স।