নাসুম শুরুটা করেছিলেন, দল পারল না

নাসুম শুরুটা এনে দিয়েছিলেন।ছবি: এএফপি

বিধ্বংসী মার্টিন গাপটিলকে দমিয়ে রেখেছেন। এরপর বোকা বানিয়ে করেছেন আউট। দারুণ ফর্মে থাকা বাঁহাতি ডেভন কনওয়েকে হাত খুলতে দেননি ছোট্ট বাউন্ডারির সেডন পার্কে। ফিল্ডার ভুল না করলে কনওয়ে আউটও হতে পারতেন ৪৭ রানে। আর অভিষিক্ত ব্যাটসম্যান ফিন অ্যালেনকে তো প্রথম বলেই সরাসরি বোল্ড করেছেন। দীর্ঘ অপেক্ষার পর জাতীয় দলের মূল একাদশে সুযোগ পেয়ে দিনটা বাঁহাতি স্পিনার নাসুম আহমেদ দেখালেন তাঁর সামর্থ্য।

সর্বশেষ বিপিএলে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের হয়ে দারুণ বোলিং করছিলেন নাসুম। বিপিএল পারফরম্যান্স দিয়ে জাতীয় দলে প্রথম ডাক পান ২০২০ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ঘরের মাঠের টি-টোয়েন্টি দলে। কিন্তু অভিষেক আর হয়নি। এরপর থেকে দলে আসা–যাওয়ার মধ্যেই ছিলেন। বেশ কয়েকবার অভিষেকের খুব কাছে এসেও সেরা একাদশে জায়গা হয়নি।

এবারও নিউজিল্যান্ড সফরে দলের সঙ্গে ছিলেন। কিন্তু ওয়ানডেতে সুযোগ হয়নি। হ্যামিল্টনের সেডন পার্কে অবশেষে ২৬ বছর বয়সী নাসুমের অপেক্ষার অবসান হয়। দলের মূল স্পিনার হিসেবে অভিষেক হয় নাসুমের। আর অভিষেক ম্যাচটা রাঙাতে খুব বেশি সময় নেননি বাঁহাতি স্পিনার।

ইনিংসের প্রথম ওভারেই আর্ম বলে বোল্ড করেন নিউজিল্যান্ড দলে অভিষেক হওয়া ওপেনার ফিন অ্যালেনকে। পাওয়ার প্লেতে আরও এক ওভার বল করে প্রতিপক্ষ দলের বিধ্বংসী ওপেনার গাপটিলকে দমিয়ে রাখেন। মাঝের ওভারে এসে সেই গাপটিলকেই চতুর বোলিংয়ে আউট করেন নাসুম। স্পেলজুড়ে স্টাম্প বরাবর বল করে গেলেও গাপটিলকে ক্রিজ ছেড়ে বেরিয়ে আসতে দেখে গতি কমিয়ে অফ স্টাম্পের অনেক বাইরে বল করেন নাসুম। গাপটিল বিভ্রান্ত হন তাতেই। ক্যাচ তোলেন লং বাউন্ডারিতে থাকা সৌম্যর হাতে।

যখন শেষ স্পেলে বল করতে এলেন নাসুম, উইকেটে থিতু কনওয়ে ও উইল ইয়াং। চার-ছয়ে রান বাড়ানোর লক্ষ্য তখন দুজনেরই। এখানেও সফল ছিলেন নাসুম। স্কয়ার লেগ বাউন্ডারিতে পেসার শরিফুল ইসলাম আরেকটু সতর্ক থাকলে তৃতীয় উইকেটও পেতে পারতেন এই বাঁহাতি স্পিনার। শেষ পর্যন্ত ৪ ওভারে ৩০ রান খরচায় ২ উইকেট নিয়ে সন্তুষ্ট থাকতে হয় নাসুমকে।