নিষিদ্ধ অ্যাকশনের অভিযোগেও নির্বিকার শোয়েব

পাকিস্তানের সাবেক পেসার শোয়েব আখতারছবি: টুইটার

আইসিসি একবার তাঁকে নিষিদ্ধ করেছিল। নিষিদ্ধ বোলিং অ্যাকশনের দায় অবশ্য খুব বেশি দিন বইতে হয়নি শোয়েব আখতারকে। এক মাস পেরোতে না পেরোতেই বল করতে পেরেছেন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে। এসবই ১৯৯৯ সালের ঘটনা। এরপর অনেকবারই শোয়েব আখতারের অ্যাকশন নিয়ে ভ্রুকুটি করেছেন বটে, কিন্তু তিনি হাত ভেঙে বোলিং করতেন, এমন দাবি কেউ করেননি। শোয়েবের অবসরের ১১ বছর পর আচমকা ঝড় তুলেছেন বীরেন্দর শেবাগ। তিনি বলেছেন, মাঝে মধ্যেই হাত ভেঙে বল করতেন শোয়েব।

এমন অভিযোগ শুনেও শোয়েব জ্বলে ওঠেননি; বরং কিছুটা মজার ছলেই উত্তর দিয়েছেন। বলেছেন, শেবাগ সম্ভবত মজা করে এমন কিছু বলেছে।

ভারতীয় এক টিভি অনুষ্ঠান হোম অব হিরোসের সঙ্গে কথোপকথনে শেবাগ বলেন, ‘শোয়েব জানে সে কনুইটা ভাঙত। সে জানে সে চাক করত মাঝে মাঝে। না হলে আইসিসি ওকে কেন নিষিদ্ধ করবে?’

শোয়েবের অ্যাকশন যে তাঁকে খেলা কঠিন করে তুলত, সেটিও বলেছেন শেবাগ। ওই সময়ের আরেক ফাস্ট বোলার ব্রেট লিকে তুলনামূলক স্বচ্ছন্দে খেলতে পারতেন ভারতীয় ওপেনার, ‘ব্রেট লির হাত সোজা নামত, ফলে বল ধরতে পারা সোজা ছিল। কিন্তু শোয়েবের ক্ষেত্রে কখনো বোঝা যেত না হাত কোথায় এবং বল কোথা থেকে আসবে। আমি কখনোই ব্রেট লির মুখোমুখি হতে ভয় পেতাম না। কিন্তু শোয়েবকে আমি কখনো বিশ্বাস করতাম না। ওকে দুটি চার মারলে দেখা গেল, একটা বিমার বা পায়ের পাতা তাক করা ইয়র্কার মারল।’

শোয়েব আখতার
ফাইল ছবি

স্পোর্টসকিডা এ ব্যাপারে শোয়েবের মন্তব্য জানতে চেয়েছিল। পাকিস্তানি সাবেক ফাস্ট বোলার বলেছেন, আইসিসির চেয়ে আইন হয়তো বেশি বোঝেন শেবাগ, ‘আমি আশা করব এসব ব্যাপার নিয়ে সে কথা বলা থেকে বিরত থাকবে। শেবাগ যদি আইসিসি বা আইনের চেয়ে বেশি বোঝে, তাহলে ওর মত মেনে নেব। এটা ওর মত এবং আমি এ ব্যাপারে কিছু বলব না। শেবাগকে দেওয়া আমার জবাব ওর চেয়ে ভিন্ন হবে। আমার মতে বীরেন্দর শেবাগ বিশ্বের অন্যতম সেরা খেলোয়াড়। আমি সব সময় ভেবেছি, সে ম্যাচ জেতানো খেলোয়াড় এবং যখনই ভারতের হয়ে খেলেছে, দলঅন্তঃপ্রাণ ছিল।’

শেবাগের খোঁচাতেও যে এই ওপেনারের ওপর তাঁর কোনো রাগ নেই, সেটা বুঝিয়ে দিয়েছেন শেবাগ, ‘এই খেলার সেরা ওপেনারদের একজন সে। জীবনের এমন এক সময়ে এসেছি, যেখানে কী বলছি তা ভাবতে হয়। আমি ওর সাক্ষাৎকার দেখিনি। আমি জানি না যখন সে এটা বলেছে, তখন আসলেই এটা বোঝাতে চেয়েছে নাকি মজা করেছে। সে আমার কাছের বন্ধুদের একজন। এমন কিছু বলায় ওকে দোষ দেব না। ওর জন্য শুভ কামনা।’