পাকিস্তানের জয়ে আনন্দ করায় ডিএনএ পরীক্ষা করতে বললেন বিজেপির মন্ত্রী

বাবর-রিজওয়ানের নৈপূণ্যে ভারতকে হারিয়েছে পাকিস্তানছবি : রয়টার্স

বিশ্বকাপে ভারতের বিপক্ষে পাকিস্তানের রেকর্ড ছিল খুবই বাজে। ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি মিলিয়ে ১২ ম্যাচ খেলে একটিতেও জয় ছিল না পাকিস্তানের। সেই পাকিস্তানই গত রোববার দুবাইয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভারতকে ১০ উইকেটে হারিয়ে চমকে দিয়েছে। ভারতের বিপক্ষে বিশ্বকাপে বহু আরাধ্য জয়টা এল ১০ উইকেটের বড় ব্যবধানে।


পাকিস্তানের এমন দুর্দান্ত জয়ে উৎসব হয়েছে ভারত–অধ্যুষিত কাশ্মীরে। যা মেনে নিতে পারছেন না ভারতের হরিয়ানা রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী অনিল ভিজ।

অনিল ভিজ
ছবি : টুইটার

এতটাই চটেছেন ভারতীয় প্রাদেশিক স্বাস্থ্যমন্ত্রী যে উৎসব করা ভারতীয় নাগরিকদের ডিএনএ পরীক্ষা করে দেখতে বলেন তিনি। তাদের ভারতে লুকিয়ে থাকা শত্রু বলেও দাবি করেন বিজেপির এ নেতা।


কাশ্মীর নিয়ে দুই দেশের মধ্যে রাজনৈতিক উত্তেজনার শেষ নেই। এর মধ্যে পাকিস্তানের জয় নিয়ে উচ্ছ্বাস! এ নিয়ে জ্যেষ্ঠ বিজেপি নেতা অনিল ভিজ বলেন, ‘পাকিস্তানের ক্রিকেট ম্যাচ জেতার জন্য যারা ভারতে পটকা ফাটিয়েছে, তাদের ডিএনএ ভারতীয় হতে পারে না। আমাদের নিজের ঘরে লুকিয়ে থাকা বিশ্বাসঘাতকদের থেকে সাবধান থাকুন।’

বাবর আজম ম্যাচে দারুণ খেলেছেন
ছবি: এএফপি

ভিজের টুইট যার উদ্দেশ্যে, তিনিও চুপ থাকেননি। জম্মু ও কাশ্মীরের পিপলস ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রধান মাহবুবা মুফতিও পাল্টা টুইট করেছেন, ‘পাকিস্তানের জয় উদ্‌যাপন করায় কাশ্মীরের প্রতি এত রাগ দেখানো হচ্ছে কেন? অনেকেই তো ভয়ংকর সব স্লোগানও দিচ্ছে—দেশের বিশ্বাসঘাতকদের গুলি মার। জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা যখন কেড়ে নেওয়া হলো, তখন কত মানুষ মিষ্টি বিতরণ করেছিল, সেটা তো ভুলিনি।’


পাকিস্তানের কাছে হারের পর সমালোচনা শুনতে হচ্ছে ভারতীয় খেলোয়াড়দেরও। বিশেষ করে মোহাম্মদ শামিকে আর কোহলিকে।

দলের সবচেয়ে খরচে বোলিং করেছেন, ৩.৫ ওভার বল করে দিয়েছেন ৪৩ রান। তবে তাঁকে অপদস্থ হতে হয়েছে ধর্মের কারণে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শামিকে ‘পাকিস্তানি’সহ আরও বাজে ভাষায় গালি দিয়েছেন ভারতীয় অনেক সমর্থক।
কোহলিকে নিয়ে সমালোচনার কারণটা আবার অদ্ভুত। ম্যাচ শেষে পাকিস্তানের অধিনায়ক বাবর আজম ও মোহাম্মদ রিজওয়ানের সঙ্গে খোশ গল্প করতে দেখা গিয়েছে কোহলিকে। এতেই চটেছেন ভারতীয় সমর্থকেরা।


ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ বলে কথা। মাঠের খেলার চেয়ে মাঠের বাইরের উত্তেজনাটাই বেশি।