বর্ণবাদী আচরণের কারণে লর্ডসে যেতে চাইতেন না ভোগলে

লর্ডসে বর্ণবাদী আচরণ দেখেছেন হার্শা ভোগলেছবি: হার্শা ভোগলে টুইটার

সম্প্রতি ইয়র্কশায়ারে খেলা পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত ক্রিকেটার আজিম রফিকের অভিযোগনামায় তোলপাড় ইংলিশ ক্রিকেট। ইংল্যান্ডের বিখ্যাত কাউন্টি ক্রিকেট ক্লাবের অভ্যন্তরে বর্ণবাদের কদর্য চেহারাটা বেরিয়ে এসেছে রফিকের সেই সব অভিযোগে। ইংলিশ ক্রিকেটের রন্ধ্রে রন্ধ্রে যে বর্ণবাদের বিষবাষ্প, সেটি উদ্‌গীরিত হয়েছে রফিকের কথায়। সেই অভিযোগের জালে ধরা পড়েছেন মাইকেল ভন, ডেভিড লয়েড, গ্যারি ব্যালান্সের মতো সাবেক ও বর্তমান ক্রিকেটাররা। অশেতাঙ্গ ক্রিকেটারদের মুখের ভাষায় অসম্মান, তাদের হেয় করা যে প্রতিনিয়ত ব্যাপার, সেটি উন্মোচিত হয়েছে রফিকের কথায়।

ইংলিশ ক্রিকেট বর্ণবাদ নিয়ে যখন বিব্রত, ঠিক তখনই ভারতের বিখ্যাত ধারাভাষ্যকার ও ক্রিকেট–ব্যক্তিত্ব হার্শা ভোগলে টুইট করে জানালেন, একসময় তাঁর নাকি ক্রিকেটের পীঠস্থান বলে পরিচিত লর্ডসে ঢুকতেই অস্বস্তি হতো। সেখানকার পরিবেশটাই নাকি এমন ছিল যে অশেতাঙ্গ যে কারোর জন্যই লর্ডসে খেলা কিংবা টেলিভিশন সম্প্রচারকার্যের জন্য যাওয়া ছিল অস্বস্তিকর। সেখানকার পরিবেশটাই নাকি ছিল চরম বর্ণবাদী।

ভোগলে বলছেন, নব্বইয়ের দশকের গোড়ায় লর্ডসের পরিবেশটাই নাকি ছিল অশেতাঙ্গদের জন্য অস্বস্তিকর
ফাইল ছবি

ক্রিকেট ধারাভাষ্যকার হিসেবে দীর্ঘদিন ধরেই জনপ্রিয় ভোগলে। নব্বইয়ের দশকের শুরুর দিক থেকেই তিনি পরিচিত হয়ে ওঠেন। ক্রিকেটে সম্প্রচারে বহুবার তাঁকে বহু জায়গায় যেতে হয়েছে। ইংল্যান্ডেও গিয়েছেন অগণিতবার। সেখানেই তিনি ক্রিকেটের বিখ্যাত মাঠ লর্ডসে বর্ণবাদের সম্মুখীন হয়েছেন বলে জানিয়েছেন। টুইটারে তিনি লিখেছেন, লর্ডসে একসময় পেশাগত কারণে যেতে একেবারেই স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করতেন না, ‘বর্ণবাদ সত্যিই বেদনাদায়ক একটা ব্যাপার। অনেক সময় এ ব্যাপারটিই খুব স্বাভাবিক বিষয়ে পরিণত হয়। আপাত সংবেদনশীল হর্তাকর্তারা অনেক সময়ই বর্ণবাদী আচরণ করে বসেন। কেউ হয়তো তাঁকে বাধাও দেন না। ভদ্রসমাজেও অনেক মানুষ অনেক কথা বলে ফেলে, যেগুলো বলতে তাঁকে কেউ কখনোই বাধা দেয়নি। আমি মনে করি, রফিকের অভিযোগগুলোর পর এগুলো বদলাবে। একটা সময় লর্ডস ছিল খুবই বাজে একটা জায়গা। সেখানকার লোকজন আপনাকে নিচু চোখে দেখত। এমন একটা ভাব দেখাত যেন সেখানে কাজের জন্য ঢুকতে দিয়ে তারা আপনাকে ধন্য করেছে।’

এসব ব্যাপার লর্ডসে নব্বইয়ের দশকের দিকে ঘটতে দেখেছেন বলে দাবি ভোগলের। এমনকি এ শতকের শুরুর দিকেও এসব ছিল। তবে হার্শা ভোগলে স্বস্তি নিয়েই বলেছেন, যে লোকগুলো লর্ডসে দাঁড়িয়ে বর্ণবাদী আচরণ করত, তাদের বেশির ভাগই এখন সেখানে নেই।