বাংলাদেশকে 'ছোঁয়া' হলো না শ্রীলঙ্কার

শ্রীলঙ্কার হয়ে খানিক লড়েছিলেন ডিকভেলা। ছবি: এএফপি
শ্রীলঙ্কার হয়ে খানিক লড়েছিলেন ডিকভেলা। ছবি: এএফপি

নিরোশান ডিকভেলা বড্ড বেরসিক। দলের অন্য সবাই যখন সর্বোচ্চ চেষ্টা করছিলেন একটি ‘রেকর্ড’ গড়ার, সেখানে সবকিছু ‘কেঁচে’ দিলেন এই উইকেটকিপার-ব্যাটসম্যান। তাঁর ঝোড়ো ইনিংসেই বাংলাদেশকে ‘ছোঁয়া’ হলো না শ্রীলঙ্কার। স্বাগতিকদের বিপক্ষে ‘মাত্র’ ৪৩৯ রানের লিড নিয়েই তাই সন্তুষ্ট হতে হলো ভারতকে। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ১ উইকেট হারিয়ে ফেলেছে শ্রীলঙ্কা।

৪৮ বলে ৫১ রান করেছেন ডিকভেলা। তাতেই অলআউট হওয়ার আগে শ্রীলঙ্কার রানটা ১৮৩-তে নিতে পেরেছে লঙ্কানরা। ভারতের তোলা ৬২২ রান থেকে ৪৩৯ রান পেছনে শেষ হয়েছে তাদের ইনিংস। ডিকভেলা অমন ইনিংস না খেললে হয়তো আজই রেকর্ড থেকে মুছে যেত বাংলাদেশের নাম। ২০০৭ সালে ঢাকা টেস্টে ভারতের ৬১০ রানের জবাবে ১১৮ রানে অলআউট হয়েছিল বাংলাদেশ। ভারতও পেয়েছিল তাদের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় লিড (৪৯২)। শ্রীলঙ্কা অবশ্য ‘দুইয়ে’ও থাকছে না। ২০১১ সালে ইডেন গার্ডেনে ভারত ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ৪৭৮ রানের লিড পেয়েছিল। সেটিই আছে দুইয়ে।

শ্রীলঙ্কারও একটি ‘রেকর্ড’ হয়েছে। তবে সেটি নিয়ে গর্বের কিছু নেই। প্রতিপক্ষকে এর আগে কখনোই এত রানের লিড দেয়নি তারা। ২০০০ সালে গলে ৪১৯ রানের লিড পেয়েছিল পাকিস্তান। সে ম্যাচ ইনিংস ব্যবধানে হেরেছিল শ্রীলঙ্কা। ডিকভেলা, অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুস (২৬) কিংবা দিলরুয়ান পেরেরার (২৫) ছোটখাটো প্রতিরোধও পারেনি ‘গলের লজ্জা’ ছাড়িয়ে যাওয়া ঠেকাতে। ভারতের হয়ে ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন। ক্যারিয়ারের ২৬ বারের মতো ইনিংসে ৫ উইকেট পেয়েছেন অশ্বিন—মাত্র ৫১ টেস্টে। দ্রুত ২৬ বার ৫ উইকেট নেওয়ার রেকর্ডে তাঁর ধারেকাছেও নেই দুইয়ে থাকা রিচার্ড হ্যাডলি (৬৩)।

মাত্র ২ উইকেট নিয়েই আরেক রেকর্ড গড়েছেন রবীন্দ্র জাদেজা। মিশেল জনসনকে (৩৪ টেস্ট) টপকে সবচেয়ে দ্রুত ১৫০ উইকেট পাওয়া বাঁহাতি বোলার এখন জাদেজা। সে সঙ্গে বিরাট কোহলির অধিনায়কত্বে উইকেটের সেঞ্চুরিও হয়ে গেছে জাদেজার! সূত্র: সনি সিক্স।