বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা ওয়ানডে লড়াই

বগুড়ার শহীদ চান্দু স্টেডিয়ামে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ওয়ানডেতে প্রথম জয়ের পর মাশরাফি বিন মুর্তজা ও আফতাব আহমেদ l ক্রিকইনফো
বগুড়ার শহীদ চান্দু স্টেডিয়ামে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ওয়ানডেতে প্রথম জয়ের পর মাশরাফি বিন মুর্তজা ও আফতাব আহমেদ l ক্রিকইনফো

টেস্ট সিরিজটা স্মরণীয় করে রাখার পর আগামীকাল ডাম্বুলায় ওয়ানডে সিরিজ খেলতে নামছে বাংলাদেশ। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ শুরুর আগে দুই দেশের ওয়ানডে দ্বৈরথের ইতিহাসের দিকে ফিরে তাকানো যাক

২২ ফেব্রুয়ারি ২০০৬

প্রথম জয়
ওয়ানডেতে মুখোমুখি
ম্যাচ বাংলাদেশ শ্রীলঙ্কা ফল হয়নি
মোট ৩৮ ৪ ৩৩ ১
শ্রীলঙ্কায় ১৬ ১ ১৪ ১
সবচেয়ে বেশি রান
বাংলাদেশের সেরা তিন ব্যাটসম্যান
ম্যাচ ইনিংস রান সর্বোচ্চ গড় ১০০/৫০
মোহাম্মদ আশরাফুল ২৬ ২৫ ৫৭৩ ৭৫ ২৩.৮৭ ০/৪
তামিম ইকবাল ১৪ ১৪ ৪২০ ১১২ ৩০.০০ ১/৩
সাকিব আল হাসান ১৫ ১৫ ৪০৬ ৯২* ৩১.২৩ ০/৩
শ্রীলঙ্কার সেরা তিন ব্যাটসম্যান
ম্যাচ ইনিংস রান সর্বোচ্চ গড় ১০০/৫০

কুমার সাঙ্গাকারা ৩১ ২৮ ১২০৬ ১২৮ ৪৮.২৪ ৫/৬
সনাৎ জয়াসুরিয়া ২২ ২১ ১০৩০ ১৩০ ৫৪.২১ ৪/৫
তিলকরত্নে দিলশান ২৪ ২১ ৮৫৯ ১৬১* ৫৩.৬৮ ৪/২

সবচেয়ে বেশি উইকেট
বাংলাদেশের সেরা তিন বোলার
ম্যাচ ওভার উইকেট সেরা গড় ৪/৫
আবদুর রাজ্জাক ১৫ ১২২.০ ১৯ ৫/৬২ ৩৬.১৫ ০/১
মোহাম্মদ রফিক ১৫ ১২০.৫ ১৭ ৩/৬১ ৩৩.২৩ -
সৈয়দ রাসেল ১৩ ১১৪.০ ১৬ ২/২৮ ৩৪.৩৭ -

শ্রীলঙ্কার সেরা তিন বোলার
ম্যাচ ওভার উইকেট সেরা গড় ৪/৫
মুত্তিয়া মুরালিধরন ১৭ ১৫৯.৪ ৩১ ৫/৩১ ১৭.২২ ১/১
দিলহারা ফার্নান্ডো ১৩ ৯৬.১ ২২ ৪/২৪ ১৯.৮১ ১/০
লাসিথ মালিঙ্গা ১৩ ৯৮.২ ২০ ৩/২২ ১৯.৩০ -
ফারভিজ মাহারুফ ১৩ ১০১.০ ২০ ৩/২৫ ২০.৬৫ -

জুটির রেকর্ড
উইকেট রান জুটি দল ভেন্যু সাল
১ম ২১৫ থারাঙ্গা-জয়াবর্ধনে শ্রীলঙ্কা মিরপুর ২০১০
২য় ২১০* দিলশান-সাঙ্গাকারা শ্রীলঙ্কা মেলবোর্ন ২০১৫
৩য় ১৩৮ কুশল পেরেরা-চান্ডিমাল শ্রীলঙ্কা মিরপুর ২০১৪
৪র্থ ১৩৯ ডি সিলভা-রানাতুঙ্গা শ্রীলঙ্কা কলকাতা ১৯৯০
৫ম ১০০ আরনল্ড-দিলশান শ্রীলঙ্কা কলম্বো ২০০২
১০০ আশরাফুল-মানজারুল বাংলাদেশ কলম্বো ২০০৪
৬ষ্ঠ ৯৫ আশরাফুল-মাহমুদউল্লাহ বাংলাদেশ মিরপুর ২০১০
৭ম ৬৩ সাঙ্গাকারা-মাহারুফ শ্রীলঙ্কা মিরপুর ২০০৯
৮ম ৪৯ সাকিব-মাশরাফি বাংলাদেশ মোহালি ২০০৬
৪৯* মাশরাফি-রাজ্জাক বাংলাদেশ লাহোর ২০০৮
৯ম ৮২ থিসারা পেরেরা-সেনানায়েকে শ্রীলঙ্কা মিরপুর ২০১৪
১০ম ৫৪* মাসুদ-তাপস বাংলাদেশ কলম্বো ২০০৫

২০০৩ বিশ্বকাপে পিটারমারিজবার্গে বাংলাদেশের ইনিংসের প্রথম তিন বলেই উইকেট নিয়ে হ্যাটট্রিক করেছিলেন চামিন্ডা ভাস। ওয়ানডেতে ইনিংসের প্রথম তিন বলেই উইকেট নেওয়ার একমাত্র কীর্তি এটি। পঞ্চম বলেও আরেকটি উইকেট নিয়েছিলেন ভাস।

১৬১*
সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ইনিংস তিলকরত্নে দিলশানের, ২০১৫ বিশ্বকাপে মেলবোর্নে।
৬/২৫
ইনিংস-সেরা বোলিং চামিন্ডা ভাসের, ২০০৩ বিশ্বকাপে পিটারমারিজবার্গে।
১১২
বাংলাদেশের হয়ে একমাত্র সেঞ্চুরিটা তামিম ইকবালের, ২০১৩ সালে হাম্বানটোটায়।
৫/৬২
বাংলাদেশের হয়ে ইনিংসে ৫ উইকেট পেয়েছেন শুধু আবদুর রাজ্জাক। ২০১৩ সালে পাল্লেকেলেতে ৬২ রানে ৫ উইকেট।
৩৫৭/৯
সর্বোচ্চ ইনিংসটা শ্রীলঙ্কার, ২০০৮ সালে লাহোরে এশিয়া কাপে। দুই দলের মুখোমুখি লড়াইয়ের সর্বোচ্চ ১২টি ইনিংসই শ্রীলঙ্কার। বাংলাদেশের সর্বোচ্চ ২৬৫ রান, ২০০৬ সালে মোহালিতে।
৭৬
সর্বনিম্ন ইনিংস বাংলাদেশের, ২০০২ সালে শ্রীলঙ্কা সফরের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে। দুই দলের সিরিজে সর্বনিম্ন ৯টি ইনিংসই বাংলাদেশের। শ্রীলঙ্কার সর্বনিম্ন ১৪৭।

সবচেয়ে বেশি শূন্য রানে আউট হয়েছেন বাংলাদেশের মোহাম্মদ আশরাফুল ও রুবেল হোসেন।
৯৯.৩২
কমপক্ষে ২৫০ বল খেলেছেন, এমন ব্যাটসম্যানদের মধ্যে সর্বোচ্চ স্ট্রাইক রেট সনাৎ জয়াসুরিয়ার।
৪৯
সবচেয়ে বেশি ডিসমিসাল কুমার সাঙ্গাকারার। বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ ১৮টি ডিসমিসাল মুশফিকুর রহিমের।
২৪
সবচেয়ে বেশি ছক্কা মেরেছেন সনাৎ জয়াসুরিয়া।
৩০০
সবচেয়ে বেশি স্ট্রাইক রেটের ইনিংসটি ফারভিজ মাহারুফের। ২০০৬ সালে চট্টগ্রামে আটে নেমে ৯ বলে ২৭ রান করেছিলেন লঙ্কান পেসার।
২৪৮
এক সিরিজে সবচেয়ে বেশি রান তিলকরত্নে দিলশানের। ২০১৩ সালে বাংলাদেশের শ্রীলঙ্কা সফরের তিন ম্যাচে দুই সেঞ্চুরিতে ২৪৮।
৬-২-৬-১
১৯৮৮ এশিয়া কাপে বাংলাদেশের বিপক্ষে শ্রীলঙ্কার পেসার চম্পকা রমানায়েকের বোলিং বিশ্লেষণ। দুই দলের ওয়ানডে লড়াইয়ে সবচেয়ে মিতব্যয়ী বোলিংয়ের উদাহরণ।
৮৬
এক ম্যাচে সবচেয়ে বেশি রান দিয়েছেন বাংলাদেশের আবদুর রাজ্জাক, ২০০৭ বিশ্বকাপে পোর্ট অব স্পেনে। খরুচে বোলিংয়ের তালিকায় প্রথম ১১ জনই বাংলাদেশের।

এক সিরিজে সবচেয়ে বেশি উইকেট সনাৎ জয়াসুরিয়ার, ২০০৭ সালে বাংলাদেশের শ্রীলঙ্কা সফরে।
৩১
সবচেয়ে বেশি ম্যাচ খেলেছেন কুমার সাঙ্গাকারা।

সবচেয়ে বেশি সেঞ্চুরি কুমার সাঙ্গাকারার। সব দেশ মিলিয়েই ওয়ানডেতে বাংলাদেশের বিপক্ষে সবচেয়ে বেশি সেঞ্চুরি।

বাংলাদেশ নিজেদের ইতিহাসের প্রথম ওয়ানডে খেলেছে শ্রীলঙ্কায়। ১৯৮৬ সালের ৩১ মার্চ এশিয়া কাপের সেই ম্যাচে প্রতিপক্ষ ছিল পাকিস্তান।
দুদিন পর ওই টুর্নামেন্টেই ক্যান্ডিতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম খেলে বাংলাদেশ। ম্যাচটা বাংলাদেশ হেরেছিল ৭ উইকেটে।
এই প্রথম বাংলাদেশের বিপক্ষে কোনো দ্বিপাক্ষিক ওয়ানডে সিরিজে শ্রীলঙ্কা দলে নেই কুমার সাঙ্গাকারা।
ওয়ানডেতে ৩৮ বার মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা। বাংলাদেশ শ্রীলঙ্কার চেয়ে বেশি ওয়ানডে খেলেছে শুধু জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে—৬৭টি।
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৬টি দ্বিপাক্ষিক সিরিজে মাত্র একবারই হার এড়িয়েছে বাংলাদেশ। ২০১৩ সালে শ্রীলঙ্কা সফরের ওয়ানডে সিরিজটা ড্র হয় ১-১ ম্যাচে।
২০০৯ সালে মিরপুরে ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনালে ৬ রানে শ্রীলঙ্কার ৫ উইকেট তুলে নিয়েও জিততে পারেনি বাংলাদেশ। সাঙ্গাকারা (৫৯), মাহারুফ (৩৮*) ও মুরালিধরনের (১৬ বলে অপরাজিত ৩৩) ব্যাটিংয়ে ২ উইকেট ও ৯ বল হাতে রেখেই ১৫৩ রানের লক্ষ্যে পৌঁছে যায় লঙ্কানরা।
গ্রন্থনা: মোহাম্মদ সোলায়মান