তৃতীয় দিনের খেলা শুরু হয়ে গেছে। আগের দিনের দুই অপরাজিত ব্যাটসম্যান মুশফিকুর রহিম ও মোহাম্মদ মিঠুনের জুটিতে ভরসা রেখেছিল বাংলাদেশ। ৪ উইকেটে ১০৫ রান নিয়ে দিন শুরু করা বাংলাদেশের জন্য আদর্শ হতো যদি এই জুটিতেই ফলোঅনের জন্য দরকারি বাকি ১০৫ রান চলে আসত। কিন্তু সেটি আর হলো কই!
মুশফিক ফিফটি পেলেও মিঠুন আউট হয়ে গেছেন। তার চেয়েও বড় অস্বস্তি হয়ে যে প্রশ্নটি বাংলাদেশের ক্রিকেটপ্রেমীদের বিঁধছে, সেটি হলো বাংলাদেশ কি ফলোঅন এড়াতে পারবে?
আনকোরা ক্রিকেটারদের নিয়ে বাংলাদেশ সফরে এসে প্রথম টেস্টেই ক্রিকেট বিশ্বকে চমকে দিয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। চট্টগ্রামে সে টেস্টে কাইল মেয়ার্সের অবিশ্বাস্য ইনিংসে বাংলাদেশকে হারিয়েই দিয়েছে! ঢাকায় সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টে তো প্রথম দুই দিনে ওয়েস্ট ইন্ডিজেরই দাপট ছিল। তবু এই ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে ফলোঅন করাটা বাংলাদেশের জন্য লজ্জার ইতিহাস হয়েই থাকবে?
দিনের শুরু থেকেই মোহাম্মদ মিঠুনকে বাউন্সারে বিঁধেছেন চাইছেন ক্যারিবীয় পেসার শ্যানন গ্যাব্রিয়েল। শর্ট লেগ, লেগ গালিতে ফিল্ডার রেখে বুক উচ্চতায় বাউন্সার দিয়ে যাচ্ছেন, ব্যাকফুটে খেলতে থাকা মিঠুন তাতে অস্বস্তিতে পড়েছেন। পরে ধরা পড়েছেন রাকিম কর্নওয়ালের বলে। বাংলাদেশকে চোখ রাঙাতে থাকা ফলোঅনের হুমকি আরও বেড়েছে তাতে।
স্বীকৃত ব্যাটসম্যান হিসেবে এখন লিটন দাস আছেন ক্রিজে মুশফিকের সঙ্গী হয়ে, এরপর মেহেদি হাসান মিরাজের ক্রিজে আসা বাকি। কিন্তু লিটন চট্টগ্রাম টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসের আগে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে এই সিরিজে ব্যাট হাতে ভালো করতে পারেননি। মিরাজ চট্টগ্রাম টেস্টের প্রথম ইনিংসে সেঞ্চুরি করলেও টেস্টে তাঁর ১৯.৬৮ গড় বাংলাদেশকে তেমন ভরসা জোগায় না।
প্রশ্নটা তাই উঠছেই, বাংলাদেশ কি ফলোঅন এড়াতে পারবে? আপনার কী মনে হয়, মতামত জানান ভোটে।