বারবার রং বদলানো দিনের শেষে গ্র্যান্ডহোম–ঝড়

ড্যারিল মিচেলের সঙ্গে গড়া জুটিতে দিন পার করেন গ্র্যান্ডহোমছবি: এএফপি

ক্রাইস্টচার্চ টেস্টে শক্ত অবস্থানে থেকে প্রথম দিনের খেলা শেষ করেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। ৩ উইকেটে ২৩৮ রানে খেলা শেষ করায় আজ দ্বিতীয় দিনে রানের পাহাড় গড়ার সুযোগ ছিল প্রোটিয়াদের।

কিন্তু ম্যাট হেনরি ও নিল ওয়াগনারের দারুণ বোলিংয়ে সংগ্রহটা তেমন বড় হয়নি। প্রথম ইনিংসে ৩৬৪ রানেই অলআউট হয় ডিন এলগারের দল। এরপর নিউজিল্যান্ড নিজেদের প্রথম ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নেমে ৫ উইকেটে ১৫৭ রান নিয়ে দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষ করে।

দক্ষিণ আফ্রিকার প্রথম ইনিংস থেকে এখনো ২০৭ রানে পিছিয়ে নিউজিল্যান্ড।

মধ্যাহ্নবিরতির আগেই ৪ উইকেট হারায় দক্ষিণ আফ্রিকা। নবম উইকেটে রেকর্ড জুটিতে প্রোটিয়াদের সংগ্রহ সাড়ে তিন শ পার হয়।

আটে নামা মার্কো ইয়ানসেন ও দশে নামা কেশব মহারাজ মিলে নবম উইকেটে ৭৯ বলে ৬২ রান যোগ করেন—নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে নবম উইকেটে এটাই সবচেয়ে বেশি রান দক্ষিণ আফ্রিকার।

প্রোটিয়াদের হয়ে দারুণ বল করেন রাবাদা
ছবি: এএফপি

কেশব ৩৬ রানে আউট হলেও ৩৭ রানে অপরাজিত ছিলেন ইয়ানসেন। ৪ উইকেট নেন কিউই পেসার ওয়াগনার। ৩ উইকেট আরেক পেসার হেনরির।

মেঘলা আকাশের নিচে শুরুটা মোটেও ভালো হয়নি নিউজিল্যান্ডের। প্রথম ওভারেই টম ল্যাথামকে (০) তুলে নেন প্রোটিয়া পেসার কাগিসো রাবাদা। চার ওভার পর আরেক ওপেনার উইল ইয়াংকেও ৩ রানে ফেরান তিনি।

ডেভন কনওয়ে ও হেনরি নিকোলস মিলে তৃতীয় উইকেটে ৮৫ বলে ৪২ রান তুলে বিপর্যয় সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন। ২ উইকেটে ৩০ রান নিয়ে চা–বিরতিতে যাওয়া নিউজিল্যান্ড শেষ সেশনের শুরুর দিকে নিকোলসকে (১৬) হারায়।

ঝোড়ো অর্ধশতক তুলে নেন গ্র্যান্ডহোম
ছবি: এএফপি

কিউই পেস অলরাউন্ডার ইয়ানসেন তুলে নেন তাঁকে। ড্যারিল মিচেল এসে নিকোলসের সঙ্গে জুটি বাঁধেন। দ্রুতলয়ে খেলে ৩৭ বলে তাঁদের ৩২ রানের জুটি ভালোই এগিয়ে যাচ্ছিল। কিন্তু ইয়ানসেনের বলে কাট করতে গিয়ে বল নিচে রাখতে না পারায় ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন নিকোলাস (৩৯)।

নিউজিল্যান্ডের ইনিংসে দুর্দান্ত বল করা রাবাদা এক ওভার পর টম ব্লান্ডেলকে তুলে নিলে শেষ বিকেলে বিপদের আভাস পায় নিউজিল্যান্ড। কিন্তু কলিন ডি গ্র্যান্ডহোম ও মিচেলের ১১২ বলে অবিচ্ছিন্ন ৬২ রানের জুটিতে দিনের বাকি সময়ে আর কোনো উইকেট হারায়নি নিউজিল্যান্ড।

সাতে নেমে ওয়ানডে মেজাজে ব্যাট করেন গ্র্যান্ডহোম। ২ ছক্কা ও ৭ চারে ৬১ বলে ৫৪ রানে অপরাজিত থাকার পথে টেস্ট ক্যারিয়ারের নবম অর্ধশতক তুলে নেন এ অলরাউন্ডার। পাল্টাআক্রমণে ৩৬ বলে অর্ধশতক তুলে নেওয়ার পথে দারুণ কিছু শট খেলেন গ্র্যান্ডহোম।

৭৮ বলে ২৯ রানে অন্য প্রান্তে অপরাজিত মিচেল। ৩৭ রানে ৩ উইকেট নেন রাবাদা। ৪৮ রানে ২ উইকেট ইয়ানসেনের।