ব্যাটসম্যানদের জন্য লড়াই ছাড়াই হার বাংলাদেশের

এক প্রান্তে আগলে রেখে পাকিস্তানকে জিতিয়ে ফিরলেন মালিক। ছবি: এএফপি
এক প্রান্তে আগলে রেখে পাকিস্তানকে জিতিয়ে ফিরলেন মালিক। ছবি: এএফপি
>লাহোরে সিরিজের প্রথম টি–টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের দেওয়া ১৪২ রানের লক্ষ্য ৫ উইকেট ও ৩ বল হাতে থাকতেই পেরিয়ে গেছে পাকিস্তান।

১৪২ রানের লক্ষ্য দিয়ে আর কতটা লড়াই করা যায়! তবুও বাংলাদেশের বোলাররা সাধ্যমতো চেষ্টা করলেন। শফিউল–আমিনুলদের এই চেষ্টা শুধু পাকিস্তানের জয় বিলম্বিত করেছে। লাহোরে বাংলাদেশকে ৫ উইকেটে হারিয়ে তিন ম্যাচের টি–টোয়েন্টি সিরিজ ১–০ ব্যবধানে এগিয়ে গেছে পাকিস্তান। বাংলাদেশ যে লড়াই জমিয়ে তুলতে পারেনি, সেটির দায় আসলে ব্যাটসম্যানদেরই!

চ্যালেঞ্জিং স্কোর ছুড়ে না দিতে পারার আফসোস নিয়ে বোলিং করতে নামা বাংলাদেশ শুরুটা খারাপ করেনি। স্কোরকার্ডে রান জমা হওয়ার আগেই লেংথ থেকে ভেতরে ঢোকা বলে বাবর আজমকে উইকটকিপারের গ্লাভসবন্দী করে ফেরান শফিউল ইসলাম। নতুন বলে ধারাবাহিক উইকেট পাচ্ছেন বাংলাদেশ দলের এই অভিজ্ঞ পেসার।

মন্থর পিচে শুরুতে উইকেট হারিয়ে কিছুটা চাপেই পড়েছিল পাকিস্তান। পাওয়ার প্লেতে স্বাগতিকেরা ২ উইকেটে ৩৬ রানের বেশি তুলতে পারেনি। ১২ ওভার শেষেও পাকিস্তানের রান রেট ছিল সাতের নিচে। তখন তাদের দরকার ছিল ৪৮ বলে ৬০ রান। এ চাপটা অবশ্য পাকিস্তানের জয়ের পথে বাধা হতে দেননি শোয়েব মালিক। কদিন আগে বিপিএল খেলে যাওয়া পাকিস্তানি অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যানের ভালোই চেনা–জানা আছে বাংলাদেশের বোলারদের। সেটি কাজে লাগিয়ে দলকে আজ অনেকটা একাই নিয়ে গেলেন জয়ের প্রান্তে। মালিক অপরাজিত ছিলেন ৫৮ রানে। বাংলাদেশের প্রায় সব বোলার পাকিস্তানি ব্যাটসম্যানদের ওপর কম–বেশি চাপ সৃষ্টি করলেও মোস্তাফিজুর রহমান একাই দিয়ে বসলেন ৪ ওভারে ৪০ রান। 

বড় স্কোর হয়নি, ফিল্ডিংও হয়নি বলার মতো। এ ম্যাচে বাংলাদেশের পরাজয় যেন অনিবার্য হয়ে গিয়েছিল ইনিংস বিরতিতে। কিন্তু কেন বাংলাদেশ গড়তে পারেনি চ্যালেঞ্জিং স্কোর? টস জিতে ব্যাটিং নেওয়ার পর বাংলাদেশের শুরুটা হলো আশ্চর্য ধীরগতিতে! তামিম ইকবাল–নাঈম হাসান শুরু করলেন ওয়ানডের মেজাজে। পাওয়ার প্লেতে ৫.৮৩ রান রেটে বাংলাদেশ তুলতে পারল ৩৫। পুরো ইনিংস চলল এমনই খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে। বাংলাদেশ করতে পারল ৫ উইকেটে ১৪১। হাতে যথেষ্ট উইকেট থাকার পরও ইনিংসে কখনোই সাতের ওপর রান রেট নিতে পারেনি বাংলাদেশ। শেষ ওভারে ১৩ রান তোলায় স্কোরটা কোনোভাবে ১৪০ পেরিয়েছে।

এই রান টপকানো যে পাকিস্তানের ব্যাটসম্যানদের কাছে কঠিন কিছু ছিল না, পরে বাংলাদেশ তা ভালোভাবেই বুঝল। কাল গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে দ্বিতীয় টি–টোয়েন্টিতেও একই ভুলের পুনরাবৃত্তি হলে সিরিজের শেষ ম্যাচটা হয়ে যাবে শুধুই আনুষ্ঠানিকতা।