ভারতীয় প্রধান নির্বাহীকে বাধ্যতামূলক ছুটিতে পাঠাল আইসিসি
এই দুদিন আগেও আইসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে বিভিন্ন সভা-সমাবেশে যোগ দিয়েছেন। দুদিন আগে ভারতীয় ব্যবসায়ীদের সঙ্গে এক সভায় ভারতে অনুষ্ঠেয় ২০২১ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ নিয়ে কথা বলেছেন। সেই মনু সাহনিকেই হঠাৎ বাধ্যতামূলক ছুটিতে পাঠিয়েছে বিশ্ব ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিসি।
ভারতীয় এই নির্বাহীর জন্য কাল হয়ে এল প্রতিষ্ঠান পরিচালনার তাঁর কর্তৃত্বমূলক আচরণ। অডিট বা নিরীক্ষার জন্য বিশ্বজুড়ে স্বনামধন্য আন্তর্জাতিক সংস্থা প্রাইসওয়াটারহাউজ কুপার্সের (পিডব্লুসি) তদন্তে মনু সাহনির এমন আচরণের প্রমাণ মিলেছে। এরপরই তাঁকে বাধ্যতামূলক ছুটিতে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয় আইসিসি। খবরটা দিয়েছে ভারতের সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া।
শশাঙ্ক মনোহর আইসিসির চেয়ারম্যান থাকার সময় ২০১৯ সালে আইসিসির প্রধান নির্বাহী হিসেবে দায়িত্ব পান সাহনি। সাবেক দক্ষিণ আফ্রিকান ক্রিকেটার ও নির্বাহী ডেভ রিচার্ডসনের জায়গায় দায়িত্বটা পেয়েছিলেন সাহনি।
টাইমস অব ইন্ডিয়া লিখেছে, সাহনির ‘কঠোর ও সহানুভূতিহীন আচরণে’র কারণে তাঁর ওপর আইসিসির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা নাখোশ ছিলেন। এমন অভিযোগ অবশ্য সাহনির বিরুদ্ধে এবারই প্রথম নয়; এর আগে সিঙ্গাপুরে যে প্রতিষ্ঠানে কাজ করতেন সাহনি, সেখানেও তাঁর বিরুদ্ধে এমন কর্মীদের আবেগ-অনুভূতি, সুবিধা-অসুবিধা হিসাবে না নেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল।
প্রাইসওয়াটারহাউজ কুপার্সের তদন্তে বিশ্ব ক্রিকেট সংস্থার (আইসিসি) দুবাই কার্যালয়ের ৯০ শতাংশ কর্মী ভারতীয় এই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিয়েছেন বলে জানিয়েছে টাইমস অব ইন্ডিয়া।
প্রতিবেদনে লেখা হয়েছে, কাজ করার ক্ষেত্রে সাহনি যে ‘কর্তৃত্বমূলক পদ্ধতি’ অনুসরণ করেন, সেটা তাঁর পূর্বসূরির কাজের ধরনের চেয়ে পুরোপুরি আলাদা। সাহনির পূর্বসূরি, অর্থাৎ রিচার্ডসন কর্মীদের সঙ্গে মিলেমিশেই কাজ করতেন। ‘বস’ না হয়ে ‘নেতা’ হয়েছিলেন রিচার্ডসন, সেখানে সাহনির এমন ‘বস’সুলভ কর্তৃত্ব আইসিসির কর্মীদের পছন্দ হয়নি।
৫৬ বছর বয়সী সাহনি অনেক দিন ধরেই অফিসে যাচ্ছেন না। গতকাল তাঁকে বাধ্যতামূলক ছুটিতেই পাঠিয়ে দিয়েছে আইসিসি।
আইসিসির সঙ্গে চুক্তিতে আর এক বছর বাকি আছে সাহনির। বিশ্ব ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থার চালকের পদে বসার আগে সিঙ্গাপুর স্পোর্টস হাবে ছিলেন সাহনি। এর আগে ইএসপিএন স্টার স্পোর্টসে ১৭ বছর কাজ করেছেন সাহনি, সেটিরও কার্যালয় ছিল সিঙ্গাপুরে।