আবারও ভুল কারণে খবরের শিরোনামে বিনোদ কাম্বলি। গতকাল রোববার মুম্বাইয়ে মদ্যপ অবস্থায় গাড়ি চালিয়ে আরেক গাড়িতে ধাক্কা মেরে আটক হয়েছেন ভারতের সাবেক এ ব্যাটসম্যান।
কাম্বলি মদ্যপ অবস্থায় যে গাড়িটিকে ধাক্কা মেরেছেন ঘটনাচক্রে সেটি আরেক সাবেক ভারতীয় ক্রিকেটার রমেশ পাওয়ারের স্ত্রী তেজস্বিনী পাওয়ারের। কাম্বলিকে অবশ্য পরে জামিনে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
ভারতীয় গণমাধ্যমকে কাম্বলির আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মুম্বাই পুলিশের উপকমিশনার মঞ্জুনাথ সিংহে, বিনোদ কাম্বলি মদ্যপ অবস্থায় গাড়ি চালাচ্ছিলেন। তিনি একটি গাড়িকে সে অবস্থায় ধাক্কা দেন। পরে তাঁকে আটক করা হয়। এ ব্যাপারে তদন্ত চালাচ্ছে মুম্বাই পুলিশের বান্দ্রা থানা।
পুলিশ জানিয়েছে, কাম্বলি মদ্যপ অবস্থায় বান্দ্রার একটি অ্যাপার্টমেন্ট কমপ্লেক্সের নিচে পার্ক করে রাখা একটি গাড়িতে ধাক্কা দেন। দ্রুত সেখান থেকে কেটে পড়তে গিয়ে তিনি নিজের গাড়ি ধাক্কা লাগান একটি দেয়ালে। অ্যাপার্টমেন্ট কমপ্লেক্স থেকে দ্রুতগতিতে বের হওয়ার সময় তাঁকে আটক করে পুলিশ। থানায় মেডিকেল পরীক্ষার পর তাঁর শরীরে অ্যালকোহলের অস্তিত্ব মেলে।
শচীন টেন্ডুলকারের বাল্যবন্ধু কাম্বলিকে একসময় টেন্ডুলকারের মতোই প্রতিভাবান মনে করা হতো। ১৯৮৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে স্কুল ক্রিকেটের টুর্নামেন্ট হ্যারিস শিল্ডের ম্যাচে টেন্ডুলকারের সঙ্গে কাম্বলি ৬৬৪ রানের এক রেকর্ড জুটি গড়েছিলেন। সে জুটিতে টেন্ডুলকার ৩২৬ রান করেছিলেন। কাম্বলি করেছিলেন ৩৪৯।
টেন্ডুলকার ১৯৮৯ সালে ভারতের হয়ে খেলা শুরু করলেও কাম্বলি প্রথম খেলেন ১৯৯১ সালে। শারজায় পাকিস্তানের বিপক্ষে তাঁর ওয়ানডে অভিষেক হয়। টেস্ট অভিষেক হয় ১৯৯৩ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে, কলকাতায়। ১৯৯১ থেকে ২০০০ সালের মধ্যে তিনি ভারতীয় দলের হয়ে ১৭টি টেস্ট আর ১০৪টি ওয়ানডে খেলেছেন। নব্বইয়ের দশকে টেন্ডুলকার যখন ভারতীয় ক্রিকেটের বিজ্ঞাপন হয়ে উঠেছেন, কাম্বলি কখনোই তাঁর প্রতিভার পূর্ণ সদ্ব্যবহার করতে পারেননি। যদিও ভারতের হয়ে ১৯৯২ ও ১৯৯৬ সালে দুটি ওয়ানডে বিশ্বকাপ খেলেছেন তিনি।
খেলা ছাড়ার পরও তিনি নানা কারণে বিতর্কিত হয়েছেন। এর আগেও গৃহকর্মী নির্যাতনের অভিযোগে কাম্বলি ও তাঁর স্ত্রীর নামে থানায় অভিযোগ করা হয়েছিল। তাঁদের নামে প্রাথমিক প্রতিবেদনও দিয়েছিল মুম্বাই পুলিশ।