মাশরাফির ১ উইকেট ‘প্রত্যাশার চেয়েও ভালো’
দীর্ঘদিন পর মাঠে ফিরছেন। সে জন্যই হয়তো অভিজ্ঞ ক্রিকেটার মাশরাফি বিন মুর্তজার কাছে বেশি কিছু প্রত্যাশা করেননি জেমকন খুলনার কোচ মিজানুর রহমান।
কাল গাজী গ্রুপ চট্টগ্রামের বিপক্ষে বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপের ম্যাচ দিয়ে ক্রিকেটে ফেরেন জেমকন খুলনার মাশরাফি। ফেরার ম্যাচে ৪ ওভারে ২৮ রানে ১ উইকেট নেন অভিজ্ঞ এই পেসার।
সেই মার্চে মাশরাফি সর্বশেষ ম্যাচ খেলেছেন। এরপর করোনার লম্বা বিরতি। মাঝে নিজেও করোনায় আক্রান্ত হন। সুস্থ হওয়ার পর বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপ খেলবেন বলে প্রস্তুতিও নেওয়া শুরু করেন। তখনই আবার হ্যামস্ট্রিংয়ের চোটে পড়েন মাশরাফি। চোট থেকে সেরে উঠে যোগ দেন খুলনা দলে।
লম্বা বিরতি, চোট-আঘাতের সঙ্গে লড়ে মাশরাফির ভালো করায় অবাক কোচ মিজানুর। আজ মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামের একাডেমি মাঠে খুলনার অনুশীলনের আগে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে মাশরাফির পারফরম্যান্স নিয়ে খুলনার কোচ বলেন, ‘যেটা প্রত্যাশা করেছিলাম, তার চেয়েও অনেক বেশি ভালো খেলছে।’
নতুন বল বরাবরই মাশরাফির শক্তির জায়গা। কাল সেই নতুন বলে দেখা গেল চেনা মাশরাফিকে। আঁটসাঁট লাইন-লেংথ আর ছোট ছোট সুইংয়ে ব্যাটসম্যানকে ক্রিজে আটকে রেখেছেন।
ব্যাটসম্যানও ছিলেন ফর্মে থাকা লিটন দাস ও সৌম্য সরকার। কাল দুজনই মাশরাফিকে শুরুতে খেলেছেন রয়েসয়ে। পরে পা দিয়েছেন ফাঁদে।
মাশরাফি প্রথম দুই ওভারে দেন মাত্র ১০ রান। আরেকটি ওভার করেন পাওয়ার প্লের ঠিক পরই। সেই ওভারেও মিতব্যয়ী ছিলেন মাশরাফি।
৩ ওভার শেষে মাশরাফির বোলিং ফিগার দাঁড়ায় ১৭ রান, উইকেট নেই। অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ আরেকটি ওভার রেখে দেন মাঝে করানোর জন্য।
এরপর যখন বোলিংয়ে আসলেন, তখন ক্রিজে থাকা মোসাদ্দেক হোসেন অপেক্ষায় ছিলেন রানের পেছনে দৌড় দেওয়ার। ১৫তম ওভারে এসে মাশরাফি দিলেন ১১ রান।
সেই ওভারেই মাশরাফিকে ছক্কায় উড়িয়ে ঝড়ের ইঙ্গিত দেন মোসাদ্দেক। কিন্তু ছক্কা মেরে পরের বলেই মাশরাফির অফ কাটারে বোল্ড মোসাদ্দেক।
মাশরাফির ভালো বোলিং অবশ্য খুলনাকে জেতাতে পারেনি। শেষ দিকে শামসুর রহমানের দারুণ ব্যাটিংয়ে ৩ উইকেটে ম্যাচ জেতে চট্টগ্রাম। তবে ফেরার ম্যাচে মাশরাফির পারফরম্যান্সই ছিল ম্যাচের বড় আলোচনার বিষয়।