মুজিবের কিপটেমিতে জিতল আফগানিস্তান

>দেরাদুনে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে ৫ উইকেটে জিতেছে আফগানিস্তান। ১০ ওভারের স্পেলে মাত্র ১৪ রান দিয়েছেন আফগান স্পিনার মুজিব উর রহমান
আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজে স্পিন ভেলকি দেখিয়েছেন রশিদ খান। শেষ ম্যাচে চার বলে ৪ উইকেট নিয়ে বিশ্ব রেকর্ড গড়ার পাশাপাশি গোটা সিরিজে সর্বোচ্চ উইকেটও ছিল এই লেগির। ওয়ানডে সিরিজে রশিদেরই সতীর্থ মুজিব উর রহমান যেন তাঁর পথেই হাঁটছেন! না, চার বলে ৪ উইকেট নেননি এই অফ স্পিনার। তবে এক ইনিংসে রান দেওয়ায় কিপটেমির ক্ষেত্রে গত এক দশকে দ্বিতীয় সেরা বোলিংয়ের নজির গড়েছেন মুজিব।
দেরাদুনে আজ আইরিশদের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচে ৫ উইকেটে জিতেছে আফগানিস্তান। আগে ব্যাটিংয়ে নামা আইরিশদের গলায় শুরুতেই স্পিন ফাঁস পরিয়ে দেন মুজিব। ৮ ওভার শেষে ১৪ রান তুলতেই ৩ উইকেট হারিয়েছিল আয়ারল্যান্ড। মুজিবের বোলিং ফিগার তখন ৪-৩-২-৩! এখান থেকে আইরিশরা আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি। পল স্টার্লিং ৮৯ রান না করলে দলটি হয়তো ১৬১ রানও তুলতে পারত না। আর মুজিব তাঁর দশ ওভারের স্পেল শেষ করেন এভাবে—১০-৩-১৪-৩।
তাড়া করতে আফগানিস্তানও স্পিন ফাঁসে জড়িয়েছে। আয়ারল্যান্ডের সিমি সিং মুজিবের মতোই অফ স্পিনার। তাঁর দুর্দান্ত বোলিংয়ের (১০-১-১৯-১) সামনে পড়ে জয় তুলে নিতে বেশ দেরিই হয়েছে আফগানদের। দলের কেউ ফিফটি না পেলেও শেষ পর্যন্ত ৪৯ বল হাতে রেখে ৫ উইকেটের জয় পায় আসগর আফগানের দল।
১৭ বছর বয়সী স্পিনার মুজিবের স্পেলটি ওয়ানডে ইতিহাসে কোনো ইনিংসে ১০ ওভারের স্পেল শেষ করা স্পিনারদের মধ্যে কিপটেমিতে ষষ্ট সেরা। তবে ওয়ানডেতে সবশেষ এক দশক বিবেচনায় নিলে স্পিনার ও পেসার মিলিয়ে কোনো ইনিংসে এটি যুগ্মভাবে দ্বিতীয় সেরা ইকোনোমি বোলিংয়ের নজির। বাংলাদেশের সোহরাওয়ার্দি শুভ (২০১০, নিউজিল্যান্ড), আব্দুর রাজ্জাক (২০১০, জিম্বাবুয়ে) ও আয়ারল্যান্ডের পেসার ট্রেন্ট জনস্টন সবশেষ এক দশকের মধ্যে ১০ ওভারের স্পেলে ১৪ রান দিয়েছেন। পেসার জ্যাসন হোল্ডার ও সুরঙ্গা লাকমল এ ক্ষেত্রে এগিয়ে। ২০১৩ সালে হোল্ডার পাকিস্তানের বিপক্ষে আর দুই বছর আগে লাকমল ভারতের বিপক্ষে ১০ ওভারের স্পেলে ১৩ রান দিয়েছিলেন।