বাবরের কথায় কি আত্মবিশ্বাস বাড়বে মুমিনুলদের

পাকিস্তানের অনুশীলনে বাবর আজমছবি: প্রথম আলো

টি-টোয়েন্টি সিরিজে পাকিস্তানের বিপক্ষে কোনো প্রতিরোধ গড়তে পারেনি বাংলাদেশ। ঘরের মাঠে তিন ম্যাচ সিরিজ হেরেছে ৩-০ ব্যবধানে। তার আগে সংযুক্ত আরব আমিরাতে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সুপার টুয়েলভে পাঁচ ম্যাচ হেরে বিদায় নেয় বাংলাদেশ।

প্রথম টেস্টে পাকিস্তানের মুখোমুখি হওয়ার আগে আত্মবিশ্বাসটা তাই তলানিতেই থাকার কথা বাংলাদেশ দলের। এর সঙ্গে যদি যোগ করা হয় টেস্টের ময়দানে বাংলাদেশের চিরায়ত দুর্বলতা, তাহলে তো কথাই নেই—মুমিনুল হকের দল মাঠে নামার আগেই অনেক পিছিয়ে?

এসব সাধারণ হিসাব-নিকাশ। খেলার মাঠে এসব হিসাব পাল্টে ফেলাই তো খেলোয়াড়দের কাজ। বাংলাদেশ দল তা পারবে কি না, সময়ই বলে দেবে। আপাতত প্রতিপক্ষের আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে দিলেন পাকিস্তান অধিনায়ক বাবর আজম।

টেস্টে বাংলাদেশকে তিনি মোটেও হালকা চোখে দেখছেন না। আজ অনলাইন সংবাদ সম্মেলনে প্রথম টেস্টের জন্য পাকিস্তানের ১২ জনের স্কোয়াড ঘোষণার পর সংবাদকর্মীদের প্রশ্নোত্তর পর্বে এমন কথাই বলেন বাবর।

পাকিস্তানের অনুশীলনে বাবরের সঙ্গে ইমাম–উল হক
ছবি: প্রথম আলো

বাবরকে এক সংবাদকর্মী প্রশ্ন করেন, টেস্টে পাকিস্তানকে বাংলাদেশ কঠিন পরীক্ষায় ফেলতে পারবে কি না? বাবর বলেন, ‘কন্ডিশনটা পার্থক্য গড়েছে। এটা তাদের ঘরের মাঠ। তাদের (বাংলাদেশ) কখনো হালকাভাবে দেখার সুযোগ নেই। আসলে কোনো দলকেই হালকাভাবে দেখার সুযোগ নেই। (বাংলাদেশ) নিয়মিত দলটা না পেলেও তাদের তরুণেরা তো আছে। তারা কিন্তু এই কন্ডিশনেই খেলে উঠে এসেছে। এখানকার কন্ডিশনটা কঠিন। মানিয়ে নিতে একটু সময় লাগে। উইকেটে গিয়ে সময় কাটাতে হয়। আমার মতে, অবশ্যই কঠিন পরীক্ষায় ফেলতে পারে।’

বাংলাদেশ সফরে ব্যাট হাতে সময়টা ভালো যাচ্ছে না বাবরের। বড় রানের দেখা পাচ্ছেন না। বাংলাদেশের বিপক্ষে এর আগে একটি টেস্টই খেলেছেন বাবর—গত বছর রাওয়ালপিন্ডিতে।

সে ম্যাচে এক ইনিংস ব্যাটিংয়ের সুযোগ পেয়ে ১৪৩ রান করেছিলেন। এবার টেস্ট সিরিজে সেই ফর্মে টেনে আনতে পারবে কি না—এ প্রশ্নের উত্তরে পাকিস্তান অধিনায়ক খানিকটা মজা করেই বললেন, ‘সব সিরিজে কি আমি রান করব? বাকিরাও তো আছে। অন্য খেলোয়াড়েরাও দায়িত্ব নিয়েছে। কখনো রান পাবেন, কখনো পাবেন না। ক্রিকেট এটাই শেখায়। সব ম্যাচেই ভালো খেলার চেষ্টা থাকে।’