বাংলাদেশের জন্য ম্যাচটা কেমন হবে, সেটিই এই জুটির ওপর নির্ভর করছে বলে ভাবা হচ্ছিল। মুশফিকুর রহিম ও মোহাম্মদ মিঠুনের এই জুটি অক্ষত রেখে ফলোঅন এড়ানোই হয়তো বাংলাদেশের মূল লক্ষ্য ছিল আজ মিরপুর টেস্টের তৃতীয় দিন সকালে । হাতে ৬ উইকেট থাকলে এরপর না হয় প্রথম ইনিংসে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ৪০৯ রানের পাহাড়ের কাছে যাওয়ার চেষ্টা করা যেত।
কিন্তু সে আশা আর পূরণ হলো কই? সকাল থেকে পরীক্ষার মুখে পড়া মিঠুন ফিরে গেছেন মুশফিক ফিফটি পাওয়ার পরপরই। তার কিছুক্ষণ পর মুশফিকের মনোজগতে কী হলো, তা শুধু তিনিই বলতে পারবেন। অযথা রিভার্স সুইপ করতে গিয়ে আউট হয়েছেন, বাংলাদেশকে ফেলে গেছেন খাদের কিনারায়।
পঞ্চম উইকেটে মুশফিক-মিঠুনের জুটিটা হয়েছে ৮১ রানের। মুশফিক ৫৪ রানে ফিরেছেন, মিঠুন ১৫ রান করে আউট হয়ে গেছেন। ক্রিজে আছেন বাংলাদেশের শেষ দুই স্বীকৃত ব্যাটসম্যান লিটন দাস (২২) ও মেহেদি হাসান মিরাজ (১১)। বাংলাদেশের রান ৬ উইকেটে ১৮০। ফলোঅন এড়াতে দরকার আরও ৩০ রান।
দিনের দশম ওভারের প্রথম বলেই ফিরে গেছেন মিঠুন। কর্নওয়ালের অফ স্টাম্পে করা বলটা প্যাডের ওপর থেকে টেনে খেলতে চেয়েছিলেন, কিন্তু টাইমিং গড়বড় হওয়ায় ধরা পড়েন শর্ট মিডউইকেটে।
বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা কাল থেকেই জোড়ায় জোড়ায় ফিরছিলেন, আজ মুশফিকও যেন সে ধারাটাই অব্যাহত রেখেছেন। রিভার্স সুইপ তাঁর অনেক প্রিয় শট, রিভার্স সুইপে মুশফিক অনেক রান করেছেন ঠিকই। কিন্তু দল যখন খাদের কিনারায়, তখন এই শট খেলার গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা ব্যাখ্যা করতে বললে মুশফিকের উত্তরটা কী হয়, সেটি দেখার মতোই হবে।
হয়তো বাংলাদেশের টেস্ট খেলার মানসিকতা নিয়ে প্রশ্নের বানে বাড়তি ঢেউ জোগাবে মুশফিকের আউটের ধরনটা। বাংলাদেশ ফলোঅনের শঙ্কায়, এরপর ব্যাটসম্যান বলতে শুধু লিটন আর মিরাজ...এই অবস্থায় ওই শট খেলার অর্থ শুধু মুশফিকই জানেন!
কর্নওয়ালের ওভারের আগের বলেই কোনোমতে লেগ স্লিপে ক্যাচ দিতে দিতে বেঁচে গেছেন, বল চলে যায় বাউন্ডারির বাইরে। সেই বলেই বাড়তি বাউন্স চোখে পড়েছে। কিন্তু তাতেও মুশফিকের কিছু এল-গেল না!
পরের বলেই আবার রিভার্স সুইপ করতে গেলেন। টাইমিং ঠিকঠাক হলো না, বাড়তি বাউন্স করা বল মুশফিকের ব্যাটের ওপরের দিকে লেগে ক্যাচ উঠল শর্ট কাভারে, সেখানে থাকা মেয়ার্সের এই সহজ ক্যাচ ধরতে কোনো কষ্টই হলো না!