রাজস্থানকে বাড়ি পাঠিয়ে নিজেদের আশা বাঁচিয়ে রাখল কলকাতা

ব্যাটিংয়ে এইউন মরগান, বোলিংয়ে প্যাট কামিন্স—দুই বিদেশি তারকায় রাজস্থানকে হারাল কলকাতা।ছবি: বিসিসিআই

ম্যাচ শুরুর আগে পয়েন্ট তালিকার তলানিতে ছিল এইউন মরগানের কলকাতা নাইট রাইডার্স। রানরেট ভালো থাকায় ছয় নম্বরে ছিল কলকাতার প্রতিপক্ষ রাজস্থান রয়্যালস। লিগ পর্বের শেষ ম্যাচের আগে দুই দলেরই পয়েন্ট ছিল ১২। শেষ চারের দৌড়ে টিকে থাকতে হলে আজ জিততেই হতো। এমন ম্যাচেই কলকাতার বিদেশি তারকারা জ্বলে উঠলেন। উল্টো দিকে ব্যর্থ হলেন রাজস্থানের বিদেশি তারকারা।

শেষ পর্যন্ত কলকাতা ৬০ রানের বড় জয়ে টিকিয়ে রাখল শেষ চারের আশা। পয়েন্ট তালিকার তলানি থেকে এক লাফে মরগানরা উঠে এলেন চার নম্বরে। আর বাদ পড়ল রাজস্থান।

দুবাইয়ের মাঠে আগে ব্যাট করতেই চাইছিলেন না কলকাতার অধিনায়ক মরগান। উইকেট রাতের দিকে শিশিরের কারণে ব্যাটিং সহায়ক হয়ে ওঠে। বিকেলবেলা আবার একই উইকেটে বল আসে থেমে থেমে। আগে ব্যাট করে দ্রুত রান তোলা সহজ নয়। কিন্তু টস হারায় আগেই ব্যাট করতে হয় কলকাতাকে। নেমে শুরুটা খুব একটা ভালো হয়নি। শুভমান গিল, রাহুল ত্রিপাঠি উইকেটে থিতু হয়ে আউট। সুনীল নারিন মিডল অর্ডারে নেমে দ্রুত আউট হন।

মরগানের ৬৮ রানের ইনিংসে ছক্কা ছিল ৬টি।
ছবি: বিসিসিআই

এরপর দলের বিপদে অবিশ্বাস্য ইনিংস খেলেন অধিনায়ক মরগান। দীনেশ কার্তিক, আন্দ্রে রাসেলরা বড় ইনিংস খেলতে না পারলেও মরগান টিকে ছিলেন শেষ পর্যন্ত। ৩৫ বলে ৬৮ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলে অপরাজিত ছিলেন তিনি। ৫টি চারের সঙ্গে ৬টি বিশাল ছক্কা হাঁকিয়েছেন ইংলিশ অধিনায়ক। মরগানের ইনিংস কলকাতাকে শেষ পর্যন্ত ৭ উইকেটে ১৯১ রানের বিশাল পুঁজি এনে দেয়।

বাঁচামরার ম্যাচ বলে কথা। এমন দিনেই বড় রান তাড়া করতে হয় রাজস্থানকে। বেন স্টোকস, স্টিভ স্মিথ, জস বাটলারদের আজই মরগানসুলভ ইনিংস খেলতে হতো। কিন্তু স্টোকস-বাটলার আউট হন উইকেটে থিতু হয়ে। স্মিথকে ক্রিজে এসে দ্রুতই সাজঘরের পথ ধরতে হয়। রাজস্থান সেখান থেকেই ম্যাচ থেকে ছিটকে পড়ে। একটা সময় ৩৭ রানেই ৫ উইকেট হারায় রাজস্থান! শেষ পর্যন্ত ধুঁকতে ধুঁকতে ৯ উইকেটে ১৩১ রানে থামে রাজস্থানের আইপিএল।

টুর্নামেন্টে টিকে থাকার ম্যাচে বল হাতে জ্বলে উঠলেন প্যাট কামিন্স।
ছবি: বিসিসিআই

রাজস্থানের বড় ক্ষতিটা করেছেন এবারের আইপিএলের সবচেয়ে দামি ক্রিকেটার প্যাট কামিন্স। আইপিএল ক্যারিয়ারের সেরা বোলিংটা করার জন্য আজকের দিনটাই বেছে নিয়েছেন কলকাতার অস্ট্রেলিয়ান ফাস্ট বোলার। ৪ ওভারে ৩৪ রান দিয়ে ৪ উইকেট নিয়েছেন তিনি। রাজস্থানের প্রথম তিন উইকেটই গেছে কামিন্সের আগুনে বোলিংয়ে। সেই শুরুর ধাক্কা থেকে বের হতে পারেনি ২০০৮–এর চ্যাম্পিয়নরা।