রানআউটের পর কেন এমন ‘শিশুতোষ’ স্মিথ

রানআউট হয়ে এভাবেই প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন স্টিভ স্মিথছবি: এএফপি

‘নো’, ‘ইয়েস’, ‘নো’—গল টেস্টে একটি রান নিতে গিয়ে এভাবেই গুলিয়ে ফেলেন অস্ট্রেলিয়ার দুই ব্যাটসম্যান স্টিভ স্মিথ ও উসমান খাজা। ফলাফল—রানআউট হয়ে প্যাভিলিয়নে ফিরতে হয়েছে স্মিথকে। কিন্তু বিষয়টি ঠিক মেনে নিতে পারেননি তিনি।

রানআউট হওয়ার পর খাজার ওপর বেজায় চটেছেন স্মিথ। মাঠেই তিনি বিরক্তি প্রকাশ করতে শুরু করেন। স্মিথের অমন ব্যবহার দেখে বিরক্ত ক্রিকেটপ্রেমীরা। তাঁর এই প্রতিক্রিয়াকে কেউ বলেছেন ‘শিশুতোষ’। কারও কাছে আবার এই আচরণ খাজার প্রতি ‘অসম্মানজনক’ বলে মনে করছেন।

আরও পড়ুন

গলে সিরিজের প্রথম টেস্টের প্রথম দিনে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নামা শ্রীলঙ্কা ২১২ রানে অলআউট হয়ে যায়। ৩ উইকেটে ৯৮ রান নিয়ে দিনের খেলা শেষ করে অস্ট্রেলিয়া। ৭৫ রানে দলের ২ উইকেট পড়ে যাওয়ার পর উইকেটে আসেন স্মিথ। ১১ বলে ৬ রান করে রানআউট হয়ে যান তিনি।

স্মিথের আউট হওয়ার ভিডিওতে দেখা যায়, একটি বল ডিফেন্ড করে হাত উঁচিয়ে রান নেবেন না বলে দেন খাজাকে। একটু পর নিজেই আবার রানের জন্য ছোটেন। পিচের প্রায় মাঝামাঝি গিয়ে খাজার মনে হয়, এটা রান হবে না। স্মিথকে ফিরিয়ে দেন তিনি। ডাইভ দিয়ে রানআউট থেকে বাঁচতে পারেননি স্মিথ।

স্মিথের এমন আচরণকে ‘শিশুতোষ’ বলছেন অনেকেই
ছবি: এএফপি

রানআউট হয়ে ফিরে যাওয়ার সময় বিরক্তি প্রকাশ করেন স্মিথ। প্যাভিলিয়নে ফেরার পথে পুরোটা সময় ‘এমনটা হয় না’ বা ‘এটা ঠিক নয়’সুলভ মাথা নাড়িয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটসম্যান। সেই সময়েই ধারাভাষ্যকার বলেছিলেন, ‘বিপদ...স্টিভ স্মিথ নিশ্চিত করেই চরম রেগে গেছে...।’

স্মিথের এই প্রতিক্রিয়ার পর মুখ বন্ধ রাখতে পারেননি অনেক ক্রিকেটপ্রেমীই। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাঁরা সমালোচনা করেছেন স্মিথের এমন আচরণের। এক টুইটার ব্যবহারকারী টুইট করেছেন, ‘এটা ভুল–বোঝাবুঝি। কিন্তু এর জন্য তিনি যে অতি প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন, এটাকে শিশুতোষ বলতে হবে।’

একজন তো স্মিথের রানআউটের চেয়ে তাঁর প্রতিক্রিয়াটাকেই অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটের জন্য বেশি বিব্রতকর মনে করেছেন। জোজো নামের অ্যাকাউন্টধারী সেই টুইটার ব্যবহারকারী লিখেছেন, ‘নিজের সম্মানটা নিজেরই রাখা উচিত, স্টিভ স্মিথ। আশা করছি আপনি আরেকটু পরিণত হবেন। রানআউটের চেয়ে আপনার শিশুতোষ আচরণ ছিল আরও বেশি বিব্রতকর।’

এক টুইটার ব্যবহারকারী তো বিষয়টি নিয়ে মজা করতে ছাড়েননি। তিনি লিখেছেন, ‘ভাগ্য ভালো যে অস্ট্রেলিয়ার দুটি টিম বাস। আজ রাতে দুজনের একই টিম বাসে না থাকাটা ভালো।’