লর্ডসে ইংল্যান্ড দলে হঠাৎ এক ‘বাংলাদেশি’

রবিন দাস (ডানে) ও নিখিল গোরান্টলাছবি: এসেক্স কাউন্টি

বৃহস্পতিবার লর্ডসে ইংল্যান্ড-নিউজিল্যান্ডের মধ্যকার প্রথম টেস্টে ৩৮তম ওভারের ঘটনা সেটি। হঠাৎই মাঠে অতিরিক্ত ফিল্ডার হিসেবে ইংল্যান্ড দলের হয়ে ফিল্ডিং করতে নামলেন এক তরুণ। জার্সিতে কোনো নাম নেই। কিন্তু কাউন্টি ক্রিকেট যাঁরা নিয়মিত অনুসরণ করেন, তাঁদের সেই তরুণের নাম অজানা নয়—রবিন দাস। তিনি বাংলাদেশি বংশোদ্ভুত ব্রিটিশ নাগরিক।

নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম টেস্টের জন্য ঘোষিত ১৩ জনের ইংল্যান্ড দলে ‘বাংলাদেশি’ রবিন দাসের নাম ছিল না। কিন্তু তিনি যখন ফিল্ডিংয়ে নামেন, তখন একাদশে সুযোগ না পাওয়া দুই ক্রিকেটার হ্যারি ব্রুক ও ক্রেগ ওভারটন মাঠে ফিল্ডিং করছিলেন। এমন সময় ৩৮তম ওভারটি করতে গিয়ে ম্যাটি পটস ব্যথা পেলে শুশ্রূষার জন্য ড্রেসিংরুমে যান। সে সময় দলের বাইরে থেকেও আপৎকালীন পরিস্থিতিতে ফিল্ডিংয়ে নামতে হয় রবিন দাসকে। একইভাবে অতিরিক্ত হিসেবে ফিল্ডিং করেন এসেক্সের আরেক তরুণ ক্রিকেটার নিখিল গোরান্টলাও।

২০০২ সালে রবিনের জন্ম ইংল্যান্ডের লেটোনস্টোনে। বাবা মৃদুল দাসের জন্ম অবশ্য বাংলাদেশের সুনামগঞ্জে। তিনি ইংল্যান্ডে পাড়ি জমানোর অনেক পর রবিনের জন্ম। রবিন পড়াশোনা করেছেন বেন্টউড শহরে। কাউন্টি খেলছেন এসেক্সের হয়ে। ২০১৮ সালের জুলাইয়ে এসেক্সের অনূর্ধ্ব-১৬ দলের হয়ে দারুণ এক দ্বিশতক করেছিলেন। তাঁর প্রতিপক্ষ ছিল ব্রেন্টউড ক্রিকেট ক্লাব।

বাংলাদেশের ক্রিকেটে রবিন দাস খুব অপরিচিত কেউ নন। ২০২০ সালের শেষ দিকে বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টের খেলোয়াড় ড্রাফটে রবিনের নাম ছিল। পরে অবশ্য খেলার সুযোগ পাননি। ২০১৯ সালে এই রবিন এসেক্সের ‘একাডেমি প্লেয়ার অব দ্য ইয়ার’ সম্মান পান।

এসেক্স কাউন্টি ইংল্যান্ডের হয়ে ‘টুয়েলভথ ম্যানে’র দায়িত্ব পালন করায় রবিন দাস ও তাঁর সতীর্থ নিখিল গোরান্টলাকে অভিনন্দন জানিয়েছে।