শহীদের স্বপ্নে চোটের ধাক্কা

মোহাম্মদ শহীদের কাল মাঠেই থাকার কথা ছিল। অথচ তিনি কিনা শুয়ে থাকলেন হোটেল রুমে! মুঠোফোনে ভেসে এল কাতর কণ্ঠ, ‘খুবই খারাপ লাগছে। এত ভালো পারফর্ম করছিলাম...।’

পরশু কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানসের বিপক্ষে ফিল্ডিং করতে গিয়ে ডান হাঁটুতে চোট পান ঢাকা ডায়নামাইটসের পেসার শহীদ। মাঠ ছেড়ে যান সঙ্গে সঙ্গে। কাল এমআরআই করানোর পর জানা গেল, চোটটা লিগামেন্টে। এসব চোট থেকে পুরোপুরি সুস্থ হতে দুই থেকে তিন সপ্তাহ সময় লাগে। নিউজিল্যান্ড সিরিজের দলে থাকলেও শহীদের অস্ট্রেলিয়ার অনুশীলন ক্যাম্পে না যাওয়াটা তাই একরকম নিশ্চিতই। আর বিপিএলে খেলার তো প্রশ্নই নেই।

বিসিবির চিকিৎসক দেবাশিস চৌধুরী অবশ্য বলেছেন, ‘শহীদের লিগামেন্ট আংশিক আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছে। আপাতত আমরা ওকে দুই সপ্তাহের জন্য পুরোপুরি বিশ্রামে রাখব। প্রাথমিক চিকিৎসা-প্রক্রিয়া চলবে। পরে পরীক্ষা করে জানাতে পারব, মাঠে ফিরতে কত দিন লাগতে পারে। তবে এ ধরনের ইনজুরিতে বিশ্রামের সময়টা সাধারণত দুই থেকে তিন সপ্তাহ হয়ে যায়। তারপর পুনর্বাসন-প্রক্রিয়া শুরু হয়।’

বিপিএলে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি উইকেট (১৬) খুলনা টাইটানসের পেসার শফিউল ইসলাম ও চিটাগং ভাইকিংসের মোহাম্মদ নবীর। ১ উইকেট কম পেয়ে এরপরই ছিলেন মোহাম্মদ শহীদ। তাঁর আফসোসটা সে কারণেই বেশি, ‘বিপিএলে সর্বোচ্চ উইকেট পাওয়ার সম্ভাবনা ছিল আমার। এ রকম একটা সময়ে কিনা ইনজুরিতে পড়ে গেলাম!’

ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজে খেলতে পারেননি চোটের জন্য। ৫টি টেস্ট এবং একটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেললেও ওয়ানডে অভিষেক হয়নি এখনো। আসছে নিউজিল্যান্ড সফরেই সেটা হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা ছিল। শহীদের দুঃখটা তাই আরও বেশি, ‘এবার আমার ওয়ানডে দলে থাকার একটা সম্ভাবনা ছিল। চোটে পড়ায় সেটা বোধ হয় আর হবে না। তবে টেস্ট সিরিজের আগেই আমি খেলার মতো ফিট হয়ে যাব।’

নিউজিল্যান্ডে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ ও দুই ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের পর প্রথম টেস্ট শুরু হবে ১২ জানুয়ারি। দ্বিতীয় টেস্ট ২০ জানুয়ারি থেকে।